Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - ashraful.diss

Pages: [1] 2 3 ... 17
1
Know The World / হাদীস নং ৩১
« on: November 20, 2024, 12:19:24 AM »
হাদীস নং ৩১

স্মার্ট মানুষ মাত্রই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। তা ছাড়া পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ

অর্থঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা হল ঈমানের অঙ্গ। (মুসলিম,২২৩;মুসনাদু আহমাদ,২২৯০২)

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও হাদিসে নির্দেশনা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা লানতকারী (অভিশাপে আক্রান্ত হতে হয় এমন) দুইটি কাজ থেকে বেঁচে থাকো। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল, লানতকারী কাজ দুইটি কী তিনি বলেন, যে মানুষের চলাচলের রাস্তায় কিংবা গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করে।’ (আবু দাউদ ২৫, মুসনাদ আহমদ ৮৮৫৩)

বন্ধুরা, তোমরাও সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। তা হলে তোমাদের শরীর-মন সবকিছুই ভালো থাকবে ইনশা আল্লাহ।

2
Know The World / হাদীস নং ৩০
« on: September 26, 2024, 02:21:26 AM »
হাদীস নং ৩০

ভালো কাজ করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন। এরকম একটি ভালো কাজ হলো, বেশি বেশি সালাম বিনিময় করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ

অর্থঃ তোমরা বেশি বেশি সালাম বিনিময় করো। (মুসলিম,৫৪;আবূ দাউদ,৫১৯৩)

মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো ‘সালাম’। বিনা কষ্টে, বিনা মূল্যে অত্যন্ত ফলদায়ক অভিবাদনটির নাম ‘আসসালামু আলাইকুম’। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং এটি একটি ম্যাগনেটিক পাওয়ারের নাম। এর মাধ্যমে অপর প্রান্তের ব্যক্তির হৃদয়ে ভালোবাসার বীজ বপন করা হয়। নবী (সা.) কে প্রশ্ন করা হলো উত্তম ইসলাম কোনটি? জবাবে তিনি বলেন, অন্যকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া। সুতরাং আপনারাও পরিচিত-অপরিচিত (মুসলিমদের) সবাইকে সালাম দেবেন। এতে আল্লাহ অনেক খুশি হবেন।

চলবে.........................................................

3
Know The World / হাদীস নং ২৯
« on: September 24, 2024, 11:05:35 PM »
হাদীস নং ২৯

আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে, যাদের মুখের ভাষা ভালো না। তারা মানুষকে গালি দেয়। অথচ মুসলিমকে গালি দেওয়া পাপকাজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

سِبابُ المسلم فسوق

অর্থঃ মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকি। (বুখারী,৪৮; মুসলিম,৬৪)

আজকাল গালিগালাজ অনেকের কাছে একটি ফ্যাশনও হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধীনস্ত বা নিম্ন আয়ের লোকজনের সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলার সময়ও সঙ্গে কিছু অশালীন গালি জুড়ে দেয়। অথচ এটি যে ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ সেটি আমরা মনে রাখি না। বন্ধুরা, আপনারা কখনোই কাউকে গালি দেবেন না। মুসলিমদের গালি দিলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

চলবে................................................

4
Health / ফ্যাশনের সীমারেখা
« on: September 24, 2024, 01:27:03 AM »

ফ্যাশনের সীমারেখা

সাজ-সজ্জা সম্পর্কে তিনটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে.....।

(১) যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এসকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবেনা।

হাদীসে সুস্পষ্ট আছে: অর্থাৎ: আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই।

(২) যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য।

এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল: "আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার জন্য নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে।"

অপর এক হাদীসে এসেছে: যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে লাল পাহাড়ের পাথর কালো পাহাড়ে এবং কালো পাহাড়ের পাথর লাল পাহাড়ে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় তাহলে তার তাই করা উচিত।"

