Recent Posts

Pages: 1 [2] 3 4 ... 10
11
Know The World / হাদীস নং ২৯
« Last post by ashraful.diss on September 24, 2024, 11:05:35 PM »
হাদীস নং ২৯

আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে, যাদের মুখের ভাষা ভালো না। তারা মানুষকে গালি দেয়। অথচ মুসলিমকে গালি দেওয়া পাপকাজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

سِبابُ المسلم فسوق

অর্থঃ মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকি। (বুখারী,৪৮; মুসলিম,৬৪)

আজকাল গালিগালাজ অনেকের কাছে একটি ফ্যাশনও হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধীনস্ত বা নিম্ন আয়ের লোকজনের সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলার সময়ও সঙ্গে কিছু অশালীন গালি জুড়ে দেয়। অথচ এটি যে ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ সেটি আমরা মনে রাখি না। বন্ধুরা, আপনারা কখনোই কাউকে গালি দেবেন না। মুসলিমদের গালি দিলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

চলবে................................................
12
Health / ফ্যাশনের সীমারেখা
« Last post by ashraful.diss on September 24, 2024, 01:27:03 AM »

ফ্যাশনের সীমারেখা

সাজ-সজ্জা সম্পর্কে তিনটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে.....।

(১) যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এসকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবেনা।

হাদীসে সুস্পষ্ট আছে: অর্থাৎ: আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই।

(২) যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য।

এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল: "আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার জন্য নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে।"

অপর এক হাদীসে এসেছে: যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে লাল পাহাড়ের পাথর কালো পাহাড়ে এবং কালো পাহাড়ের পাথর লাল পাহাড়ে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় তাহলে তার তাই করা উচিত।"

সাজ-সজ্জা না করলে স্ত্রীকে শাসন করা

স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও যদি স্ত্রী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জা গ্রহণ না করে তাহলে স্বামী শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারে স্ত্রীকে শাসন করতে পারে। এ বিষয়ে হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) লিখেন: "স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অন্যতম কর্তব্য হলো স্ত্রী নিজেকে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ও উসকো-খুশকো অবস্থায় রাখবেনা। বরং সেজে-গোজে পরিপাটি হয়ে থাকবে। এমনকি স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও স্ত্রী যদি সেজে-গোজে না থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকার রাখে।"

সাজ-সজ্জায় নেকী

(৩) মহিলারা শরীয়তের পরীসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোন মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে সওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।

চলবে......................................................
13
Know The World / হাদীস নং ২৮
« Last post by ashraful.diss on September 23, 2024, 02:53:48 AM »
হাদীস নং ২৮

কিছু মানুষ সবসময় অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়। নবিজি এটা করতে নিষেধ করেছেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا

অর্থঃ তোমরা ছিদ্রান্বেষণ কোরো না ও পরস্পরের দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। (বুখারী,৬০৬৪; মুসলিম,২৫৬৩)

মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সবার দোষ-গুণ রয়েছে। ভুল মানুষই করে। ফেরেশতা কখনও ভুল করে না। তাই অন্যের দোষ খোঁজা ও প্রচার করা মুমিনের উচিত নয়। যে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে- মহান আল্লাহও তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখেন। সুতরাং তোমরা কখনো কারও দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। মুসলিম বন্ধুদের বিরুদ্ধে কখনো গোয়েন্দাগিরি করবে না। বুঝেছ, বন্ধুরা?

চলবে...................................................
14
Know The World / হাদীস নং ২৭
« Last post by ashraful.diss on August 19, 2024, 12:46:03 AM »
হাদীস নং ২৭

আমাদের সকলের মধ্যকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অন্যকে হিংসা করা খুব খারাপ কাজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَحَاسَدُوا وَ لاَ تَبَاغَضُوا

অর্থঃ তোমরা পরস্পর হিংসা কোরো না ও বিদ্বেষ-পোষণ কোরো না। (বুখারী,৬০৬৫; মুসলিম,২৫৫৯)

বন্ধুরা, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হিংসা করবে না। কারও প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ-পোষণ করবে না।

চলবে......................................................
15
Know The World / হাদীস নং ২৬
« Last post by ashraful.diss on August 16, 2024, 10:10:34 PM »
হাদীস নং ২৬

কিছু কিছু গুনাহ আল্লাহ এত অপছন্দ করেন যে, যারা এসব গুনাহ করবে তাদের তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। এরকম একটি গুনাহ হলো চোগলখুরী বা একজনের কথা অন্যজনের কানে লাগানো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ

অর্থঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী,৬০৫৬; মুসলিম,১০৫)

বন্ধুরা ,তোমরা কখনো এমন কাজ করবে না। একজনের গোপন কথা আরেকজনের কাছে বলে বেড়াবে না।

