Recent Posts

Pages: [1] 2 3 ... 10
1
Know The World / হাদীস নং ৬
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:28:31 AM »
হাদীস নং ৬

বন্ধুরা, তোমাদের যখন কোনোকিছুর প্রয়োজন হবে, তখন সবার আগে আল্লাহর কাছে চাইবে। তার কাছে দু’আ করবে। দু’আ করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন। তা ছাড়া দু’আ একটি ইবাদাত। আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

الدعاء هو العبادة

অর্থঃ দু’আ হলো ইবাদাত। (আবূ দাউদ,১৪৭৯;তিরমিযি, ২৯৬৯; ইবনু মাজাহ, ৩৮২৮)

আল্লাহর ইবাদাত না করলে যেমন তিনি অসন্তুষ্ট হন, তেমনি তাঁর কাছে দু’আ না করলেও তিনি অসন্তুষ্ট হন। তাই তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দু’আ করবে।

চলবে..........................................
2
Know The World / হাদীস নং ৫
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:26:29 AM »
হাদীস নং ৫

ইসলাম সর্বদাই আমাদেরকে কল্যাণের আদেশ দেয়। অকল্যাণ থেকে বিরত থাকতে বলে। কেননা, ইসলাম একটি কল্যাণকামী দ্বীন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

الدِّينُ النَّصِيحةُ

অর্থঃ দ্বীন হলো কল্যাণ কামিতার নাম। (মুসলিম,৫৫)

তাই আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কল্যাণ কামনা করব। কারও ভুল দেখলে সুন্দরভাবে শোধরে দেব। মনে থাকবে তো, বন্ধুরা?

চলবে....................................
3
Know The World / হাদীস নং ৪
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:24:36 AM »
হাদীস নং ৪

বন্ধুরা মনে আছে তো আপনাদের? নবিজির কথামতো দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু কিভাবে নামাজ আদায় করবেন? যেভাবে মন চায় সেভাবে নামাজ পড়লেই কি হবে? না, বন্ধুরা! নামাজ পড়তে হবে নবিজির মতো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

صلوا كما رأيتموني أصلي

অর্থঃ তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় করো, যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখেছ। (বুখারী, ৬৩১)

তাই, নবিজি যেভাবে নামাজ আদায় করেছেন আপনারাও সেভাবে নামাজ আদায় করবেন। তা হলেই আল্লাহ নামাজ কবুল করবেন। আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন!

চলবে..........................................
4
Know The World / হাদীস নং ৩
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:22:32 AM »
হাদীস নং ৩

বন্ধুরা, আমরা সবাই মুসলিম। তাই আমরা সব সময় নবিজির কথা মেনে চলব। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য বলেছেন,

صَلُّوا خَمْسَكُمْ

অর্থঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো। (মুসনাদে আহমাদ,২১৬৫৭; তিরমিযি,৬১৬)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে বলেছেন। আপনারা নবিজির কথামতো প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। মনে থাকবে তো?

ফজর
যুহর
আসর
মাগরিব
ঈশা

চলবে....................................
5
Know The World / হাদীস নং ২
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:20:19 AM »
হাদীস নং ২

বন্ধুরা, মন দিয়ে শুনুন! শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। আমাদের প্রিয় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলেছেন জানেন? তিনি বলেছেন,

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالْخَوَاتِيمِ

অর্থঃ সকল কাজ সমাপ্তির ওপর নির্ভরশীল (বুখারী, ৬৬০৭)

এ হাদীস থেকে আমরা কী শিখলাম? আমরা শিখলাম, কোনো কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারলেই আমরা ভালো ফলাফল পাব। এখন থেকে আপনারা সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ করবেন। তা হলেই আল্লাহ আপনাদের ভালো কাজটা পছন্দ করবেন। মনে থাকবে তো, বন্ধুরা?

চলবে.................................
6
Know The World / হাদীস নং ১
« Last post by ashraful.diss on Today at 04:17:13 AM »
হাদীস নং ১

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত বন্ধুরা! কেমন আছেন আপনারা? আজ থেকে এখানে আমরা সুন্দর সুন্দর হাদীস পড়ব। আজ পড়ব বুখারী শরীফের এক নম্বর হাদীস। চলুন এবার, হাদিসটা পড়ি-

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ

অর্থঃ নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারী, ১;মুসলিম, ১৯০৭)

এখন থেকে যে কোনো ভালো কাজ করার আগে সুন্দর নিয়ত করে নিবো। আল্লাহকে খুশি করার নিয়তে ভালো কাজ করলে অনেক অনেক সাওয়াব পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ!

