Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - ashraful.diss

Pages: [1] 2 3 ... 20
1
🌾 ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন – জীবিকা (চাঁদপুর)

সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য একটি সম্মানজনক জীবন গড়ে তোলাই ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন-এর অন্যতম লক্ষ্য। বিধবা, ইয়াতিম, বয়স্ক ও বিপদাপন্ন মানুষরা প্রায়ই জীবিকার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করেন। তাদের জন্য টেকসই সমাধান তৈরি করতেই ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছে “জীবিকা – চাঁদপুর” কর্মসূচি।

কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য

✅ বিধবা, ইয়াতিম, বয়স্ক ও অসহায় মানুষদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি করা
✅ দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা
✅ দারিদ্র্য হ্রাস ও পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা

সাম্প্রতিক কার্যক্রম

📌 গাভী ও ছাগল পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ
📌 গরু মোটাতাজাকরণ কৌশল নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন
📌 অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ প্রদান
📌 গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখার পথ উন্মুক্ত করা

প্রত্যাশিত ফলাফল

🌟 প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিবারগুলো নিয়মিত আয় করতে সক্ষম হবে
🌟 স্থানীয় পর্যায়ে পশুপালন ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি শক্তিশালী হবে
🌟 অসহায় মানুষরা আত্মসম্মান ও স্বনির্ভর জীবনে অভ্যস্ত হবে

🌱 ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে—শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ স্বনির্ভর হতে পারে।
“জীবিকা – চাঁদপুর” প্রকল্প সেই স্বপ্নপূরণের একটি বাস্তব উদ্যোগ।

2
🌍 ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন – মানবিক বিপর্যয় প্রতিরোধে উদ্যোগ

দুর্যোগ মানুষের জীবনে অনিবার্য সত্য। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট—যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মুহূর্তের মধ্যে পারিবারিক স্থিতি নষ্ট করে দিতে পারে, মানুষের জীবনে এনে দিতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়। বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী মানুষরা এসব পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে—সঠিক সচেতনতা, প্রস্তুতি এবং সহায়তার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই আমরা কাজ করছি:

আমাদের কার্যক্রম

🔹 দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ – পরিবার ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি
🔹 প্রতিবন্ধী-বান্ধব কর্মসূচি – বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
🔹 মানবিক সহায়তা – দুর্গত মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা ও মানসিক সমর্থন প্রদান
🔹 সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি – স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা

আমাদের লক্ষ্য

✅ পরিবারকে স্বনির্ভর করে তোলা
✅ ব্যক্তি পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা
✅ দুর্যোগ-পরবর্তী মানবিক বিপর্যয় রোধ করা
✅ সমাজে একটি টেকসই ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা

🌱 ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে—মানবিক সহযোগিতা ও সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে একটি মানবিক, সহমর্মী ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

3
Right / মনকে নিজের আয়ত্বে আনুন
« on: August 30, 2025, 12:37:49 AM »

মনকে নিজের আয়ত্বে আনুন

মনকে নিজের আয়ত্বে আনুন, এটাই হল আকবরী হজ; হাজার হাজার কা'বা থেকে একটি হৃদয় অতি উত্তম

একটি প্রবাদ যা আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে আলোড়ন সৃষ্টি করে, আমাদের জীবনের লক্ষ্য ও তাৎপর্য সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখায়। সেই প্রবাদটি হলো – "মনকে নিজের আয়ত্বে আনুন, এটাই হল আকবরী হজ; হাজার হাজার কা'বা থেকে একটি হৃদয় অতি উত্তম।"

এই বাক্যটি আপাতদৃষ্টিতে সরল মনে হলেও, এর গভীরতা অসীম। হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়। কা'বা শরীফ মুসলিমদের পবিত্রতম স্থান, যেখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় ছুটে যান। তাহলে কেন একটি হৃদয়কে হাজার হাজার কা'বার থেকেও উত্তম বলা হচ্ছে?

এর কারণ হলো, বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানের চেয়ে অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হজ একটি শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত, যা আমাদের পাপ মোচনের এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। কিন্তু যদি আমাদের মন কলুষিত থাকে, হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার আর পার্থিব লোভ-লালসায় পরিপূর্ণ থাকে, তাহলে শুধু বাহ্যিক হজের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তি লাভ করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে, একটি বিশুদ্ধ হৃদয় আল্লাহর আরশস্বরূপ। যে হৃদয়ে ভালোবাসা, সহানুভূতি, ক্ষমা, এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বিদ্যমান, সেই হৃদয় আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। যখন আমরা আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, কুপ্রবৃত্তি দমন করতে পারি এবং সৎগুণাবলী অর্জন করতে পারি, তখন আমরা যেন আমাদের অন্তরেই এক পবিত্র কাবা নির্মাণ করি।

আকবরী হজ বলতে এখানে সেই আধ্যাত্মিক যাত্রাকে বোঝানো হচ্ছে, যেখানে একজন মানুষ তার ভেতরের কুপ্রবৃত্তি ও অন্ধকারকে পরাজিত করে আত্মশুদ্ধির পথে অগ্রসর হয়। এই যাত্রা কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সাধনা।

হাজার হাজার কা'বা প্রদক্ষিণ হয়তো বাহ্যিক দিক থেকে অনেক বড় ইবাদত মনে হতে পারে, কিন্তু একটি বিশুদ্ধ হৃদয় আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও ভালোবাসার আবাসস্থল। যে হৃদয় অন্যের কষ্টে ব্যথিত হয়, অন্যের সুখে আনন্দিত হয়, এবং সর্বদা ন্যায় ও কল্যাণের পথে অবিচল থাকে – সেই হৃদয় নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে অধিক মূল্যবান।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহ আমাদের বাহ্যিক রূপ বা সম্পদের দিকে তাকান না, বরং তিনি আমাদের অন্তরের পবিত্রতা ও ভালোবাসার গভীরতা দেখেন। তাই আসুন, আমরা আমাদের বাহ্যিক ইবাদতের পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ জগতকে পরিশুদ্ধ করার দিকে মনোযোগ দেই।

আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখি। লোভ, মোহ, অহংকার, ঘৃণা – এই সমস্ত নেতিবাচক আবেগ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখি। ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমা, এবং ভালোবাসার মতো গুণাবলী নিজেদের মধ্যে লালন করি।

যখন আমরা আমাদের মনকে আয়ত্তে আনতে পারব, তখন আমাদের প্রতিটি কাজ ইবাদতে পরিণত হবে। আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাস আল্লাহর স্মরণে ভরে উঠবে। তখন আমাদের হৃদয়ই হবে আমাদের আকবরী হজ, এবং সেই পবিত্র হৃদয় নিঃসন্দেহে হাজার হাজার কা'বার চেয়েও উত্তম হবে।

আমাদের অন্তরকে পবিত্র করি, আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করি এবং একটি সুন্দর, সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলি।


4
Survey / সেই কঠোর হাতের স্নেহ
« on: August 25, 2025, 11:21:16 PM »
সেই কঠোর হাতের স্নেহ

বারিধারা মাদ্রাসার সবুজ চত্বরে পা রাখতেই আমার স্মৃতিরা ভিড় করে আসে। নাহুমীর ক্লাসের সেই দিনগুলো, কঠিন সবক আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টির এক শিক্ষকের মুখ – হোসাইন আহমেদ। নামটা মনে পড়তেই একটা চাপা অস্বস্তি যেন বুকের ভেতর মোচড় দেয়। তিনি ছিলেন রাশভারী, ক্লাসে ঢুকলেই পিনপতন নীরবতা নেমে আসত। আমাদের পড়াতেন সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া।

একদিন ক্লাসে এসেই হুকুম দিলেন, "সিরাত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ শুনাও।" বুক ধুকপুক করছিল, তবুও সাহস করে দাঁড়ালাম। গড়গড় করে অনেকটা অংশ শুনিয়ে গেলাম। কিন্তু এক কঠিন অধ্যায়ে এসে তালগোল পাকিয়ে গেল। একটি শব্দও আর মনে পড়ছে না।

সাথে সাথেই গর্জে উঠলেন হোসাইন আহমেদ, "বের হও ক্লাস থেকে!" মুহূর্তের মধ্যে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল আমার মাথায়। শুধু বের করেই দিলেন না, দু'কানে হাত দিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকার শাস্তিও দিলেন। তীব্র রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে কান দুটো টনটন করছিল, চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি।

অথচ আজ, সেই হোসাইন আহমেদ আর নেই। কিন্তু যতবার বারিধারা মাদ্রাসায় যাই, আমার পা যেন আপনাআপনি তার পুরোনো ঘরের দিকে চলে যায়। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবে থাকি। ভেতরে উনার স্মৃতিগুলো আজও জীবন্ত।

আশ্চর্য লাগে, এত শাসনের পরেও কেন আমি সেই শিক্ষককে এত ভালোবাসি? কেন প্রতিবার মাদ্রাসায় গিয়ে উনার সাথে দেখা করার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে? কেন উনার জন্য আজও আমার অন্তর থেকে দোয়া বের হয়?

এর উত্তর আমি বহুবার খুঁজেছি। ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছি, সেই কঠিন হাতের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক স্নেহপূর্ণ হৃদয়। হোসাইন আহমেদ কখনো নিজের স্বার্থে আমাদের শাসন করতেন না। তার প্রতিটি ধমক, প্রতিটি শাস্তি ছিল আমাদের ভালোর জন্য। তিনি চাইতেন আমরা জ্ঞান অর্জন করি, সত্যের পথে অবিচল থাকি। সেই দিনের কান ধরে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকার শাস্তি হয়তো আমার স্মৃতিতে গভীর দাগ কেটেছিল, কিন্তু একইসাথে বুঝিয়েছিল, শিক্ষকের শাসন কতটা কঠোর হতে পারে।

উনার সেই কঠিন নিয়মনিষ্ঠা, জ্ঞানের প্রতি গভীর অনুরাগ, ছাত্রদের ভবিষ্যতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম – এই সবকিছুই ধীরে ধীরে আমার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আপাতদৃষ্টিতে রাগী মনে হলেও, আমার সেই শিক্ষক আসলে ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর ছাত্ররা যেন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।

তাই আজ যখন সেই পুরোনো ক্লাসরুমের সামনে দাঁড়াই, আমার চোখে পানি আসে। সেই কান্নার কারণ ভয় নয়, বরং গভীর ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার। হোসাইন আহমেদ হয়তো আর ইহলোকে নেই, কিন্তু তাঁর Ensenanzas, তাঁর কঠোর স্নেহ আমার জীবনে আজও এক অমূল্য সম্পদ। আমি বিশ্বাস করি, আমার মতো আরও অনেক ছাত্রের হৃদয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন – একজন কঠোর, কিন্তু পরম হিতাকাঙ্ক্ষী শিক্ষক হিসেবে।


5
ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের শিশুদের শাসন: সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়, তবে ভুল ধারণার অবকাশ নেই

ডিআইএসএস চাইল্ড হোম – একটি আশ্রয়, একটি পরিবার বঞ্চিত শিশুদের জন্য। এখানে যারা পরিচর্যা করেন, তারা শুধু কর্মী নন, তারা যেন এই শিশুদের বাবা-মা, বন্ধু, পথপ্রদর্শক। স্বাভাবিকভাবেই, একটি পরিবারের মতো এখানেও নিয়মকানুন থাকে, আর সেই নিয়ম ভাঙলে শাসনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রায়শই, এই শাসনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সমালোচনা হয়। আজ আমি সেই বিষয়টির গভীরে যেতে চাই, কোনো সমালোচনা নয়, বরং একটি বাস্তবসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করতে চাই।