চলবে............................................................
16
Know The World / হাদীস নং ২৫
« Last post by ashraful.diss on August 14, 2024, 03:46:56 AM »
হাদীস নং ২৫

আল্লাহর নিকট অনেক পছন্দনীয় একটি আমল হলো আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। বিপরীতে আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে নিষেধ করেছেন তিনি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ

অর্থঃ আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী,৫৯৮৪;মুসলিম,২৫৫৬)

বন্ধুরা, তোমরা সবসময় তোমাদের আত্নীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে। নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নেবে। কখনোই তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না।

চলবে............................................................
17
Common Discussion / Prettys Girls in your town - Real Women
« Last post by Mahbub Alam on August 03, 2024, 10:37:26 PM »
Casual dating at its finest – join the leading platform for relaxed and fun encounters!
Sexy Womans in your town
18
Know The World / হাদীস নং ২৪
« Last post by ashraful.diss on July 16, 2024, 02:17:53 AM »
হাদীস নং ২৪

আল্লাহ হলেন পরম দয়ালু, আর-রহীম। তিনি দয়া করতে ভালোবাসেন। কিন্তু যারা অন্যের প্রতি দয়া করে না, তিনি তাদের প্রতি দয়া করেন না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ

অর্থঃ যে (অন্যের ওপর) রহম করে না, তার ওপরও রহম করা হয় না। (বুখারী,৫৯৯৭;মুসলিম;২৩১৮)

বন্ধুরা, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের ওপর রহম করবে। পশুপাখির প্রতিও দয়াদ্র হবে। তা হলে আল্লাহও তোমাদের ওপর রহম করবেন।

চলবে............................................................
19

মৃত্যু ঘটলে এই দোয়াটি পড়ুনঃ

{إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ} নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই আল্লাহর কাছে ফিরে যাব।

اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي ، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا

অনুবাদঃ হে আল্লাহ! তিনি আমার কষ্টে আমাকে পুরস্কৃত করেছেন এবং বিনিময়ে আমাকে উত্তম প্রতিদান দিয়েছেন। (তিরমিযী)

মাসআলাঃ যখন দম বাহির হয়ে যায়, তখন মৃত ব্যক্তির চিবুকের নিচ থেকে একটি প্রশস্ত কাপড় নিয়ে মাথার উপর বেঁধে আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করুন এবং সেই সময় এই দোয়াটি পাঠ করুনঃ بسم الله وعلى ملة رسول الله اللهم يسر عليه أمره وسهل عليه ما بعده وأسعده بلقائك واجعل ما خرج إليه خيرا مما خرج عنه.

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করছি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্বীন দিয়ে শুরু করছি, হে আল্লাহ! এই মৃত ব্যক্তির জন্য তার কাজ সহজ করে দাও এবং তার পরবর্তী অবস্থাগুলোকে তার জন্য সহজ করে দাও এবং তাকে তোমার বরকতময় দৃষ্টি দিয়ে সম্মানিত করো এবং সে যেখান থেকে গেছে (অর্থাৎ পরকালের) সে স্থান থেকে তাকে উত্তম কর (অর্থাৎ পৃথিবী থেকে)। (দুররে মুখতার)

মাসআলাঃ তারপর তার হাত-পা সোজা করে দিন এবং পায়ের আঙ্গুলগুলিকে এক টুকরো কাপড় ইত্যাদি দিয়ে বেঁধে দিন, তারপর তাকে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে চার পায়ি বা একটি খাটের ওপর রাখবেন, তাকে মাটিতে ফেলে রাখবেন না, এবং পেটের উপর কোন লম্বা লোহা বা এমন ভারী জিনিস রাখুন যাতে পেট ফুলে না যায়, এমন ব্যক্তিকে যার গোসলের প্রয়োজন হয় এবং ঋতুমতী বা গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাকে তার কাছে আসতে দেবেন না। (মুসাফির আখিরাত, দুররে মুখতার, বেহেশতী জেওর) অতঃপর তার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের জানান যাতে যতটা সম্ভব তার নামাজে অংশ নিতে পারে এবং তার জন্য দোয়া করতে পারে।

মাসআলাঃ যদি পাওয়া যায়, তাহলে সুগন্ধি (আগরবাতি ইত্যাদি) জ্বালিয়ে মৃত ব্যক্তির কাছে রাখুন। (মুসাফির আখিরাত)