সাজ-সজ্জা না করলে স্ত্রীকে শাসন করা

স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও যদি স্ত্রী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জা গ্রহণ না করে তাহলে স্বামী শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারে স্ত্রীকে শাসন করতে পারে। এ বিষয়ে হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) লিখেন: "স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অন্যতম কর্তব্য হলো স্ত্রী নিজেকে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ও উসকো-খুশকো অবস্থায় রাখবেনা। বরং সেজে-গোজে পরিপাটি হয়ে থাকবে। এমনকি স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও স্ত্রী যদি সেজে-গোজে না থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকার রাখে।"

সাজ-সজ্জায় নেকী

(৩) মহিলারা শরীয়তের পরীসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোন মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে সওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।

চলবে......................................................

5
Know The World / হাদীস নং ২৮
« on: September 23, 2024, 02:53:48 AM »
হাদীস নং ২৮

কিছু মানুষ সবসময় অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়। নবিজি এটা করতে নিষেধ করেছেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا

অর্থঃ তোমরা ছিদ্রান্বেষণ কোরো না ও পরস্পরের দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। (বুখারী,৬০৬৪; মুসলিম,২৫৬৩)

মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সবার দোষ-গুণ রয়েছে। ভুল মানুষই করে। ফেরেশতা কখনও ভুল করে না। তাই অন্যের দোষ খোঁজা ও প্রচার করা মুমিনের উচিত নয়। যে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে- মহান আল্লাহও তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখেন। সুতরাং তোমরা কখনো কারও দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। মুসলিম বন্ধুদের বিরুদ্ধে কখনো গোয়েন্দাগিরি করবে না। বুঝেছ, বন্ধুরা?

চলবে...................................................

6
Know The World / হাদীস নং ২৭
« on: August 19, 2024, 12:46:03 AM »
হাদীস নং ২৭

আমাদের সকলের মধ্যকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অন্যকে হিংসা করা খুব খারাপ কাজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَحَاسَدُوا وَ لاَ تَبَاغَضُوا

অর্থঃ তোমরা পরস্পর হিংসা কোরো না ও বিদ্বেষ-পোষণ কোরো না। (বুখারী,৬০৬৫; মুসলিম,২৫৫৯)

বন্ধুরা, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হিংসা করবে না। কারও প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ-পোষণ করবে না।

চলবে......................................................

7
Know The World / হাদীস নং ২৬
« on: August 16, 2024, 10:10:34 PM »
হাদীস নং ২৬

কিছু কিছু গুনাহ আল্লাহ এত অপছন্দ করেন যে, যারা এসব গুনাহ করবে তাদের তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। এরকম একটি গুনাহ হলো চোগলখুরী বা একজনের কথা অন্যজনের কানে লাগানো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ

অর্থঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী,৬০৫৬; মুসলিম,১০৫)

বন্ধুরা ,তোমরা কখনো এমন কাজ করবে না। একজনের গোপন কথা আরেকজনের কাছে বলে বেড়াবে না।

চলবে............................................................

8
Know The World / হাদীস নং ২৫
« on: August 14, 2024, 03:46:56 AM »
হাদীস নং ২৫

আল্লাহর নিকট অনেক পছন্দনীয় একটি আমল হলো আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। বিপরীতে আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে নিষেধ করেছেন তিনি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ

অর্থঃ আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী,৫৯৮৪;মুসলিম,২৫৫৬)

বন্ধুরা, তোমরা সবসময় তোমাদের আত্নীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে। নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নেবে। কখনোই তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না।

চলবে............................................................

9
Know The World / হাদীস নং ২৪
« on: July 16, 2024, 02:17:53 AM »
হাদীস নং ২৪

আল্লাহ হলেন পরম দয়ালু, আর-রহীম। তিনি দয়া করতে ভালোবাসেন। কিন্তু যারা অন্যের প্রতি দয়া করে না, তিনি তাদের প্রতি দয়া করেন না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ

অর্থঃ যে (অন্যের ওপর) রহম করে না, তার ওপরও রহম করা হয় না। (বুখারী,৫৯৯৭;মুসলিম;২৩১৮)

বন্ধুরা, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের ওপর রহম করবে। পশুপাখির প্রতিও দয়াদ্র হবে। তা হলে আল্লাহও তোমাদের ওপর রহম করবেন।

চলবে............................................................