আমাদের সমাজে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, শিশুদের শাসন করা মানেই তাদের প্রতি অবিচার করা, তাদের মানসিক বিকাশে বাধা দেওয়া। বিশেষ করে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে শিশুদের শাসনের প্রসঙ্গ আসে, তখন অনেকেই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। কিন্তু ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের প্রেক্ষাপটটি একটু ভিন্নভাবে বোঝা দরকার।

প্রথমত, এখানে যারা শিশুদের লালন-পালন করেন, তারা কোনো ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে তাদের শাসন করেন না। তাদের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই এই শিশুদের উপর রাগ দেখানোর। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো এই অসহায় শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। একটি সুস্থ, সুশৃঙ্খল জীবন দেওয়ার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা অপরিহার্য। আর সেই নিয়ম ভাঙলে, তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য শাসনের প্রয়োজন হয়।

দ্বিতীয়ত, এই শিশুরা অনেকেই কঠিন জীবন পার করে এখানে এসেছে। হয়তো তারা দেখেছে অবহেলা, বঞ্চনা, এমনকি সহিংসতাও। তাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো নিয়ম মানার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। এমন পরিস্থিতিতে, ভালোবাসা এবং ধৈর্যের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে শাসনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেই শাসন যেন অবশ্যই হয় গঠনমূলক। এমন শাসন যা তাদের ভুল বুঝতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতে সেই ভুল আর না করার শিক্ষা দেয়। শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন কখনোই কাম্য নয় এবং আমি বিশ্বাস করি ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।

তৃতীয়ত, আমাদের মনে রাখতে হবে, শিশুরা শেখে তাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে। যদি তারা দেখে যে কোনো ভুল কাজের জন্য কোনো রকম অনুশোচনা বা শাস্তির ভয় নেই, তাহলে তারা হয়তো সেই ভুল কাজ বারবার করতে উৎসাহিত হবে। একটি সঠিক শাসনের পদ্ধতি শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মতো গুণাবলী বিকাশে সাহায্য করে। তারা বুঝতে শেখে যে তাদের আচরণের একটি ফলাফল আছে।

কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এই বিষয়টিকে সংবেদনশীলতার সাথে বিবেচনা করুন। যখন কোনো অভিভাবক বা শুভানুধ্যায়ী শিশুদের শাসনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন তাদের ভুল ধারণা ভাঙানো প্রয়োজন। তাদের বোঝানো প্রয়োজন যে, এখানে যারা শিশুদের লালন-পালন করেন, তারা তাদের সর্বোচ্চ ভালো চান। তাদের শাসন হয়তো কখনো কখনো কঠোর মনে হতে পারে, কিন্তু তার পেছনে রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সুরক্ষা এবং উন্নতি কামনার আন্তরিক প্রচেষ্টা।

তবে একইসাথে, কর্তৃপক্ষেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। শাসনের পদ্ধতি যেন সবসময় শিশুবান্ধব হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রকার শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন যেন কোনোভাবেই প্রশ্রয় না পায়। প্রতিটি শিশুর মানসিক এবং আবেগিক চাহিদা বিবেচনা করে শাসনের পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত। প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

পরিশেষে আমি এটাই বলতে চাই, ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের শিশুদের শাসনকে একপেশেভাবে সমালোচনা করা উচিত নয়। বরং এর পেছনের উদ্দেশ্য এবং প্রেক্ষাপট বোঝার চেষ্টা করা উচিত। শিক্ষকের বা পরিচর্যাকারীর ব্যক্তিগত স্বার্থ এখানে মুখ্য নয়, মুখ্য হলো শিশুদের কল্যাণ। আসুন, আমরা সকলে মিলে এই শিশুদের একটি সুন্দর এবং সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য সহানুভূতিশীল হই এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করি।


6
📖 দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে শিক্ষা উদ্যোগ

ডিআইএসএস বিশ্বাস করে—সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব শুধুমাত্র শিক্ষা, দক্ষতা ও নৈতিক মান উন্নয়নের মাধ্যমে।
এজন্য আমরা দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছি:

1️⃣ বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি

🔹 নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সহজ ও ব্যবহারিক শিক্ষা
🔹 দৈনন্দিন জীবনে প্রযোজ্য পঠন, লিখন ও গাণিতিক জ্ঞান প্রদান
🔹 আর্থিক ও সামাজিক জীবনে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা

2️⃣ শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

🔹 শিশুদের মৌলিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো
🔹 খেলাধুলা, গল্প ও চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি
🔹 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও ভিত্তি তৈরি

🎯 আমাদের মূল লক্ষ্য

✅ লক্ষিত জনগোষ্ঠীর নিরক্ষরতা দূরীকরণ
✅ ব্যক্তিগত ও সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
✅ আগামী প্রজন্মকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা

🌱 এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চাই—
একটি শিক্ষিত, দক্ষ ও নৈতিক সমাজ গড়ে তুলতে, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

7
অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস স্পর্শ না করার গুরুত্ব: কুরআন ও হাদিসের আলোকে ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের শিশুদের জন্য নৈতিক শিক্ষা সেশন

সেশনের শিরোনাম: অন্যের জিনিসের প্রতি সম্মান: ইসলামে অনুমতির গুরুত্ব

সেশনের উদ্দেশ্য:

১। ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের শিশুদের অনুমতি ছাড়া অন্যের জিনিস ধরা বা ব্যবহার না করার গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো।
২। কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট দলিল ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে এই নৈতিক শিক্ষার অপরিহার্যতা তুলে ধরা।
৩। শিশুদের মধ্যে অন্যের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা এবং এর তাৎপর্য উপলব্ধি করানো।
৪। তাদের দৈনন্দিন জীবনে এই শিক্ষা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা এবং এর সুফল সম্পর্কে জানানো।

