Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Badshah Mamun

Pages: [1] 2 3 ... 6
1
Career / দূরশিক্ষণের জয়
« on: May 14, 2014, 12:27:30 AM »
দূরশিক্ষণের জয়


মাহিন মতিনের দূরশিক্ষণ কার্যক্রম জিতে নিয়েছে জাপানের 'ইয়ং সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড', 'তাকেদা এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড', 'সিটিজেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড', আমেরিকার 'ডেল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড', 'লেনোভো ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড'সহ বেশ কিছু পুরস্কার। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার

মোটেও ভালো ছাত্র ছিলেন না। ক্লাস ফাঁকি দিতেই ভালো লাগত বেশি। ক্লাস রোল ছিল সাত। অথচ এ ছেলেটিই বড় হয়ে চান্স পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ক্লাসের প্রথম ছয়জন পড়ে রইল গ্রামেই। বিষয়টি ভীষণ নাড়া দিল ছেলেটিকে। মেধা থাকার পরও দিকনির্দেশনার অভাবে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী। ঢাকায় এসে কোচিং করার সামর্থ্যও নেই এদের অনেকের। মেয়েদের বেলায় তো প্রশ্নই ওঠে না, ঢাকায় কোচিংয়ে পাঠাতে নারাজ বেশির ভাগ অভিভাবকই। ভাবলেন, ঢাকার সেরা শিক্ষকদের ক্লাস যদি ডিভিডিতে ধারণ করে গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায়। জাপানি বন্ধু আতসু সিকে বিষয়টি বলতেই তিনি রাজি হয়ে গেলেন। এভাবেই শুরু হলো 'ই-এডুকেশন'। এ কাজে তাঁদের সহযোগিতা করছেন জাপানের হিতোসুবাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিসোরিও ইউনেকরা ও জাপানের শিক্ষাপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইতানো। মাহিন মতিনের এই দূরশিক্ষণ কার্যক্রম জিতে নিয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

গ্রামে বসেই সেরা শিক্ষকের ক্লাস

ঢাকার খ্যাতনামা সব কোচিংয়ের শিক্ষকদের ক্লাস-লেকচারের ভিডিও ডিভিডিতে ধারণ করে ল্যাপটপের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। ক্লাসে এক লেকচার যেখানে দ্বিতীয়বার শোনার সুযোগ নেই, সেখানে প্রতিটি লেকচার শিক্ষার্থীরা বারবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আর এর বিনিময়ে কোনো টাকা-পয়সা দিতে তো হচ্ছেই না; উপরন্তু মিলছে বই ও লেকচারশিট। যদিও গত বছর অনেক বেশি আবেদন পড়ায় সামান্য কিছু টোকেন মানি নিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে বলে জানালেন মাহিন। বললেন, 'আগে উচ্চ মাধ্যমিকের পরই বন্ধ হয়ে যেত বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর পড়ালেখা, এখন বদলে গেছে এ চিত্র। মেয়েরাও এখন উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হচ্ছে। কোচিংয়ের ৫০ শতাংশই মেয়ে।'

২০১০ সালে ই-এডুকেশন প্রথম শুরু হয় চাঁদপুরের হাইমচরে। শুরুর বছর ছাত্রছাত্রী ছিল ৩৫ জন। পাঁচটি ল্যাপটপের মাধ্যমে শুরু হয় পাঠদান। এখন ছাত্রছাত্রী বাড়ায় প্রজেক্টরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাহিন জানালেন, সপ্তাহে চার দিন চলে ক্লাস। সপ্তাহান্তে নেওয়া হয় পরীক্ষা। ক্লাসের সময় তদারক করেন একজন শিক্ষক। এখান থেকে কোচিং করে যাঁরা চান্স পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কেবল যাতায়াত খরচ।

সাফল্যের খতিয়ান

২০১০ সালে ই-এডুকেশন চালু ছিল কেবল হাইমচরে। পরের বছর মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মুন্সীগঞ্জে চালু করা হয়। যদিও ২০১২ সাল থেকে চাঁদপুরের হাইমচর, পুরান বাজার, বাবুরহাট, হাজীগঞ্জে চালু আছে। ২০১০ সালে যাত্রা শুরু ৩৫ জন নিয়ে, পরের বছর ৪৫ জন। ২০১২ সালে ছাত্রছাত্রী ছিল ৩০০ এবং ২০১৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১২ জনে। প্রথম বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন করে চান্স পেয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়েছিল দুজন। গেল বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১০ জন। জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগরে দুজন করে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ভর্তি হয়েছে। অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভালোমানের অনেক কলেজে।