10

মৃত্যু ঘটলে এই দোয়াটি পড়ুনঃ

{إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ} নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই আল্লাহর কাছে ফিরে যাব।

اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي ، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا

অনুবাদঃ হে আল্লাহ! তিনি আমার কষ্টে আমাকে পুরস্কৃত করেছেন এবং বিনিময়ে আমাকে উত্তম প্রতিদান দিয়েছেন। (তিরমিযী)

মাসআলাঃ যখন দম বাহির হয়ে যায়, তখন মৃত ব্যক্তির চিবুকের নিচ থেকে একটি প্রশস্ত কাপড় নিয়ে মাথার উপর বেঁধে আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করুন এবং সেই সময় এই দোয়াটি পাঠ করুনঃ بسم الله وعلى ملة رسول الله اللهم يسر عليه أمره وسهل عليه ما بعده وأسعده بلقائك واجعل ما خرج إليه خيرا مما خرج عنه.

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করছি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্বীন দিয়ে শুরু করছি, হে আল্লাহ! এই মৃত ব্যক্তির জন্য তার কাজ সহজ করে দাও এবং তার পরবর্তী অবস্থাগুলোকে তার জন্য সহজ করে দাও এবং তাকে তোমার বরকতময় দৃষ্টি দিয়ে সম্মানিত করো এবং সে যেখান থেকে গেছে (অর্থাৎ পরকালের) সে স্থান থেকে তাকে উত্তম কর (অর্থাৎ পৃথিবী থেকে)। (দুররে মুখতার)

মাসআলাঃ তারপর তার হাত-পা সোজা করে দিন এবং পায়ের আঙ্গুলগুলিকে এক টুকরো কাপড় ইত্যাদি দিয়ে বেঁধে দিন, তারপর তাকে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে চার পায়ি বা একটি খাটের ওপর রাখবেন, তাকে মাটিতে ফেলে রাখবেন না, এবং পেটের উপর কোন লম্বা লোহা বা এমন ভারী জিনিস রাখুন যাতে পেট ফুলে না যায়, এমন ব্যক্তিকে যার গোসলের প্রয়োজন হয় এবং ঋতুমতী বা গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাকে তার কাছে আসতে দেবেন না। (মুসাফির আখিরাত, দুররে মুখতার, বেহেশতী জেওর) অতঃপর তার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের জানান যাতে যতটা সম্ভব তার নামাজে অংশ নিতে পারে এবং তার জন্য দোয়া করতে পারে।

মাসআলাঃ যদি পাওয়া যায়, তাহলে সুগন্ধি (আগরবাতি ইত্যাদি) জ্বালিয়ে মৃত ব্যক্তির কাছে রাখুন। (মুসাফির আখিরাত)

মাসআলাঃ গোসলের আগে মৃত ব্যক্তির কাছে কুরআন তিলাওয়াত করা ঠিক নয়। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থায় খুব তাড়াহুড়ো করুন, প্রথমে কবরের ব্যবস্থা করুন, এবং গোসল, কাফন, জানাজা এবং দাফনের সরঞ্জাম সরবরাহ করুন, যেমন আপনার নিজের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ জুমার দিনে কেউ মারা গেলে জুমার নামাজের আগে কাফন দাফন করা সম্ভব হলে তা করতে হবে। শুধু জুমার পর বেশি লোক হবে বলে জানাজা বিলম্বিত করা মাকরূহ। (বেহেশতী গাওহার, ফতোয়ায়ে শামী)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)