সময়: প্রায় ৪৫-৫০ মিনিট

উপকরণ:

১। কুরআনের আয়াত ও হাদিসের নির্বাচিত অংশ (স্পষ্ট আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ পোস্টার বা স্লাইডে লিখে আনা)।
২। কিছু সাধারণ জিনিসপত্র (যেমন: কলম, বই, খেলনা) উদাহরণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।

সেশনের ধাপ:

১. ভূমিকা ও শুভেচ্ছা (৫ মিনিট):

১। কাউন্সিলর শিশুদের আন্তরিকভাবে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) জানাবেন এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন।
২। তাদের নাম ও সাধারণ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার মাধ্যমে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করবেন।
৩। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবেন: "আজ আমরা কুরআন ও হাদিসের আলোকে শিখবো কেন আমাদের কারো অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস ধরা বা ব্যবহার করা উচিত না। ইসলাম এ বিষয়ে আমাদের কী শিক্ষা দেয় এবং কেন এটা আমাদের জীবনে মেনে চলা জরুরি।

"২. কুরআনের দলিল ও ব্যাখ্যা (১৫ মিনিট):

১। কাউন্সিলর কুরআনের সুস্পষ্ট দলিল তেলাওয়াত করবেন এবং শিশুদের উপযোগী সরল ভাষায় এর অর্থ ও ব্যাখ্যা পেশ করবেন:
২। সূরা আন-নিসা'র ২৯ নম্বর আয়াত:
৩। আরবি: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
৪। বাংলা অর্থ: "হে মুমিনগণ! তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসার মাধ্যমে যা অর্জিত হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু।

৫। "ব্যাখ্যা: কাউন্সিলর এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোঝাবেন যে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করতে নিষেধ করেছেন। পারস্পরিক সম্মতিতে লেনদেন বৈধ হলেও কারো জিনিস তার অনুমতি ছাড়া নেওয়া বা ব্যবহার করা 'অন্যায় ভক্ষণ'-এর অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

৬। সূরা আল-হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতের অংশ:
৭। আরবি: وَلَا تَجَسَّسُوا
৮। বাংলা অর্থ: "এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না।

"ব্যাখ্যা: যদিও এই আয়াত মূলত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে, কাউন্সিলর এর অন্তর্নিহিত অর্থ শিশুদের কাছে তুলে ধরবেন। অন্যের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র তার অনুমতি ছাড়া ধরা বা দেখা এক ধরনের অনধিকার চর্চা এবং এটি গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এটি অন্যের অপছন্দ হতে পারে এবং তাদের মনে কষ্ট দিতে পারে। ইসলাম অন্যের অনুভূতি ও অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর শিক্ষা দেয়।

৩.  হাদিসের দলিল ও ব্যাখ্যা (২০ মিনিট):

১। কাউন্সিলর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু সুস্পষ্ট হাদিস উল্লেখ করবেন এবং সহজ ভাষায় এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবেন:
২। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
৩। আরবি: لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ
৪। বাংলা অর্থ: "কোনো মুসলিমের সম্পদ তার আন্তরিক সন্তুষ্টি ছাড়া গ্রহণ করা হালাল নয়।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ২০৬৯৫)

৫। ব্যাখ্যা: এই হাদিসটি অত্যন্ত স্পষ্ট দলিল যে কোনো মুসলিমের জিনিস তার খুশি ও আন্তরিক অনুমতি ছাড়া নেওয়া বা ব্যবহার করা ইসলামে বৈধ নয়, বরং তা হারাম। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, অন্যের সামান্য জিনিসও তার অনুমতি ছাড়া স্পর্শ করা উচিত নয়।
৬। অন্য একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
৭। আরবি: كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ
৮। বাংলা অর্থ: "তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।" (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৮২৯)

৯। ব্যাখ্যা: এই হাদিসের মাধ্যমে কাউন্সিলর বোঝাবেন যে আমাদের প্রতিটি কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। অন্যের জিনিসের প্রতি সম্মান দেখানো এবং অনুমতি ছাড়া তা স্পর্শ না করা আমাদের দায়িত্বের অংশ। এই দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
১০। একটি শিক্ষামূলক ঘটনা: কাউন্সিলর একটি ছোট ঘটনা উল্লেখ করতে পারেন, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অন্যের সামান্য জিনিসও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, কারো ছড়ি বা মেসওয়াকও অনুমতি ছাড়া ধরা উচিত নয়।

৪.  বাস্তব উদাহরণ ও আলোচনা (৫ মিনিট):

১। কাউন্সিলর শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু বাস্তব উদাহরণ দেবেন এবং তাদের মতামত জানতে চাইবেন:
২। "যদি তোমার কোনো বন্ধু একটি নতুন পেন্সিল নিয়ে আসে, তুমি কি তার অনুমতি ছাড়া সেটি ব্যবহার করতে পারো?" (শিশুদের 'না' বলার জন্য উৎসাহিত করুন)
৩। "হোমের অন্য কোনো ভাই বা বোনের ব্যক্তিগত জামাকাপড় বা খেলনা কি তোমরা না জিজ্ঞাসা করে ধরতে পারো?" (তাদের নীতিবাচক উত্তর প্রত্যাশা করুন)
৪। "যদি তোমরা কারো বই টেবিলে রাখা দেখো এবং সেটি পড়তে ইচ্ছে করে, তোমাদের প্রথম কাজ কী হওয়া উচিত?" (তাদের 'অনুমতি চাওয়া' উত্তর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন)
৫। কাউন্সিলর তাদের জিজ্ঞাসা করবেন, যদি তাদের কোনো প্রিয় জিনিস অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া নেয়, তাদের কেমন লাগবে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে অন্যের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি তৈরি হবে।
৬। কাউন্সিলর তাদের শেখাবেন যে সবসময় বিনয়ের সাথে অনুমতি চাওয়া উচিত এবং অনুমতি পাওয়ার পরেই কেবল সেই জিনিস ব্যবহার করা উচিত।