চলবে...........................
7
General Discussion / Night games. No obligations. One night only.
« Last post by Mahbub Alam on May 11, 2024, 11:15:56 AM »
Connect casually with like-minded individuals on the ultimate dating platform.
Free connections: no strings attached dating
Genuine Ladies
Exemplary casual Dating
8

যে পর্যন্ত পরিশ্রম করে করে জীবিকা অর্জন করা যায়, সে পর্যন্ত সওয়াল করতে নেই :

وَعَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَأْتِيَ بِحُزْمَةِ حَطَبٍ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيعَهَا فَيَكُفَّ اللَّهُ بِهَا وَجْهَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ أَعْطَوْهُ أَوْ مَنَعُوهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

হযরত যুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কোনো (অভাবী) মানুষের এ কাজটি যে, সে রশি নিয়ে জঙ্গলে যাবে এবং পিঠে লাকড়ির বোঝা বহন করে এনে বিক্রি করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা এর দ্বারা সওয়ালের লাঞ্ছনা থেকে তাকে রক্ষা করবেন, এটা তার জন্য ওই কাজ অপেক্ষা অনেক ভালো যে, সে মানুষের সামনে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করবে। তারপর তারা তাকে কিছু দেবে অথবা না করে দেবে। (বুখারী)

সওয়াল করতে বাধ্য হলে আল্লাহর নেক বান্দাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা :

عَنِ ابْنِ الْفِرَاسِيِّ أَنَّ الْفِرَاسِيَّ قَالَ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا وَإِن كنت لابد فسل الصَّالِحين» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

তাবেয়ী ইবনুল ফারাসী থেকে বর্ণিত, ফারাসী (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার প্রয়োজনে মানুষের কাছে সওয়াল করব? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (যতদূর সম্ভব) সওয়াল করতে যেয়ো না। আর যদি কোনো উপায়ান্তর না থাকে, তাহলে আল্লাহর নেক বান্দাদের কাছে সওয়াল করবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

দান-খয়রাতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর বরকত :

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَنْفِقْ يَا ابْن آدم أنْفق عَلَيْك

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের ওপর) নিজের উপার্জন থেকে খরচ করো, আমি আপন ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। (বুখারী ও মুসলিম)

وَعَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَفِقِي وَلَا تُحْصِي فَيُحْصِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَلَا تُوعِي فَيُوعِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ ارْضَخِي مَا اسْتَطَعْتِ»

হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বলেছিলেন, তুমি আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তাঁর পথে মুক্ত হস্তে খরচ করে যাও, হিসাব করতে যেয়ো না। ( অর্থাৎ এ চিন্তায় পড়ো না যে, আমার কাছে কত আছে আর এখান থেকে আল্লাহর পথে কতটুকু খরচ করব) তুমি যদি এভাবে হিসাব করে আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তাহলে আল্লাহও তোমাকে হিসাব করেই দেবেন। সম্পদ আঁকড়ে ধরে ও আবদ্ধ করে রাখবে না। এমন করলে আল্লাহও তোমাদের সাথে এমন আচরণই করবেন। (অর্থাৎ রহমত ও বরকতের দরজা তোমার ওপর বন্ধ করে দেবেন) যতদূর সম্ভব মুক্তস্ত হওয়ার চেষ্টা করো। (বুখারী ও মুসলিম)
9

নিজের প্রয়োজন মানুষের কাছে নয়, আল্লাহর কাছে পেশ করা :

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ، وَمَنْ أَنْزَلَهَا بِاللهِ أَوْشَكَ اللهُ لَهُ بِالْغِنَى إِمَّا بِمَوْتٍ عَاجِلٍ أَوْ غِنًى عَاجِلٍ ‏"‏ ‏. رواه أَبُو داود والترمذي

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির কোনো অভাব-অনটন দেখা দিল আর সে এটা মানুষের সামনে পেশ করল (এবং তাদের কাছে সাহায্য চাইল) তার এ অভাব দূর হবে না। আর যে ব্যক্তি এটা আল্লাহর সামনে পেশ করল, খুবই আশা করা যায় যে, আল্লাহ তা’আলা তার এ অভাব দূর করে দেবেন। হয়তো দ্রুত মৃত্যু দিয়ে (যদি তার মৃত্যুর নির্ধারিত সময় এসে গিয়ে থাকে) অথবা কিছু বিলম্বে সচ্ছলতা দান করে। (আবু দাউদ, তিরমিযী)

সওয়ালে সর্বাবস্থায়ই অপমান রয়েছে :

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَد الْعليا هِيَ المنفقة وَالْيَد السُّفْلى هِيَ السائلة»

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন দান-খয়রাত করতে এবং সওয়াল থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গ আলোচনা করতে গিয়ে মিম্বরে দাঁড়িয়ে ইরশাদ করলেন, উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম। আর উপরের হাত হচ্ছে দানের হাত এবং নিচের হাত হচ্ছে ভিক্ষার হাত। (বুখারী ও মুসলিম)

