« on: July 07, 2025, 03:28:46 AM »
দক্ষতা প্রশিক্ষণ: স্বনির্ভরতার সেতুবন্ধন
বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেবল সাধারণ শিক্ষা নয়, দক্ষতা অর্জনই হচ্ছে টিকে থাকার ও এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি। বিশেষ করে দরিদ্র, বেকার, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ একটি কার্যকর ও টেকসই সমাধান। এটি কেবল কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়ায় না, বরং মানুষকে আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়তা করে।
দক্ষতা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
শুধু সার্টিফিকেট নয়, কাজ শেখা ও বাস্তবজ্ঞান অর্জন এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষিত বেকারত্ব রোধে পেশাভিত্তিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ অত্যন্ত কার্যকর।
নারী, প্রতিবন্ধী, যুবক-যুবতী এবং হতদরিদ্র শ্রেণিকে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করা সম্ভব হয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে।
প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রসমূহ
কারিগরি ও প্রযুক্তি: ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসিং
হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ: সেলাই, কাঁথা সেলাই, বুটিক, মোমবাতি/বিউটি কেয়ার
আইসিটি প্রশিক্ষণ: বেসিক কম্পিউটার, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং
কৃষি ও প্রাণিসম্পদ: সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষ
ফ্রিল্যান্সিং ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন: ঘরে বসে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি
দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুফল
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজে আয় করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারে।
আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
দাননির্ভরতা কমে; দানগ্রহীতা থেকে দানদাতা হওয়ার পথ সুগম হয়।
যুব সমাজ অপরাধ, মাদক বা ভ্রান্ত পথে না গিয়ে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত হয়।
উপসংহার
দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি রূপান্তরমূলক প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখে, সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করে এবং সম্মানজনক জীবনের পথে অগ্রসর হয়। টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক কর্মসূচির প্রসার অপরিহার্য।

Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।