৫. সারসংক্ষেপ ও দোয়া (৫ মিনিট):

১। কাউন্সিলর আজকের আলোচনার মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে পুনরায় উল্লেখ করবেন:
২। কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট দলিল অনুযায়ী কারো অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস ধরা বা ব্যবহার করা ইসলামে জায়েজ নয়।
৩। অন্যের সম্পদের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।
৪। অনুমতি ছাড়া অন্যের জিনিস ব্যবহার করলে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে।
৫। আমাদের উচিত সবসময় অন্যের কাছে অনুমতি চাওয়া এবং তাদের সম্মতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
৬। কাউন্সিলর শিশুদের এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা তাদের জীবনে মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করবেন এবং এর ফজিলত সম্পর্কে বলবেন।
৭। পরিশেষে, কাউন্সিলর এবং শিশুরা একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন তিনি তাদের এই বিষয়ে জ্ঞান দান করেন এবং তা মেনে চলার তাওফিক দান করেন।

কাউন্সিলরের জন্য কিছু টিপস:

১। শিশুদের সাথে আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। তাদের বোঝার মতো সহজ ভাষায় কথা বলুন।
২। আলোচনাকে জীবন্ত ও আকর্ষণীয় করার জন্য ছোট ছোট গল্প বা শিক্ষামূলক উদাহরণ ব্যবহার করুন।
৩। শিশুদের প্রশ্ন করার এবং তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিন।
৪। যারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে তাদের প্রশংসা করুন এবং অন্যদের উৎসাহিত করুন।
৫। নিয়মিতভাবে এই ধরনের নৈতিক শিক্ষা সেশনের আয়োজন করুন এবং বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি করুন।

এই কাঠামোটি অনুসরণ করে আপনি ডিআইএসএস চাইল্ড হোমের শিশুদের জন্য কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট দলিলের মাধ্যমে অনুমতি ছাড়া কোনো জিনিস স্পর্শ না করার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি কার্যকর নৈতিক শিক্ষা সেশন পরিচালনা করতে পারেন। আল্লাহ আপনাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।


8
🌱DISS: যেখান থেকে শিশুর নতুন জীবনের যাত্রা শুরু হয়... 🌱

অনেক শিশুর জন্য “শৈশব” মানেই অভাব, অনিশ্চয়তা আর অবহেলা। কেউ হয়তো বাবা-মাকে হারিয়েছে, কেউ বেড়ে উঠছে ক্ষুধা আর কষ্টের মধ্য দিয়ে।

কিন্তু এক জায়গা আছে, যেখানে এই সব ‘অসহায়’ শিশুরা পায় ভালোবাসা, শিক্ষা, আশ্রয় আর স্বপ্ন দেখার সুযোগ
সেই জায়গাটির নাম –Daffodil Institute of Social Sciences (DISS Child Home)।

🏡 DISS কী করে?

DISS কোনো সাধারণ প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পূর্ণাঙ্গ জীবন-সহায়ক ব্যবস্থা, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পায়—

🔹 নিরাপদ আবাসন ও খাবার
🔹 বিনামূল্যে শিক্ষা ও ইসলামিক আদর্শ শিক্ষা
🔹 জামা-কাপড়, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা
🔹 খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ
🔹 কম্পিউটার ও জীবনদক্ষতা প্রশিক্ষণ
🔹 মায়ের মতো কেয়ার ও বাবার মতো দায়িত্ব


প্রতিটি শিশু যেন নিজের সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করতে পারে, সেটাই DISS-এর অঙ্গীকার

👦👧 DISS-এর ছায়ায় শিশুরা বদলে যাচ্ছে...

এখানে কেউ ‘এতিম’ নয়, কেউ ‘অসহায়’ নয়। এখানে সবাই নিজের মতো করে বাঁচে, শেখে, বেড়ে ওঠে।
DISS শিশুদের দেয়—ঘরের মতো নিরাপত্তা, পরিবারের মতো মমতা, আর সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচার সাহস

📢 আমরা চাই না কোনো শিশু ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাক। চাই না তারা অন্ধকারে হারিয়ে যাক। আমরা চাই, তারা বড় হোক স্বপ্ন নিয়ে, শক্তি নিয়ে, আলোর পথে।

💚 যদি আপনিও চান একটি শিশুর জীবন বদলাতে, জানতে চান DISS সম্পর্কে আরও, অথবা পাশে দাঁড়াতে চান— যোগাযোগ করুন, এগিয়ে আসুন।

DISS—যেখানে ভালোবাসা, আশ্রয় ও সম্ভাবনার এক অপূর্ব সম্মিলন

9
🛠️
ডিআইএসএস শিশুদের নিয়ে একটি অর্থবহ ও শিক্ষামূলক ওয়ার্কশপ

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) সবসময় চেষ্টা করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শুধু পড়ালেখা নয়, ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম দিতে।

এই লক্ষ্যেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ — যেখানে শিশুরা শিখেছে নতুন কিছু, অনুভব করেছে আত্মসম্মান, এবং প্রকাশ করেছে নিজেদের প্রতিভা।

🎯 ওয়ার্কশপের মূল উদ্দেশ্য:

শিশুদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানো
সাংগঠনিক আচরণ, মূল্যবোধ ও দলে কাজ করার ক্ষমতা গড়ে তোলা
নিজের চিন্তা ও স্বপ্নগুলো প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া
সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির অনুপ্রেরণা দেওয়া

