« on: August 28, 2022, 01:44:16 AM »
ঘরে ঢুকব সালাম দিয়ে
একবার একলোক নবিজির ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইল। লোকটি বলল, ‘আমি কি ভেতরে আসব?’ নবিজি তাঁর খাদেমকে বললেন, “এই লোকটাকে অনুমতি চাওয়ার আদব শেখাও। তাকে বলতে বলো, ‘আস-সালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসব? এরপর লোকটি নবিজির শেখানো নিয়মে অনুমতি চাইল। আগে সালাম দিলো। এরপর অনুমতি চাইল। এবার নবিজি তাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলেন।
ঘরে প্রবেশের আগে সালাম দেওয়া আল্লাহর আদেশ। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “ হে মুমিনগণ, অনুমতি না নিয়ে তোমরা অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, আর ঘরের লোকদের সালাম দিয়ো।….”
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَدْخُلُوا۟ بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا۟ وَتُسَلِّمُوا۟ عَلَىٰٓ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌۭ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ ٢٧ فَإِن لَّمْ تَجِدُوا۟ فِيهَآ أَحَدًۭا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤْذَنَ لَكُمْ ۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ٱرْجِعُوا۟ فَٱرْجِعُوا۟ ۖ هُوَ أَزْكَىٰ لَكُمْ ۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌۭ ٢٨ لَّيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَدْخُلُوا۟ بُيُوتًا غَيْرَ مَسْكُونَةٍۢ فِيهَا مَتَـٰعٌۭ لَّكُمْ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ ٢٩
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর। সেখানে যদি তোমরা কাউকে না পাও, তাহলে তাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়। আর যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও, তাহলে ফিরে যাবে, এটাই তোমাদের জন্য বেশি পবিত্র’। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অবগত। যে ঘরে কেউ বাস করে না, তোমাদের মালমাত্তা থাকে, সেখানে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন পাপ হবে না, আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর আর যা তোমরা গোপন কর। (সূরা নূর, আয়াত নং ২৭,২৮,২৯)
এমনকি নিজের ঘরে কেউ না থাকলেও সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে। তখন বলবে, السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ আমাদের উপরে ও আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে সালাম!’
নবিজি আনাসকে বলেছিলেন, “প্রিয় ছেলে আমার, তুমি যখন তোমার পরিবারের লোকজনের কাছে যাও, তখন তাদের সালাম দিয়ো। এতে তোমার ও তোমার পরিবারের উপর বরকত হবে।”
ঘর বা মজলিস থেকে বিদায় নেওয়ার আগেও সালাম দেবে। নবিজি বলেছেন, “মজলিসে গেলে সালাম দেবে। বসতে ইচ্ছা হলে বসবে। যখন উঠে দাঁড়াবে তখনো সালাম দেবে। শেষের সালামের গুরুত্ব প্রথমটির চেয়ে কম নয়।”
আলোচনাটি আবূ দাউদ-এর ৫১৭৭ এবং তিরমিযি-এর ২৬৯৮ নং হাদীস
« Last Edit: September 08, 2022, 03:05:51 AM by ashraful.diss »
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।