« on: August 28, 2022, 02:18:09 AM »
সালামের আদব
নবি (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে আগে সালাম দেয়।”
আগে-আগে সালাম দিই
বাহনে-থাকা-লোক সালাম দেবে পায়ে-হাঁটা-লোককে।
পায়ে-হাঁটা-লোক সালাম দেবে বসে-থাকা-লোককে।
অল্প সংখ্যক লোক সালাম দেবে বেশি সংখ্যক লোককে।
বাইরে থেকে-আসা-লোক সালাম দেবে ঘরে-থাকা-লোককে।
ছোটরা সালাম দেবে বড়দেরকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর বিপরীত হলেও দোষের কিছু নেই। যেমনঃ নবিজি ছোটদের আগে সালাম দিতেন।
একসাথে অনেকে থাকলে, একজন জবাব দিলেই সবার সালামের জবাব হয়ে যায়।
যখন সালাম দেওয়া ঠিক নয় (মাকরুহ)
আযান-ইকামাতের সময়।
পেশাব-পায়খানা করার সময়।
মুখে খাবার থাকা অবস্থায়। যদি কথা বললে গলায় খাবার আটকে যাবার ভয় থাকে।
ইবাদাতরত অবস্থায়। যেমনঃ কেউ সালাত পড়ছে, কুরআন তিলাওয়াত করছে, যিকর করছে বা ওজু করছে।
খুতবা চলা অবস্থায় খতীবকে সালাম দেবে না। ক্লাস চলা অবস্থায় একে অন্যকে সালাম দেবে না। এতে সকলের মনোযোগ নষ্ট হয়।
দ্বীনি কাজে ব্যস্ত ব্যক্তিকে আগে সালাম দেবে না। যেমনঃ ইলমি গবেষণায় ব্যস্ত গবেষক (ফকীহ), বিচার কাজে ব্যস্ত বিচারক।
প্রকাশ্যে গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিকে আগে সালাম দেওয়া মাকরুহ। যেমনঃ যারা দাড়ি কামায়, বেপর্দায় চলাচল করে, নাচ-গান করে, নাটক-সিনেমা দেখে কিংবা সবার সামনে হারাম কাজ করে।
আলোচনাটি আবূ দাউদ-এর ৫১৯৭ এবং সহীহ বুখারী-এর ৬২৩৩ নং হাদীস।
« Last Edit: September 08, 2022, 03:07:00 AM by ashraful.diss »
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।