ঝুলিতে যত পুরস্কার


'ই-এডুকেশন' ২০১২ সালে জেতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ডেল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড', এটিই ছিল মাহিনের প্রথম বড় কোনো পুরস্কার। ২০১১ সালে অবশ্য জিতেছিলেন সিটিজেন ঘড়ি কম্পানির 'সিটিজেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড'। মাহিন জানান, 'ডেল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিয়েছিল এক হাজার ৮৯০টি প্রজেক্ট। প্রতিযোগিতা হয়েছে কয়েকটি ধাপে। অনলাইন ভোটিং, প্রেজেন্টেশন শেষে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল শীর্ষ ৪০টি দল। এর মধ্যে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুরস্কৃত হয় তিনটি প্রজেক্ট। এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন।'

২০১৩ সালে মাহিন ঝুলিতে পুরেছেন সবচেয়ে বেশি পুরস্কার। এগুলো হলো জাপানের 'ইয়ং সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড', 'তাকেদা এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড', 'ওয়াইইএ বিজনেস প্ল্যান অ্যাওয়ার্ড' ও আমেরিকার 'লেনোভো ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড'।

ইয়ং সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ, ওয়াইইএ ও লেনোভো ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে প্রতিযোগিতার ধরন ছিল প্রায় একই রকম, আবেদন করা হয়েছিল অনলাইনে। 'তাকেদা এন্টারপ্রেনারশিপ প্রতিযোগিতা ছিল একটু জটিল। অনলাইন সিলেকশনের পর ছিল ভোটিং। ভোটিং শেষে ওরাল প্রেজেন্টেশন, এর পর চূড়ান্ত প্রেজেন্টেশন। পুরস্কারটা আসে শিক্ষা ক্যাটাগরিতে। প্রতিযোগী ছিল প্রায় ৬০০।' জানান মাহিন।

একই আদলে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয়েছে 'ই-সায়েন্স' নামে নতুন একটি প্রকল্প। এতে নগরীর সেরা সেরা স্কুলের খ্যাতনামা শিক্ষকদের ক্লাস লেকচার ভিডিও করে গ্রামের বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে সহায়তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রকল্প- এসইকিউএইপি। বিশ্বব্যাংকের এ প্রকল্পে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন মাহিন। 'দেশের ছয়টি স্কুলে শুরু হয়েছে পাইলট প্রকল্প। জুন থেকে এটি চালু হবে ৬০টি স্কুলে। সফল হলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে এটি চালু হবে ১১ হাজার স্কুলে। আমাদের কাজ হচ্ছে কনটেন্ট ডেভেলপ আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। আমরা নবম-দশম শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতের কনটেন্ট তৈরি করেছি। সব মিলিয়ে ২৮০ ঘণ্টার কনটেন্ট থাকছে এতে।' জানালেন মাহিন।

নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে

ভিডির সাহায্যে ক্লাস করছে ছাত্রীরা

কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ডিভিডির মাধ্যমে যে ক্লাস করা যায়, শুরুর দিকে ছাত্রছাত্রীদের এটা বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। শুরুতে দলের সদস্যরাও বুঝতেন না বিষয়টা। আর্থিক সংকটও ছিল। মাহিন বললেন, 'মাঝেমধ্যে আর্থিক সংকট এমন দাঁড়াত, মনে হতো এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিই। বাধা আসত পরিবার থেকেও। কিন্তু আমি কারো বারণ মানিনি। বুঝতে পেরেছিলাম, এটা অনেক ভালো একটা কাজ হবে। গ্রামের একটি ছেলেও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়, তাহলে তার পরিবারটাই বদলে যাবে।'

