Author Topic: সম্মিলিত সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় সফলতা পায়   (Read 3306 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Farhana Haque

  • Administrator
  • Newbie
  • *****
  • Posts: 48
  • Gender: Female
  • You will never have this day again! Make it count!
    • View Profile
    • Email
সম্মিলিত সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় সফলতা পায় যে কোন মহৎ উদ্যোগ

পৃথিবীর সকল মায়েরা তাঁদের প্রতিবেলার প্রার্থনায় একবার করে হলেও সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে " আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"। ধনী -দরিদ্রের ব্যবধানও এ প্রার্থনায় সামান্যও চিঁর ধরাতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা যাদের সামর্থ দিয়েছেন, তারা পারছেন তাদের সন্তানের জন্য, সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষপ টি গ্রহণ করতে। যাদের এই সামর্থ নেই, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ কি আছে?? অনেকেই অন্তরে আত্মায় অনেক স্বপ্নই লালন করে থাকেন, সামর্থ থাকলে সমাজের জন্য এই করা হতো, সেই করা হতো! বাস্তবে হয় না এমন কিছুই। সুবিধাবঞ্চিত রা বঞ্চিতই থেকে যায়। তাদের স্বপ্ন পূরণ হয় না।
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য ''ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন'' এর বিভিন্ন কার্যক্রম প্রতিনিয়ত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথা চিন্তা করে ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়ে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।

কোন একজন ছিন্নমূল শিশু এই প্রখর রৌদ্রতাপে পুড়ে যখন নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার সারাদিনের একবেলার আহার যোগাবার জন্য কাঁটা সমেত ফুলগুলো বাড়িয়ে ধরে গাড়ির গ্লাসে, তখন ও কি আমাদের বিবেক একবার ও নাড়া দেয় আমাদের? যে এদের জন্য কিছু করতে হবে। খাবার দোকানে আমরা যখন খেতে বসি, সামান্য গ্লাস টা হাত থেকে পরে ভেঙে যাবার দরুন তাকে যখন মারধর করা হয়, আমরা কি ভেবে দেখি? এই ছেলেটার দুপুরের খাওয়া হয়েছে কি না? তার কি এখন খাবারের বদলে এই সামান্য গ্লাস ভাঙ্গার অপরাধে মার খাবার কথা? আমাদের বিবেক কে একবার প্রশ্ন করতে পারি। যেহেতু আমরা মানুষ! আমরা কিছুতেই সমাজের প্রতি, অন্তত রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না!

কেউ এগিয়ে আসুক বা না আসুক আমরা এগিয়ে যাবই। আমরা এইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কে ক্ষুধামুক্ত, দরিদ্রতামুক্ত, বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত একটি পৃথিবী উপহার দিতে চাই। আজ যে শিশুকে ইচ্ছা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র দরিদ্রতার কষাঘাতে তার বাবা মা স্কুলে না পাঠিয়ে কোন না কোন কাজে পাঠিয়ে দিচ্ছে, এরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। কে বলতে পারে সঠিক সুবিধা এবং দিকনির্দেশনা পেলে এরাই আগামি দিনের যোগ্য এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে না? ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' এই সব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের এক একজনকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অগ্নিপ্রত্যয়ে প্রত্যয়ী।

আমরা যারা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশায় নিয়োজিত আছি, তারা জানি, আমাদের ঘাম ঝড়ানো উপার্জনের সামান্য টাকা যদি পরিবারের কর্তা ব্যাক্তির হাতে তুলে দেয়া যায়, পরিবারে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করা যায়, যদি আমাদের উপার্জনের সামান্য টাকায় ছোট বোনের কোন মাসের স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে পারি, পরিবারের সবচেয়ে পরিশ্রমী পিতা ব্যক্তিটিকে বিশ্রাম দিতে পারি এর থেকে শান্তি আর কিছুতেই হয় না। এটা কেবল কর্তব্য নয়, আত্মতৃপ্তির ও কারন। বাবা মা কখনোই সন্তানের উপার্জনের অর্থ চান না। তারা চান তাদের সন্তান স্বাবলম্বী হউক। ভাল থাকুক, মানুষ হউক। নিজ কর্মদক্ষতা প্রমান করে আধুনিক বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াক।
আমরা আমাদের যার যার নিজেদের অবস্থান থেকে আমাদের চারপাশের, আমাদের পরিবারের হেল্পিংহ্যান্ড এবং চলার পথে যদি কোন একজন অবস্থাবঞ্চিত শিশুকেও দেখতে পাই, যারা প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও শুধু দরিদ্রতার কড়াল গ্রাসের কারনে সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আমরা অনুরোধ করছি ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' কতৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। যদি আপনার কিংবা আমার জন্য একজন ছিন্নমূল শিশু সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সৃষ্টিকর্তাও খুশি হবেন।

যিনি এত পবিত্র একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন, সমাজ কে দরিদ্রমুক্ত করে তোলার জন্য আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। শ্রদ্ধেয় স্যারের এই মহৎকর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ড্যাফোডিল গ্রুপ এর সকল সম্মানিত সদস্যকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ
Daffodil Institute of Social Sciences-(DISS)
Daffodil International University (DIU)
102/1,Sukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi, Dhaka-1207
01847-140186
Web: www.daffodilvarsity.edu.bd
« Last Edit: July 09, 2018, 03:52:09 AM by diss »
কারো মত নয় আমরা হবো যার যার মত। প্রতিজন "আমি" হবো এক একটি আদর্শ। জীবন একটিই। সময় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। নিজেকে প্রমান করার এবং ভালো কাজ করার এখনই সময়।