মাসআলাঃ গোসলের আগে মৃত ব্যক্তির কাছে কুরআন তিলাওয়াত করা ঠিক নয়। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থায় খুব তাড়াহুড়ো করুন, প্রথমে কবরের ব্যবস্থা করুন, এবং গোসল, কাফন, জানাজা এবং দাফনের সরঞ্জাম সরবরাহ করুন, যেমন আপনার নিজের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ জুমার দিনে কেউ মারা গেলে জুমার নামাজের আগে কাফন দাফন করা সম্ভব হলে তা করতে হবে। শুধু জুমার পর বেশি লোক হবে বলে জানাজা বিলম্বিত করা মাকরূহ। (বেহেশতী গাওহার, ফতোয়ায়ে শামী)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)
20
policy: Law and Regulation / মৃত্যুর যন্ত্রণা
« Last post by ashraful.diss on July 05, 2024, 11:42:29 PM »

মৃত্যুর যন্ত্রণা

মাসআলাঃ যখন কারো উপর মৃত্যুর প্রভাব দেখা দেয়, তখন তাকে শুইয়ে দিন, এমনভাবে যে কিবলা তার ডান দিকে থাকে এবং মাথাকে সামান্য কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিন, অথবা তার পা কিবলার দিকে করে দিন এবং তার মাথার নিচে বালিশ ইত্যাদি রেখে সামান্য উঁচু করে দিন, এইভাবে কিবলা ফেরানো হবে। (মুসাফির আখিরাত)

কিন্তু যদি অসুস্থ ব্যক্তির কিবলামুখী হতে কষ্ট হয়, তাহলে তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিন, তারপর তার পাশে বসে কালিমায়ে শাহাদাতের উচ্চারণ এমনভাবে করেন যে কেউ তার পাশে উচ্চ স্বরে বলে: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ এবং তাকে কালিমাহ পড়ার আদেশ দিবেন না, কারণ সেই সময়টি খুব কঠিন, আপনি জানেন না তার মুখ থেকে কী বের হবে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন সে একবার কালিমা পড়ে নিবে, তখন চুপ করে থাকবেন, এ চেষ্টা করবেন না যে সর্বদা কালিমা জারি থাকে এবং কালিমা পড়তে পড়তে দম বাহির হয়। কেননা এর অর্থ কেবলমাত্র এতটুকু যে তার মুখ থেকে শেষ কথাটি কালিমা বের হওয়া উচিত। এটা জরুরী নয় যে দম বাহির হওয়া পর্যন্ত কালিমা চালিয়ে যেতে হবে, হ্যাঁ! যদি কালিমা পড়ার পর আবার কেউ দুনিয়ার কথা বলে, তাহলে পুনরায় কালিমা পড়া শুরু করবেন, যখন সে পাঠ করবে তখন আবার  চুপ করে থাকবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং দ্রুত আটকে আটকে চলতে থাকে এবং পা এমনভাবে শিথিল হয়ে যায় যে সে দাঁড়াতে পারে না এবং নাক বাঁকা হয়ে যায় এবং কানপট্টি বসে যায়, তখন মনে করবেন যে, তার মৃত্যুর সময় এসে গেছে, তখন জোরে জোরে কালিমা পড়তে শুরু করবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ এইরকম অবস্থায় নিকটে বসে কেউ সুরা-ইয়াসীন তেলাওয়াত করলে মৃত্যুর কষ্ট কম হয়। অতএব, এইরকম অবস্থায় সুরা-ইয়াসীন নিজে তেলাওয়াত করবেন বা অন্যের দ্বারা তেলাওয়াত করাবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ ঐ সময় এমন কোন কথা বলবেন না, যাতে তার দিল দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায়, কেননা এখন দুনিয়া থেকে পৃথক হওয়ার এবং আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার সময়। এমন কাজ করবেন, এমন কথা বলবেন যাতে দুনিয়া থেকে দিল উঠে আল্লার দিকে ঝুঁকে যায়, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কল্যাণ ইহাতেই নিহত। এসময় ছেলেমেয়েকে সম্মুখে আনা কিংবা তার অন্য কোন মুহাব্বতের বস্তুকে কাছে আনা ও এমন কথা বলা যাতে তার মন এদিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং তার মুহাব্বত অন্তরে বসে যায়, ইহা বড়ই অন্যায় কথা যে দুনিয়ার মুহাব্বত নিয়ে বিদায় হলে (নাউযুবিল্লাহ) তার অপমৃত্যু হলো। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ প্রাণ বাহির হওয়ার সময় যদি তার মুখ দিয়ে কুফরী বা খারাপ কথা বাহির হয়, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তা আলোচনাও করবেন না; বরং এটা মনে করবেন হয়ত বেহুঁশীর কারণে বলেছে। মৃত্যু যন্ত্রণার কারণে বেহুশ হয়েছে এবং জ্ঞানহারা অবস্থায় যা কিছু ঘটবে সব মাফ। আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকেন। (বেহেশতী জেওর)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)
Pages: 1 [2] 3 4 ... 10