Author Topic: যে পর্যন্ত পরিশ্রম করে করে জীবিকা অর্জন কর  (Read 5627 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 387
  • জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না
    • View Profile
    • Email

যে পর্যন্ত পরিশ্রম করে করে জীবিকা অর্জন করা যায়, সে পর্যন্ত সওয়াল করতে নেই :

وَعَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَأْتِيَ بِحُزْمَةِ حَطَبٍ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيعَهَا فَيَكُفَّ اللَّهُ بِهَا وَجْهَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ أَعْطَوْهُ أَوْ مَنَعُوهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

হযরত যুবায়ের ইবনুল আওয়াম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কোনো (অভাবী) মানুষের এ কাজটি যে, সে রশি নিয়ে জঙ্গলে যাবে এবং পিঠে লাকড়ির বোঝা বহন করে এনে বিক্রি করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা এর দ্বারা সওয়ালের লাঞ্ছনা থেকে তাকে রক্ষা করবেন, এটা তার জন্য ওই কাজ অপেক্ষা অনেক ভালো যে, সে মানুষের সামনে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করবে। তারপর তারা তাকে কিছু দেবে অথবা না করে দেবে। (বুখারী)

সওয়াল করতে বাধ্য হলে আল্লাহর নেক বান্দাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা :

عَنِ ابْنِ الْفِرَاسِيِّ أَنَّ الْفِرَاسِيَّ قَالَ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا وَإِن كنت لابد فسل الصَّالِحين» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

তাবেয়ী ইবনুল ফারাসী থেকে বর্ণিত, ফারাসী (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার প্রয়োজনে মানুষের কাছে সওয়াল করব? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (যতদূর সম্ভব) সওয়াল করতে যেয়ো না। আর যদি কোনো উপায়ান্তর না থাকে, তাহলে আল্লাহর নেক বান্দাদের কাছে সওয়াল করবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

দান-খয়রাতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর বরকত :

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَنْفِقْ يَا ابْن آدم أنْفق عَلَيْك

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের ওপর) নিজের উপার্জন থেকে খরচ করো, আমি আপন ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। (বুখারী ও মুসলিম)

وَعَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَفِقِي وَلَا تُحْصِي فَيُحْصِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَلَا تُوعِي فَيُوعِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ ارْضَخِي مَا اسْتَطَعْتِ»

হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বলেছিলেন, তুমি আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তাঁর পথে মুক্ত হস্তে খরচ করে যাও, হিসাব করতে যেয়ো না। ( অর্থাৎ এ চিন্তায় পড়ো না যে, আমার কাছে কত আছে আর এখান থেকে আল্লাহর পথে কতটুকু খরচ করব) তুমি যদি এভাবে হিসাব করে আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তাহলে আল্লাহও তোমাকে হিসাব করেই দেবেন। সম্পদ আঁকড়ে ধরে ও আবদ্ধ করে রাখবে না। এমন করলে আল্লাহও তোমাদের সাথে এমন আচরণই করবেন। (অর্থাৎ রহমত ও বরকতের দরজা তোমার ওপর বন্ধ করে দেবেন) যতদূর সম্ভব মুক্তস্ত হওয়ার চেষ্টা করো। (বুখারী ও মুসলিম)
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।