👦👧 ওয়ার্কশপে ছিল—

✅ Storytelling সেশন
✅ Art & Expression ক্লাস
✅ Basic Life Skills (কীভাবে নিজের খেয়াল রাখতে হয়)
✅ ‘আমার স্বপ্ন’ লিখন ও আলোচনা
✅ গ্রুপ গেম, নাট্যচর্চা ও নেতৃত্ব অনুশীলন

💬 শিশুদের অভিব্যক্তি:

“আমি আগে জানতাম না আমি এত ভালো গল্প বলতে পারি।”
“আমরা একসাথে কাজ করেছি, মজা করেছি, আবার শিখেছিও।”
“আমি এখন বুঝতে পেরেছি, আমি শুধু একজন সুবিধাবঞ্চিত না — আমি একজন মানুষ, যার স্বপ্ন আছে।”

🫂 কেন এমন ওয়ার্কশপ জরুরি?

DISS বিশ্বাস করে— প্রতিটি শিশু হচ্ছে একটি সম্ভাবনার আঁধার
এই ওয়ার্কশপ তাদের শেখায় কীভাবে তারা নিজের শক্তিকে চিনে নেয়, দলবদ্ধভাবে কাজ করে এবং সাহসের সাথে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায়।

🤝 ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

DISS শিশুদের জন্য প্রতি মাসে বিষয়ভিত্তিক ওয়ার্কশপ আয়োজন করার উদ্যোগ নিচ্ছি—
যাতে করে তারা হয়ে উঠতে পারে আত্মনির্ভরশীল, নেতৃত্বদানে সক্ষম, এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক।

🔔 সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই ওয়ার্কশপে সময়, শ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে পাশে ছিলেন।

📌 আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবক, প্রশিক্ষক, ও দাতা—আপনারাও যুক্ত হতে পারেন।
যোগাযোগ করুন:
📞 01811458870 / 01847140186 / 01847334947

📍 #DISSWorkshop #ChildrenDevelopment #HopeInAction #DaffodilFoundation #EmpowerChildren #SupportDISS


10
🎓 একটি শিশুর পেছনে আপনি হতে পারেন সেই শক্তি – চলুন DISS Sponsorship করি!

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS Child Home) একটি মানবিক ও স্বপ্নবাহী প্রতিষ্ঠান,
যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করা হয়—

✅ নিরাপদ আবাসন
✅ পুষ্টিকর খাবার
✅ সাধারণ ও ধর্মীয় শিক্ষা
✅ স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তা
✅ শৃঙ্খলিত জীবন ও নৈতিক বিকাশ

এখানে শিশু শুধু সেবা পায় না, পায় ভালবাসা ও একটি পরিবার

🌟 DISS Sponsorship কী?

Sponsor a Child = Build a Future

আপনি যদি চান—

১। একটি শিশু নিয়মিত স্কুলে যাক,
২। খালি পেটে না ঘুমাক,
৩। শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক হয়ে গড়ে উঠুক,

তাহলে আপনি পারেন মাসিক বা বার্ষিক একটি Sponsorship Package গ্রহণ করতে

💡 Sponsorship এ আপনি কীভাবে সহায়তা করবেন?

আপনার মাসিক ২০০০ / ৫০০০ / ১০০০০ টাকার Sponsorship:

১। একটি শিশুর পড়াশোনার খরচ বহন করবে
২। তার খাবার, পোশাক ও চিকিৎসা নিশ্চিত করবে
৩। তাকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে দেবে

এটি এক ধরনের সদকা জারিয়া — যা শুধু তাকে নয়, আপনাকেও বদলে দেবে।

❤️ Sponsorship মানে শুধুই দান নয়, এটি একটি বন্ধন

✔️ আপনি চাইলে আপনার স্পন্সরকৃত শিশুর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
✔️ তার অগ্রগতির আপডেট পাবেন
✔️ চাইলে জন্মদিন বা ঈদে উপহার পাঠাতে পারবেন
✔️ আপনার সন্তানদের নিয়ে আপনি একটি ভালো কাজের রোল মডেল হয়ে উঠতে পারবেন

চলুন, একজন শিশুর হাত ধরুন — তাকে আলোর পথে এগিয়ে যেতে দিন।

📢 Sponsor করুন এখনই
যোগাযোগ করুন:
📞 জাহাঙ্গীর হোসাইন – ০১৮১১৪৫৮৮৭০
📞 ফারহানা হক – ০১৮৪৭১৪০১৮৬
📞 আশরাফুল ইসলাম – ০১৮৪৭৩৩৪৯৪৭

📍 #DISSSponsorship #SponsorAChild #HopeBeginsHere #ChangeALife #SupportDISS #DaffodilFoundation


11
গল্পের নাম: “একটা ঘুড়ি, একটা স্বপ্ন”

সকালের রোদটা যেন একটু বেশি উজ্জ্বল মনে হলো সেদিন। ঢাকা শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে, ডিআইএসএস চত্বরে শিশুরা খেলা করছিল। কারো হাতে বই, কারো হাতে বল, আর কারো হাতে রঙিন ঘুড়ি। ছোট্ট এক ছেলে, নাম তার ইমন, এক কোণে বসে শুধু তাকিয়ে ছিল—ঘুড়িটার দিকে।

ইমনের বয়স ৮। বাবা নেই, মা এক পোশাক কারখানায় কাজ করতেন, সেখানেই এক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ইমন হয়ে যায় আরেকটা "নামহীন শিশু", যাকে কেউ চিনে না, চেনে না তার স্বপ্ন, তার কষ্ট। তখনই এক শুভ মুহূর্তে ইমনকে ডিআইএসএস-এর এক টিম খুঁজে পায় এবং তাকে আনা হয় এই আশ্রয়-ভবনে।