11

মৃত্যুর যন্ত্রণা

মাসআলাঃ যখন কারো উপর মৃত্যুর প্রভাব দেখা দেয়, তখন তাকে শুইয়ে দিন, এমনভাবে যে কিবলা তার ডান দিকে থাকে এবং মাথাকে সামান্য কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিন, অথবা তার পা কিবলার দিকে করে দিন এবং তার মাথার নিচে বালিশ ইত্যাদি রেখে সামান্য উঁচু করে দিন, এইভাবে কিবলা ফেরানো হবে। (মুসাফির আখিরাত)

কিন্তু যদি অসুস্থ ব্যক্তির কিবলামুখী হতে কষ্ট হয়, তাহলে তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিন, তারপর তার পাশে বসে কালিমায়ে শাহাদাতের উচ্চারণ এমনভাবে করেন যে কেউ তার পাশে উচ্চ স্বরে বলে: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ এবং তাকে কালিমাহ পড়ার আদেশ দিবেন না, কারণ সেই সময়টি খুব কঠিন, আপনি জানেন না তার মুখ থেকে কী বের হবে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন সে একবার কালিমা পড়ে নিবে, তখন চুপ করে থাকবেন, এ চেষ্টা করবেন না যে সর্বদা কালিমা জারি থাকে এবং কালিমা পড়তে পড়তে দম বাহির হয়। কেননা এর অর্থ কেবলমাত্র এতটুকু যে তার মুখ থেকে শেষ কথাটি কালিমা বের হওয়া উচিত। এটা জরুরী নয় যে দম বাহির হওয়া পর্যন্ত কালিমা চালিয়ে যেতে হবে, হ্যাঁ! যদি কালিমা পড়ার পর আবার কেউ দুনিয়ার কথা বলে, তাহলে পুনরায় কালিমা পড়া শুরু করবেন, যখন সে পাঠ করবে তখন আবার  চুপ করে থাকবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং দ্রুত আটকে আটকে চলতে থাকে এবং পা এমনভাবে শিথিল হয়ে যায় যে সে দাঁড়াতে পারে না এবং নাক বাঁকা হয়ে যায় এবং কানপট্টি বসে যায়, তখন মনে করবেন যে, তার মৃত্যুর সময় এসে গেছে, তখন জোরে জোরে কালিমা পড়তে শুরু করবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ এইরকম অবস্থায় নিকটে বসে কেউ সুরা-ইয়াসীন তেলাওয়াত করলে মৃত্যুর কষ্ট কম হয়। অতএব, এইরকম অবস্থায় সুরা-ইয়াসীন নিজে তেলাওয়াত করবেন বা অন্যের দ্বারা তেলাওয়াত করাবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ ঐ সময় এমন কোন কথা বলবেন না, যাতে তার দিল দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায়, কেননা এখন দুনিয়া থেকে পৃথক হওয়ার এবং আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার সময়। এমন কাজ করবেন, এমন কথা বলবেন যাতে দুনিয়া থেকে দিল উঠে আল্লার দিকে ঝুঁকে যায়, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কল্যাণ ইহাতেই নিহত। এসময় ছেলেমেয়েকে সম্মুখে আনা কিংবা তার অন্য কোন মুহাব্বতের বস্তুকে কাছে আনা ও এমন কথা বলা যাতে তার মন এদিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং তার মুহাব্বত অন্তরে বসে যায়, ইহা বড়ই অন্যায় কথা যে দুনিয়ার মুহাব্বত নিয়ে বিদায় হলে (নাউযুবিল্লাহ) তার অপমৃত্যু হলো। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ প্রাণ বাহির হওয়ার সময় যদি তার মুখ দিয়ে কুফরী বা খারাপ কথা বাহির হয়, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তা আলোচনাও করবেন না; বরং এটা মনে করবেন হয়ত বেহুঁশীর কারণে বলেছে। মৃত্যু যন্ত্রণার কারণে বেহুশ হয়েছে এবং জ্ঞানহারা অবস্থায় যা কিছু ঘটবে সব মাফ। আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকেন। (বেহেশতী জেওর)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)