নিজেও যখন ছাত্র

মাহিনের বাবা সৈয়দ আহমেদ শেখ বাহরাইনে চাকরি করতেন। মা মরিয়ম আকতার গৃহিণী। তিনি বলেন, 'ছেলেবেলায় দারুণ ফাঁকিবাজ ছিল মাহিন। স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় প্রায়ই মার খেত। মারের ভয়ে কোনো কোনো রাতে বাড়ি ফিরত না, কাটিয়ে দিত বাড়ির সামনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে মাস্টার্সের পাট চুকিয়েছেন আগেই। এখন মনবুকাগাকাশো স্কলারশিপ নিয়ে জাপানের হিতসুবিশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স করছেন মাহিন। থেমে নেই তাঁর কাজ। 'কিছুদিন পর এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শুরু হয়ে যাবে কোচিং। আরো বেশি ছাত্রছাত্রী যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, এটাই আমাদের টার্গেট।'

মাহিন এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যাকবোন ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি জাপানের বেসরকারি সংস্থা

'ই-এডুকেশন'-এর বাংলাদেশি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। গত বছর আউটসোর্সিং বিষয়ে ৪০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মাহিনের ব্যাকবোন ফাউন্ডেশন।

স্বপ্ন আরো বড়

মাহিন স্বপ্ন দেখেন সুন্দর এক বাংলাদেশের, যেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরাও শিক্ষার সমান সুযোগ পাবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে, তা নিয়েও কাজ করতে চান তিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও দেখেন মাহিন, যেখানে পাঠদান করা হবে বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস ডিভিডিতে ধারণের মাধ্যমে।


Source: http://www.kalerkantho.com/feature/celebuse-nai/2014/05/14/83877#30c30c2wcgx.12769.fa

2
Notice Board / Re: Daffodil Scholarship 2013 (circular)
« on: February 05, 2013, 07:36:20 AM »
Dear Students,

DF authority increase 10 days of application submission date and final application submission deadline is February 10, 2013.

Please collect and submit your application ASAP.

3
Notice Board / Daffodil Scholarship 2013 (circular)
« on: February 05, 2013, 07:32:56 AM »
Daffodil Scholarship 2013 (circular)


Advertisement:

Newspaper: Daily Chandpur Kantha
Date: December 5, 2012

Link: http://www.daffodilfoundation.org/notice.html

4
1st Batch / Re: Mahbub Alam s/o, Main uddin khan
« on: October 11, 2012, 08:10:42 AM »
Dear Mr. Mahbub,

Examination is a important part of one's life and who successfully overcome it. he/she get success in his/her life.

We Daffodil Foundation hopes you will appear examination with cool brain and get good result. We are also waiting for your bright future.

5
1st Batch / Re: Md. Omar Faruk, s/o Mohammad khan
« on: October 06, 2012, 11:48:05 PM »
Dear All,

Mr. Mohammad Omar Faruk (Fahim) is an student of Department of Law of Dhaka University.
Following article is written by him and published in Daily Prothom Alo of October 7, 2012.

Please read it...........

ভবঘুরে জীবনের হোক অবসান

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

ফার্মগেট ওভারব্রিজ এলাকায় থাকে শিউলীদের পরিবার। ভোলা থেকে এসেছে এক বছর আগে। রাত কাটে এখানেই। কখনো পুলিশ সরিয়ে দিলে মিরপুর-১০-এ চলে যায়। আবার চলে আসে। এখানে নাকি রোজগার ভালো। নিউমার্কেট ও গুলিস্তান এলাকায় গিয়ে তোরাব আলী ও সালেহার পরিবারের একই দশা দেখা গেল। তোরাব আলীর বসতভিটাও নদীতে তলিয়ে গেছে আর সালেহা ভাড়ার টাকা দিতে পারেননি বলে মালিক ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তাই রাস্তার পাশের ফুটপাতেই আশ্রয় নিতে হয়েছে পরিবারসমেত। তাঁদের প্রশ্ন করা হলো, সরকার যদি তাঁদের পুনর্বাসনকেন্দ্রে নিয়ে যায়, তবে তাঁরা যাবেন কি না। উত্তরে তাঁরা বললেন, তাঁদের পরিবারের সবাইকে নেওয়া হবে কি না, তাঁরা একসঙ্গে থাকতে পারবেন কি না! একটু বাড়িয়ে তাঁরা বললেন, তাঁদের যদি আশ্রয়কেন্দ্রে না নিয়ে কিছু টাকা দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করবেন, গায়ে খেটে একটা আশ্রয় জোগাড় করে নেবেন।

ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, পার্কে, ওভারব্রিজে পরিচিত দৃশ্য হিসেবে বিচরণ করতে দেখা যায় অর্ধনগ্ন ভবঘুরে ভাসমান মানুষ আর ভিক্ষুকদের। আশ্রয়হীন এসব মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকেন। উন্মুক্ত জায়গায় তাঁদের অবস্থানের ফলে পরিবেশেরও মারাত্মক দূষণ হচ্ছে। নিম্নমানের জীবনযাপনে মাদকের বিষাক্ত ছোবলে তাঁরা পর্যুদস্ত, কিন্তু তাঁদের কোথাও আশ্রয় নেই বলেই কেবল তাঁরা এসব স্থানে অবস্থান নেন, সেটিও একটি বিবেচনার ব্যাপার।

সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য সচেষ্ট থাকার কথা। অবশ্য বর্তমান সরকার ভবঘুরেদের পুনর্বাসনের জন্য ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১১ প্রণয়ন করে পুরোনো ভবঘুরে-সংক্রান্ত আইনকে রহিত করে পুনঃপ্রণয়ন ও সংহত করেছে। কিন্তু এই আইনে উল্লিখিত অনেক উদ্যোগই বাস্তবায়নযোগ্য কি না এবং হলেও তা কত দূর, তা নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে। ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট এই নতুন আইনটি পাস হওয়ার আগেই খসড়া বিলটি নিয়েই বিভিন্ন এনজিও, মানবাধিকারকর্মীরা বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাই সমালোচিত কিছু ধারা-উপধারা বাতিল করে বিলটি পাস হয়।

ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১১-তে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তির সংজ্ঞা দিয়ে কীভাবে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে পুনর্বাসিত করা যাবে, সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সৃষ্টি করা হয়েছে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাস্তা থেকে আটকের পর আদালত কর্তৃক ভবঘুরে ঘোষিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া এবং সেখানে অবস্থানসহ নানা দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই আইনে।
ভবঘুরে বলতে বোঝানো হয়েছে, ‘এমন কোনো ব্যক্তি যাহার বসবাসের বা রাত্রি যাপন করিবার মতো সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান বা জায়গা নাই অথবা যিনি কোনো উদ্দেশ্য ব্যতীত অযথা রাস্তায় ঘোরাফিরা করিয়া জনসাধারণকে বিরক্ত করেন অথবা যিনি নিজে বা কাহারো প্ররোচনায় ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হন; তবে কোনো ব্যক্তি দাতব্য, ধর্মীয় বা জনহিতকর কোনো কাজের উদ্দেশ্যে অর্থ, খাদ্য বা অন্য কোনো প্রকার দান সংগ্রহ করলে এবং উক্ত উদ্দেশ্যে বা কাজে তা ব্যবহার করলে তিনি এর অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আর নিরাশ্রয় ব্যক্তি অর্থ এমন কোনো ব্যক্তি যাহার বসবাসের বা রাত্রি যাপন করিবার মতো সুনির্দিষ্ট স্থান বা জায়গা এবং ভরণপোষণের জন্য নিজস্ব কোনো সংস্থান নাই এবং যিনি অসহায়ভাবে শহর বা গ্রামে ভাসমান অবস্থায় জীবনযাপন করেন এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা, সাহায্য, ইত্যাদি লাভ করেন না।’

ভবঘুরের সংজ্ঞার সমালোচনা আগে থেকে হলেও এর সঙ্গে নতুন আইনে কেবল ‘যিনি কোনো উদ্দেশ্য ব্যতীত অযথা রাস্তায় ঘোরাফিরা করিয়া জনসাধারণকে বিরক্ত করেন’ শব্দগুলো যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার নতুন হাতিয়ার তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। আবার জনসাধারণকে ঠিক কী কাজ করে বিরক্ত করা হলে তা আমলে আসবে, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই ব্যাপারটি পুলিশের ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করবে। আইনে বলা হয়েছে, সরকার-নির্ধারিত এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করবে। এই আইনে দু-এক দিনের জন্য কাউকে হয়রানিমূলক আটক করার সুযোগ রয়ে গেছে। কারণ, এই আইনেই বলা হয়েছে, ভুলবশত আটকের জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যাবে না।
আইনের তৃতীয় ধারায় এসব ভবঘুরে, নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে আশ্রয়দানের জন্য সরকারি অভ্যর্থনাকেন্দ্র এবং সরকারি বা বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলায় এক বা একাধিক সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও সরকার কর্তৃক বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করার নীতিও গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে দেশে এ ধরনের ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যার প্রধানটি রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত।