চলবে...............
10

অজুহাত নয়, সচেতন হোন

আমাদের জযবা ও মেহনত অনুপাতেই আল্লাহ তা’আলা আমাদের সাহায্য করবেন। দুনিয়াতে আমাদের আগমন নেক কাজ করার জন্য। সুতরাং নেক কাজ করাই স্বভাবে পরিণত করতে হবে। এই শ্রমবাজারে বিভিন্ন অজুহাতে শ্রম থেকে বিরত থাকলে পারিশ্রমিক পকেটে আসবে না। দেখুন, একজন শ্রমিক কিন্তু জ্বর, সর্দি ও কাশির অজুহাত দিয়ে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে না। কারণ তার জানা আছে, শ্রম দিলেই কিছু আসবে, নয়তো রিক্তহস্তে কালাতিপাত করতে হবে। ফলে সে কাজের ব্যাপারে সচেতন থাকে। খুঁড়া কোনো অজুহাত খুঁজে না, অবহেলাও করে না। মনে রাখবেন, অজুহাত দুনিয়ার বেলায় চলতে পারে, আখেরাতের বেলায় নয়।

ইরশাদ হচ্ছে-

وَ اَنۡ لَّیۡسَ لِلۡاِنۡسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی

যা করেছ, তাই পাবে। গন্তব্যে গেলে তাই উসুল হবে। (আন নাজম ৩৯)

পাপমুক্ত থাকা সহজ :

আমরা মনে করি, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন কাজ। অথচ এটা অনেক সহজ। আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে কোনো কঠিন বিধান দান করেননি। যা তার সামর্থ্যরে মধ্যে, তা-ই দান করেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-

 لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا

আল্লাহ সামর্থ্যরে বাইরে কাউকে বাধ্য করেন না। (বাকারা ২৮৬)

চেষ্টা বান্দার :

যখন অন্তরে আল্লাহর ভয় জমে যাবে তখনই গুনাহ থেকে বাঁচার পথ সুগম হবে। বান্দা হিসেবে চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। তবেই আল্লাহ বাঁচাবেন।চেষ্টা করে দেখুন আল্লাহ এমনভাবে বাঁচাবেন, যা কল্পনাও করতে পারবেন না। গুনাহ থেকে বাঁচার সত্যিকারের ইচ্ছা থাকলে আল্লাহ উপকরণ তৈরি করে দেবেন। আল্লাহ বান্দাকে মাহরুম করতে পারেন না। তিনি তো অতিশয় দয়ালু। মেহনতের পথ ও পন্থা ভুল হলে ভিন্ন কথা।

আয় অনুপাতে ব্যয় :

অনেকে বলেন, চাকরি করি পরিবার চলে না। কিন্তু কেন? আয় অনুপাতে ব্যয় করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। মনে রাখবেন, দুনিয়া কামানোর জায়গা, খাওয়ার জায়গা নয়। হারাম ছেড়ে হালাল অবলম্বন করুন। হারাম পোলাও-বিরিয়ানি ছেড়ে হালাল জাউ খান। হারাম কোরমা ছেড়ে হালাল ডাল খান দেখবেন খুব চলবে। আবার শান্তিও পাবেন। এটাও না পারলে রোযা রাখেন। তবুও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন, হারাম খাব না, গুনাহ আমাকে ছাড়তেই হবে। শুরুতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেও পারেন। কিন্তু অতি শীঘ্রই কেটে যাবে। এমনভাবে রিযিকের দুয়ার খুলে যাবে, যা কল্পনাতীত।

ইরশাদ করেন-

وَمَنْ يَتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য সব কিছু সহজ করে দেন।

টুকটাক সমস্যা আসতে পারে তবে পেরেশান হতে নেই। বরং আফিয়াতের দু’আ করুন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। ইরশাদ করেন-

فَاِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا ۙ اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا

“নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে, নিশ্চয়, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।”

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন-

أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ

দুনিয়াতে সর্বাধিক পরীক্ষার সম্মূখীন হল নবীগণ এরপর যারা তাঁদের যত বেশি অনুসরণকারী। (মুসনাদে বাযযার- হা.১১৫০)

দুনিয়া সমস্যার জায়গা :

গুনাহ থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু ঝড়ঝাপটা ও সমস্যা আসতে পারে। তবুও হিম্মত হারানো যাবে না। কারণ সমস্যাপূর্ণ জায়গার নামই হলো দুনিয়া। শেষ কথা হলো, অন্তর ও স্বভাব অপবিত্র হলে গুনাহের সুযোগ ও স্থান তালাশ করে। আর পবিত্র হলে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। অতএব, আসুন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি যতই ক্ষতি বা কষ্ট হোক না কেন, অবশ্যই গুনাহ থেকে বিরত থাকব। আল্লাহ তা’আলা আমাদের এবং আপনাদেরকে সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
Pages: [1] 2 3 ... 10