12

সাকারাতুল মাউত (মৃত্যুর যন্ত্রণা)
   
মৃত ব্যক্তির মুখ, মৃত্যুর সময় কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিন এবং তিনি নিজেই (মৃত্যুর নিকটে) এই দুআ করবেন: اللهم اغفر لي وارحمني وألحقني بالرفيق الأعلى এবং لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ পড়বেন এবং اَللهم أَعِنِّي علٰى غمرَاتِ الموْتِ وَسَكَراتِ المَوْتِ পড়বেন।

অনুবাদঃ “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে উপরের সাথীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! মৃত্যুর (এই উপলক্ষের) কষ্টে আমাকে সাহায্য করুন।" (তিরমিযী)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)

13
Health / রুপচর্চায় অপচয়
« on: July 03, 2024, 12:36:15 AM »

রুপচর্চায় অপচয়

সাজ-সজ্জা করার ব্যাপারে ইসলামের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই কিন্তু এর মধ্যে শরয়ী সীমা অতিক্রম করা এবং নিজের সামর্থের প্রতি লক্ষ্য না রাখা ঠিক নয়। পিতা বা স্বামীর মাথার ঘাম পায়ে ফেলা কষ্টার্জিত পয়সাকে এমন নির্দয়তার সাথে অপচয় করা এবং নতুন নতুন ফ্যাশনের কাপড় ও দামী দামী অলংকার জমানোর পিছনে খরচ করা উচিত নয়। অন্ততঃ এ গুলোর ব্যবহার সে সময় না করা যখন পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম বোনেরা এক মুঠো ভাতের জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতে থাকে।

বর্তমানে মহিলারা বিশেষ করে তরুণীরা বিজাতী সংস্কৃতির অনুঃকরণে এমন সব অযথা খরচ বাড়িয়েছে যা জরুরী নয়। আর জীবন যাপন করাও এর উপর নির্ভরশীল নয়। ফ্যাশনের বাহ্যিক চাকচিক্য এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে আয়-উপার্জন যত বেশিই হোক না কেন তাতে প্রয়োজন আর মিটছেনা। তা চরিথার্ত করতে গিয়ে কখনো ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে, ঘৃণিত এই ফ্যাশন ইউরোপিয়ানদের মস্তিস্ক প্রসূত। মুসলিম মহিলাদের কোন মতেই এদের খপ্পরে পড়া ঠিক নয়। এদের অন্ধ অনুসারীদের বাহ্যিক অবস্থা দেখে মনে হবে সুখের বন্যায় ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার তা নয়। এক দুঃখের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে, শান্তি ও স্নেহের নাম গন্ধও নেই। অনেকে স্নেহ-মমতার আতিশয্যে মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই অতিরিক্ত খরচে অভ্যস্ত করে তোলে। ফলে একটু বড় হয়ে তারা হয়ে যায় ফ্যাশন বিলাসী। বিয়ের পর স্বামীর জন্য হয়ে দাঁড়ায় মস্ত বড় বোঝা। স্বামীর সমস্ত আয়-ইনকাম ফ্যাশন বাজেটে পরিণত হয়। পরিণামে পরস্পারিক মতানৈক্য, অসন্তুষ্টি ও ঝগড়া-বিবাদের সূচনা হয়।