ডিআইএসএস—Daffodil Institute of Social Sciences।
এটি কেবল একটি শিশু আশ্রয় প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি মানবিকতার প্রকল্প, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি স্বপ্নের কর্মশালা

ইমন প্রথমদিকে কিছুই বলত না। শুধু দেখত। দেখত কীভাবে বাকি শিশুরা নামাজ পড়ে, গল্প শোনে, স্কুলে যায়, আবার সন্ধ্যায় হাউজে ফিরে আসে খুশি মনে। সময় গড়াতে শুরু করল। ধীরে ধীরে সে আঁকতে শিখল, বাংলা কবিতা মুখস্থ করতে শিখল, এবং সবচেয়ে বড় কথা—আবার হাসতে শিখল।

ডিআইএসএস তাকে শুধু মাথার উপর ছাদ দেয়নি, দিয়েছে নতুন জীবন।
এখানে ইমন পেয়েছে:

১। নিয়মিত শিক্ষা ও ইসলামিক আদর্শে গড়ে ওঠার সুযোগ
২। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ভালোবাসা ও যত্নে গড়া জীবনধারা
৩।খাদ্য, পোষাক, চিকিৎসা ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা
৪। ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের প্ল্যাটফর্ম


আজ ইমন নিজের হাতে ঘুড়ি উড়ায়। ঘুড়ির ওড়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমিও একদিন আকাশে উঠব। সবার মতো আমি পড়াশোনা করব, বড় হব, ভালো মানুষ হব।”

উপসংহার

ডিআইএসএস একটি প্রকল্প—সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ভালোবাসা ও সম্ভাবনার।
এটি একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের জীবনে ফিরে আসে আলোর রেখা।
প্রত্যেক ইমন যেন ফিরে পায় তার হারানো শৈশব, ভাঙা স্বপ্নগুলো যেন আবার জোড়া লাগে—সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছে ডিআইএসএস।

আপনার একটু সহযোগিতা হয়তো একজন ইমনের জীবন বদলে দিতে পারে।

#DISS #ChildWelfare #SocialChange #HopeForChildren #EmpowerThroughCare

12
🌍 ডিআইএসএস: সমাজের নীরব বিপ্লবীরা

🌍 ডিআইএসএস: সমাজের নীরব বিপ্লবীরা

একটি গ্রামে যখন শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না,
একটি শহরে যখন পথশিশু ক্ষুধার্ত ঘুমায়,
একটি পরিবার যখন চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারে না —
ঠিক তখনই ডিআইএসএস এগিয়ে আসে

🏡 DISS মানে শুধু একটি সংস্থা নয়, DISS মানে একটি আশ্রয়

DISS (Non-Governmental Organization) কোনো সরকারি সংস্থা নয়, কিন্তু এই সংগঠনটি এমন সব কাজ করে যা অনেক সময় রাষ্ট্রও করতে পারে না।
তারা:
১। পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ায়
২। শিশুদের দেয় শিক্ষার আলো
৩। নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে
৪। দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে
৫। মানবিক দুর্যোগে সবার আগে পৌঁছে যায়

🌱 DISS: একটি উদাহরণ

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে
বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে চলেছে প্রতিদিন।
এখানে শিশুদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়:

১। নিরাপদ আবাসন
২। প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় শিক্ষা
৩। পুষ্টিকর খাবার
৪। স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তা
৫। ভালোবাসা, শৃঙ্খলা ও আত্মসম্মান

DISS শিশুদের শুধু সাহায্যই করে না, তাদের ভবিষ্যতের নেতৃত্বে প্রস্তুত করে

🫶 DISS মানেই হৃদয়ের কাজ

যেখানে লাভ নয়, সেখানে দায়বদ্ধতা।
যেখানে বেতন নয়, সেখানে ভালোবাসা।
যেখানে নাম নয়, সেখানে নিবেদন।

DISS-এর প্রতিটি সদস্য, প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক, প্রতিটি দাতা —
তাঁরা সমাজকে একটু ভালো করতে নিজেরটা উজাড় করে দেন।

📢 আসুন, DISS-এর হাত শক্ত করি

🔹 যদি আপনি দান করতে পারেন — করুন
🔹 যদি আপনি সময় দিতে পারেন — দিন
🔹 যদি আপনি শুধু শেয়ার করতে পারেন — তাও অনেক বড় কাজ

কারণ, DISS একা কিছু নয় — এটা আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি

📍 #SupportDaffodilFoundations #SupportDISS #HumanityFirst #NonProfitWorks #HopeInAction


13
দাতাগণ মানবতার আলোয় যাঁরা পথ দেখান

🤝 দাতাগণ: মানবতার আলোয় যাঁরা পথ দেখান

প্রতিটি পরিবর্তনের পেছনে থাকে কিছু নিঃস্বার্থ মানুষ—যাঁরা নিঃশব্দে কাজ করেন, অবিরত দেন, কিন্তু কিছুই চান না বিনিময়ে। তাঁরা হলেন আমাদের দাতাগণ (Donors) — মানবতার একেকজন নিরব নায়ক।

🌱 তাঁদের দান শুধু অর্থ নয়

একজন দাতা যখন একটি শিশুর পড়ালেখার দায়িত্ব নেন, সেটা শুধু একটি বই বা ইউনিফর্ম নয় —
⏳ সেটা একটুখানি সময়, 🧠 একটুখানি জ্ঞান, ❤️ একটুখানি ভালোবাসা,
আর একটি সম্পূর্ণ ভবিষ্যতের বীজ।

🏡 DISS ও দাতাগণের ভূমিকা

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) আজ যেখানে দাঁড়িয়ে, তার প্রতিটি ইট-পাথরের পেছনে দাতাগণের অবদান রয়েছে:

কেউ দিয়েছেন পোষাক, কেউ দিয়েছেন খাবার
কেউ বানিয়েছেন একটি ঘর, কেউ নিয়েছেন একটি শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব
কেউ পাঠিয়েছেন একমাসের খরচ, কেউ দিয়েছেন একটি হাসির কারণ

🔆 দানকারীরা যা দেন, তা কখনো ছোট নয়

🔹 ১০০ টাকার সাদকা বা
🔹 ১০০০ টাকার যাকাত কিংবা
🔹 এককালীন এক লক্ষ টাকার অনুদান —
সবই একটি ভবিষ্যত তৈরির প্রক্রিয়া

🌍 দাতারা শুধু অর্থ দেন না, তাঁরা স্বপ্ন দেন

তাঁদের দানে:

একজন শিশু স্কুলে যায়
একজন কিশোর অপরাধ থেকে বাঁচে
একজন তরুণ নিজের পায়ে দাঁড়ায়
একজন মানুষ নিজের মানবিকতা আবিষ্কার করে

🫶 আমরা কৃতজ্ঞ

DISS-এর প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষক, প্রতিটি সেবাকর্মী কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সম্মানিত দাতাগণ
আপনারা আছেন বলেই আমরা বলার সাহস পাই —
👉 “আমরা কারো জন্য কিছু করতে পারি।”

📢 আসুন, আরো অনেকে এই আলোয় সামিল হই
আপনি, আপনার বন্ধু, আপনার প্রতিষ্ঠানের CSR —
সবাই হতে পারেন মানবতার এই যাত্রার অংশীদার।

🔗 যোগাযোগ:

📞 ০১৮১১৪৫৮৮৭০ / ০১৮৪৭১৪০১৮৬ / ০১৮৪৭৩৩৪৯৪৭

📍 #ThankYouDonors #SupportDISS #GiveHope #DaffodilFoundation #HumanityFirst


14
🟢
জাতীয়তা: গর্ব, দায়িত্ব ও আত্মপরিচয়ের শক্তি

জাতীয়তা শুধু একটি পরিচয় নয় — এটি একটি গর্বের অনুভব, একটি দায়িত্বের আহ্বান, এবং একটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। আমরা যে মাটি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের উত্তরসূরি, সেই উত্তরাধিকারকে সম্মান করাই হল প্রকৃত জাতীয়তাবোধ।

🏞️ জাতীয়তা কী?

জাতীয়তা মানে:

একটি দেশের জন্য ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা,
দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ,
দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যকে সযত্নে রক্ষা করা,
এবং দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয়তা:

বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধ গড়ে উঠেছে ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে — ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আমাদের আত্মপরিচয়কে দৃঢ় করেছে। এই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে জাগাতে হবে গর্ব, চেতনা ও করণীয়।

💡 জাতীয়তাবোধ কেন জরুরি?

🔹 সমাজে ঐক্য ও সৌহার্দ্য গড়ে তোলে
🔹 দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্য শেখায়
🔹 যুবসমাজকে দেশগড়ার কাজে উৎসাহিত করে
🔹 বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজ জাতির অবস্থানকে শক্ত করে

🧒 DISS ও জাতীয়তাবোধ:

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) জাতীয়তার প্রকৃত শিক্ষা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে:

জাতীয় দিবস উদযাপন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিক্ষা
পতাকা, জাতীয় সংগীত, ইতিহাস ও সংস্কৃতির চর্চা
সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও নেতৃত্বের অনুশীলন

DISS শিশুদের শেখাচ্ছে— "জাতীয়তা মানে শুধু জন্মভূমি নয়, এটা হলো দায়িত্বের ডাক, আর কর্মের বন্ধন।"

🤝 আমাদের দায়িত্ব:

জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলা যায় ঘরে, স্কুলে, সমাজে — শিশুদের মাঝে।
আসুন, সবাই মিলে একটি সচেতন, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরি করি।
তাহলেই আমরা জাতি হিসেবে সত্যিকার অর্থে উন্নত হব।

📌 #জাতীয়তা #দেশপ্রেম #বাংলাদেশ #DISS #ChildLeadership #DaffodilFoundation #আমার_দেশ_আমার_গর্ব


15
International / DISS A Local Initiative with a Global Vision
« on: July 18, 2025, 12:09:01 AM »
🌍 DISS: A Local Initiative with a Global Vision

In a world where millions of children are still deprived of basic rights, Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) emerges as a powerful model of compassion, care, and community-driven development from Bangladesh.

Though rooted in the heart of Bangladesh, DISS represents a global value —
🌱 Every child deserves love, dignity, and opportunity.

🧒 What DISS Offers (Free of Cost):

✅ Safe residential shelter
✅ Institutional and moral education
✅ Nutritious food and healthcare
✅ Clothing and emotional care
✅ A structured and secure environment
✅ A sense of belonging — a true family

🌐 Why DISS Matters Internationally:

🔹 It reflects SDG Goals (Sustainable Development Goals), especially:

1. SDG 1: No Poverty
2. SDG 3: Good Health and Well-being
3. SDG 4: Quality Education
4. SDG 10: Reduced Inequalities

🔹 It promotes global citizenship through values of empathy, equality, and empowerment.
🔹 It invites individuals, donors, and organizations from around the world to be part of sustainable social transformation.

🤝 Be a Global Partner

Your small contribution, partnership, or technical support can make a lasting difference. Together, we can replicate this model across borders and cultures.

📢 Let’s make Bangladesh an example of how a nation cares for its future — its children.

📩 For international collaboration, support or funding:

📍 Contact:
Mr. Md. Ashraful Islam
📞 +8801847334947
📧 diss@daffodil.foundation

Let us create a world where no child is left behind.

🔗 #DISSGlobal #ChildRights #SocialInnovation #BangladeshToTheWorld #SDG #DaffodilFoundation #SupportHope


Pages: [1] 2 3 ... 20