« on: October 11, 2022, 12:15:20 AM »
আত্মত্রুটি স্বীকার করে নেয়ার ফযীলত
নিজের ভুলকে স্বীকার করে নেয়ার স্বভাব নিজের মাঝে সৃষ্টি করা উচিত। এর মাঝেই আমাদের উন্নতি রয়েছে। এতে করে আমরা যে কোন ধরনের ভুল থেকে নিরাপদ থাকতে পারব। অথবা আমাদের মাঝে যদি কোন ধরনের ত্রুটি থাকে এবং কেউ আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়, তাহলে তাকে নিজের কল্যাণকামী মনে করা এবং নিজের ভুলকে স্বীকার করে নেয়া।
এর মাঝে নিজের অপমান বা হেয় মনে না করা। সাহাবায়ে কেরামের স্বভাব এমনই ছিল। অর্থাৎ কেউ তাদের ভুল ধরিয়ে দিলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন এবং খুশি হয়ে তাদের জন্য দোয়া করতেন। আল্লামা ইবনুল জাওযী (রাহ.) আবু ইসহাক (রাহ.)এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হযরত উমর ফারুক (রাযি.) বর্ণনা করেন-
إنّ احبّ النّاس إلىّ من اهدىٰ إلىّ عيوبى”
অর্থাৎ- “আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ঐ ব্যক্তি, যে আমার ভুল ধরিয়ে দেয়”।
আব্দুল জাব্বার বিন আব্দুল ওয়াহেদ আল-তানুখী বলেন, হযরত উমর (রাযি.) একবার মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন যে, আমি আল্লাহর ক্বসম দিয়ে বলছি, যে ব্যক্তি আমার কোন দোষ সম্পর্কে অবগত সে যেন আমাকে তা অবশ্যই বলে দেয়। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার মাঝে দু’টি দোষ রয়েছে। আপনি দু’টি চাদর ব্যবহার করেন এবং খাবারের সময় দুই তরকারি গ্রহণ করেন। অথচ অন্য লোকেরা এর সামর্থ্য রাখে না।
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উমর (রাযি.) তার এই ভুল স্বীকার করে নিলেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আর কখনো তিনি দু’টি চাদর এবং খাবারে দুই তরকারি গ্রহণ করেননি। নম্রতা এবং বন্দেগীর চাহিদাও এটাই। যে মানুষ নিজের ভুলকে স্বীকার করে নিবে, এর দ্বারা আল্লাহর নিকট তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
তাওয়াজু এর বরকত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে-
“وما تواضع أحد لله الّا رفعه اللهُ”
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নম্রতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা অবশ্যই উঁচু করে দিবেন”।
একবার হযরত উমর (রাযি.) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলছিলেন, হে লোক সকল! নম্রতা অবলম্বন কর। কেননা আমি রাসূল (সা.)কে বলতে শুনেছি যে-
“من تواضع لله رفعه الله فهو في نفسه صغير وفي أعين الناس عظيم”
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নম্রতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা উঁচু করে দেন। তাই সে নিজের চোখে ছোট থাকলেও মানুষের নিকট তার সম্মান বেড়ে যায়”। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করে নেন। আমীন!
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।