আজকাল মহিলারা সারা দিন-ক্ষণ সাজ-সজ্জার পিছনে লেগে থাকায় তাদের কোরআন তেলাওয়াত করার সুযোগ থাকে না। সময় নেই যিকির-আযকার, দুরুদ ও ইস্তেগফারের। দ্বীনি জ্ঞান চর্চার অবকাশ থাকেনা। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। যেখানে আলো নেই সেখানে অন্ধকার স্থান করে নেয়। অনাবাদী জমি আগাছায় ছেয়ে যায়। তদ্রুপ ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় মন-মস্তিস্ক বিদআত ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই ভালমন্দ কিছুই দেখা যাচ্ছে না, দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না মানবিক দোষ-ত্রুটি, মনে হচ্ছে সবই বরাবর। এ কারণে প্রকৃত সৌন্দর্য্য কোনটি তাও নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য্য অন্তকরণের সুচিন্তা ও পবিত্রতা। যাদের মন ও আত্মার সৌন্দর্য্য ব্যাতিরেকে শুধু পোষাক-আশাক, বেশ-ভূষায় সুসজ্জিত হয় তাদের এ চেষ্টা বৃথা, অর্থহীন।

এখানে প্রয়োজন বা দরকারের দোহাই দেয়া হতে পারে কিন্তু এখানে প্রয়োজনের সংজ্ঞা কি? প্রয়োজন হলো “যার উপর জীবন যাপন নির্ভরশীল এবং যা ছাড়া জীবন চলা কষ্টসাধ্য” অযথা খরচকে প্রয়োজনের তালিকায় গণ্য করা বিচক্ষণতার পরিচয় নয়। সম্মানিতা মা ও বোনেরা! আপনারা যে প্রচলিত ফ্যাশনের পথে পা রেখেছেন এটা কিন্তু সম্ভ্রান্ত মুসলিম মহিলাদের পথ নয় বিজাতীয়দের ফ্যাশনের স্রোতে নিজেদের গা এলিয়ে দেয়া এবং তাদের তালে মত্ত হয়ে নৃত্য করা মুসলিম মহিলাদের আদর্শ হতে পারেনা। মুসলিম মা-বোনদের চাল-চলন আচার-আচরণ ও সাজ-সজ্জা হবে ইসলামী বিধানের অনুকূলে, আল্লাহ তায়ালা ও তার প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশিত আওতার ভিতরে।

সুতরাং মহিলাদের জন্য জ্ঞাতব্য যে, কোন প্রকার সাজ-সজ্জা শরীয়ত পরিপন্থী আর কোনগুলো শরীয়ত অনুমোদিত, যেন শরীয়ত বহির্ভূত সাজ-সজ্জা পরিত্যাগ করে শরীয়ত সম্মত যাবতীয় সাজ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে নিজেদের স্বভাব সুলভ চাহিদা পূরণ করা যায়।

এ সকল পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভের উদ্দেশ্য নিম্নে কিছুটা বিস্তারিত ভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি বিষয়গুলো অত্যন্ত মনযোগের সাথে অধ্যয়ন করবেন। এবং সে অনুযায়ী আমলে ব্রতী হবেন।

চলবে.................................................................................

14

যখন মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিতে থাকে

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: মৃতকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে উপদেশ দাও। (সহীহ মুসলিম, মাআরিফুল হাদীস)

হজরত মুআকাল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের মৃতদের (নিকটবর্তী রোগীদের) ওপর সূরা ইয়াসিন পাঠ কর।(মাআরিফুল হাদীস, মুসনাদে আহমাদ, সুনানে আবি দাউদ, সুনানে ইবনে মাজাহ)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)

15
Know The World / হাদীস নং ২৩
« on: June 28, 2024, 09:26:36 PM »
হাদীস নং ২৩

অনেক মানুষকে দেখবে, কারও কাছ থেকে কিছু ধার নিলে বা ঋণ নিলে তা পরিশোধ করতে গড়িমসি করে। এটা খুবই মন্দ স্বভাব। ধনী ব্যক্তি এমন করলে সেটা নির্ঘাত যুলুম। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ

অর্থঃ ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা যুলুম। (বুখারী,২২৮৭)

বুঝেছ, বন্ধুরা? তোমরা কখনোই এমন করবে না। কারও কাছ থেকে ধার নিলে সময়মতো পরিশোধ করে দেবে।

চলবে...........................................................................

Pages: [1] 2 3 ... 17