আইনে কোনো শিশুসন্তানসহ আটককৃত নারীকে সন্তানের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া ছাড়াও গর্ভবতী নারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে ব্যক্তি নিজে বা তাঁর পক্ষে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ভবঘুরেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও দেওয়া হয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। অভ্যর্থনাকেন্দ্রে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তার প্রতিবেদন তৈরি করে ভবঘুরে ব্যক্তি কুষ্ঠ, এইডস বা কোনো ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কি না, পরীক্ষা করে প্রয়োজনমতো সরকারি হাসপাতাল বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর কথা বলা আছে। কিন্তু সাত বছরের বেশি শিশুদের মায়ের সঙ্গে থাকার বিধান না থাকায় শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
আইনে ভবঘুরেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, সে নির্দেশনা রয়েছে। সে মতে, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বা সন্তোষজনক চাকরির ব্যবস্থার পর অথবা কোনো ব্যক্তি তাঁর দায়িত্ব নিলে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে তিনি মুক্তি পাবেন। যদি কোনো ভবঘুরে ওই মেয়াদের মধ্যে অনুমতি ব্যতীত পালিয়ে যান, তবে তিনি তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর যেসব ভবঘুরেকে কেউ ভিক্ষাবৃত্তিতে প্ররোচনা দিয়ে থাকে, তবে প্ররোচনাকারী দণ্ডবিধি ১৮৬০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬সহ এ-সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করবেন।

দেশে কেবল ভিক্ষুকের সংখ্যা নয় লাখের মতো, অথচ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ছয়টি; যেগুলোতে মোট এক হাজার ৯০০-এর মতো আসন রয়েছে। এ ছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের তিনটি দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রে প্রায় ৭৫০টি আসন রয়েছে। এই বিশাল ভিক্ষুক জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করতে প্রতিটি জেলায় নির্দিষ্টসংখ্যক কেন্দ্র স্থাপন জরুরি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ৮০ ভাগ ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য নিজ জেলায় যেতে চান এবং ৯৩ ভাগ ভিক্ষুক সরকারি সাহায্য পেলে এ পেশা ছাড়তে চান। তাই ভবঘুরে লোকের নিজ নিজ জেলায় স্বল্প মেয়াদে পুনর্বাসিত করাই যৌক্তিক হবে।

প্রণীত এই আইনে গঠিত হওয়া ভবঘুরে বোর্ডের গঠন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি খুবই সামান্য। অথচ সরকারের সদিচ্ছা, কর্মকর্তাদের নৈতিক ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে এই আইনের মাধ্যমে যাঁরা একদমই সহায়-সম্বলহীন কিংবা ইচ্ছা করে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকেন—এমন একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর ভবঘুরেদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে, অন্যান্য শ্রেণীর ভিক্ষুক, যাঁদের থাকার মতো জায়গা আছে, তবে মৌসুমিভাবে ভবঘুরে হন, তাঁদের সরকারি সাহায্য প্রদান করে ক্ষুদ্র ব্যবসার ব্যবস্থা করলে ভবঘুরে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভিক্ষুকবিষয়ক সেলের হিসাব অনুযায়ী ৬১ ভাগ ভিক্ষুক সেটাই চান। ভিক্ষুক ভবঘুরেদের শ্রেণী নির্ধারণ করে কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নিয়ে এভাবে শিউলী, সালেহা আর তোরাব আলীদের ঠাঁই নেওয়ার মতো একটু জায়গা দিতে পারলে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টির সঙ্গে তাঁদের কান্নাও হয়তো আর মিলিয়ে যাবে না হতাশার গভীর কুয়াশায়।

মতামত
ভবঘুরে আইনের উদ্দেশ্য মহৎ। তবে এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ভবঘুরেদের চলাচলের স্বাধীনতার মতো কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা আছে। উপযুক্ত তহবিল গঠন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন আগেই নিশ্চিত না করলে এসব আইন বাস্তবায়নযোগ্য বলে গণ্য হওয়ার নয়।
ড. মিজানুর রহমান
চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন


Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-07/news/295697

6
Should Follow / Islamin Hadith
« on: September 18, 2012, 06:46:03 AM »
পছন্দনীয় এ অপছন্দনী স্বপ্ন ।

আবু সা'ঈদ খুদরী [রা:] থেকে বণির্ত । তিনি রাসুলুল্লাহ [সা:]কে বলতে শুনেছেন যে, তোমরা কেউ পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, সুতরাং সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং প্রিয়জনদের কাছে বলে । অপর বণর্নায় আছে সে যেন প্রিয়জন ছাড়া করো কাছে না বলে । আর অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে, সুতরাং সে যেন তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রথর্না করে এবং কারো কাছে না বলে । তাহলে তা তার কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না । [বুখারী-৬৯৮৫]

7
Notice Board / Re: Get Together of Daffodil Foundation Family
« on: August 29, 2012, 01:15:30 AM »
Media Coverage of the Get Together of Daffodil Foundation Family

Please check the link http://daffodilfoundation.org/media-coverage.html

8
General Knowledge / General Knowledge :: World Geography
« on: August 29, 2012, 12:31:54 AM »
General Knowledge :: World Geography


Please click the link http://www.indiabix.com/general-knowledge/world-geography/

9
1st Batch / Re: Farzana Khandoker Pinki, d/o Anwar Hossain Khondoker
« on: August 28, 2012, 08:56:56 PM »
Dear Ms. Farzana Khandoker Pinki,

Thanks for your reply.
But you have to submit an application to Mr. Rubel (Coordinator, DS Chandpur Project Office) for your betterment in future.

Thanking You.
Daffodil Foundation (DF).

10
Notice Board / Re: Get Together of Daffodil Foundation Family
« on: August 25, 2012, 06:53:47 AM »
Dear Students of Daffodil Scholarship (DS),

Gratitude:
We are thanking those students who attended in the Get Together Program of Daffodil Foundation Family organized by Daffodil Foundation (DF) on August 21, 2012 at Baburhat High School, Chandpur.

Warning:
We also give you an warning for those students who were absent in that program after informing them several times by phone call from Mr. Rubel & Mr. Mehedi or mail or Notice on DF Forum and they have to submit an application within seven days with his/her parents signature addressing to following person about the cause of their absence in that program. (This warning is applicable for running DS students.)

If the DF authority feel the cause does not fill up the criteria of absence in that program, their scholarship will be stopped for next month.

Application addressing to:

Md. Rubel Khan
Coordinator (DF Project Office)
Daffodil Foundation (DF)
Chandpur Sadar, Chandpur.

11
Notice Board / Scholarship Distribution of DS 3rd batch
« on: August 13, 2012, 12:46:25 AM »
Scholarship Distribution of DS 3rd batch


Dear Students (DS 3rd batch),


Daffodil Foundation (DF) welcomes you.
You will be glad to know that you will get your first scholarship from DF as per following schedule.

Date:   Day after Eid Ul Fitr 2012.
Venue: Baburhat High School, Baburhat, Chandpur.
Time:   10:00 AM

Mr. Md. Sabur Khan, Honorable Chairman and other high officials of Daffodil Foundation (DF)  will be present in this scholarship distribution program.

You are requested to present in time.


Thanking You.

Daffodil Foundation (DF)

12
Notice Board / Get Together of Daffodil Foundation Family
« on: August 12, 2012, 10:19:58 PM »
Get Together of Daffodil Foundation Family


Date:  Day after Eid Ul Fitr 2012
Venue: Baburhat High School, Baburhat, Chandpur.
Time:  10:00 AM
Chief Guest: Mr. Md. Sabur Khan, Honorable Chairman, Daffodil Foundation.

Event Highlights: Speech and direction of honorable chief guest, scholarship distribution to DS 3rd batch, idea sharing, career based discussion, quiz competition, photo session, refreshment  etc.

All DF students and officials are cordially invited in this programs.

Thank You.

Daffodil Foundation

14
Career / Career/Wikipedia
« on: August 11, 2012, 04:11:19 AM »
Career/Wikipedia

Please visit the link http://en.wikipedia.org/wiki/Career

15
Bangladesh / Virtual Bangladesh Website
« on: August 07, 2012, 05:59:01 AM »
Dear,

Please visit the Website of Virtual Bangladesh

http://www.virtualbangladesh.com/

Pages: [1] 2 3 ... 6