« on: September 12, 2020, 02:26:13 AM »
এ বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাপী মানুষজন নতুন একটি শব্দ শুনেছে। আর তা হল করোনাভাইরাস। এটি এমন এক ভাইরাস যা স্তব্ধ করে দিয়েছে পৃথিবীর প্রাণচাঞ্চল্য।
শিশুরা করোনাভাইরাসে অপেক্ষাকৃত অনেক কম আক্রান্ত হলেও বলা হচ্ছে শিশুরা করোনাভাইরাসের নীরব শিকার।
ঢাকার মিরপুরে পলেস্তারা খসে পড়া জীর্ণ চেহারার একটি ভবনে বাস করেন রিনা বেগম ও তার পরিবার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তার স্বামী পেশায় সিএনজি চালক। একসময় যার উপার্জন ছিল মাসে ১৫ হাজার টাকার বেশি, কিন্তু মাস দুয়েকের বেশি সময় ধরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘরে খাবার নেই এমন দিনও গেছে।
রিনা বেগম বলছিলেন সাধারণ ছুটি চলাকালীন সাত বছরের ছেলেকে দুপুরে খেতে দিতে পারেননি এমন অভিজ্ঞতাও তার হয়েছে। তিনি বলছেন, "রোজার মাসে আমরা রোজা রাখছি না খাইয়া। একদিন ছেলেটারে সকালে দোকান থেইকা একটা পাউরুটি আইনা দিছি। এরপর সারাদিন আর কিছু দিতে পারি নাই। ঘরে চাল ছিল না এইরকম অনেক দিন হইছে।"লকডাউন চলাকালীন তার স্বামী দিনে সিএনজি নিয়ে বের হতেন আর প্রায়ই খালি হাতে ঘরে ফিরতেন। এখন অটোরিকশা চালাতে পারলেও আগের মতো এত যাত্রী নেই, অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে। রিনা বেগম বলছেন আর্থিকভাবে তারা যেন কয়েক বছর পিছিয়ে গেলেন। রিনা বেগম বলছেন, "ছেলেটা সারাদিন খাই খাই করে। কিন্তু টাকা না থাকলে কোত্থেকে খাইতে দেব।"
রিনা বেগমের অভুক্ত শিশুটির মতোই বাবা-মায়ের বেকারত্ব ও আয় কমে যাওয়ার বড় প্রভাব সাধারণত পড়ে শিশুদের উপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক ব্যাখ্যা করছিলেন শিশুরা কীভাবে বেকারত্ব ও দারিদ্রের শিকার হচ্ছে। তিনি বলছেন, "আমরা জানতে পারছি যে সার্বিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে ব্যাঘাত ঘটেছে তাতে আমাদের যারা দরিদ্র ও হত দরিদ্র তাদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। নতুন অনেক পরিবার দারিদ্রের তালিকায় চলে আসবে। পরিবারের সদস্যদের যদি আয় কমে যায় তাহলে ওই উপার্জনক্ষম ব্যক্তির উপর পরিবারের অন্য যারা নির্ভরশীল তাদের পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উপর খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রভাব পড়বে। "তিনি বলছেন, "বিষয়টা এরকম যে, আগে হয়ত বাবা-মা তার শিশুকে সপ্তাহে পাঁচটা ডিম দিতে পারতো। কিন্তু এখন হয়ত একটা বা দুটো দিতে পারে। সব খাবারগুলো আর দিতে পারছে না।"
এমন পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দা চিলড্রেন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তাদের একটি জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪ শতাংশ শিশু জানিয়েছে যে তাদের পরিবার কঠিন খাদ্য সংকটে রয়েছে। খুব ছোট পরিসরে জরিপটি করা হলেও এথেকে কিছু ধারনা পাওয়া যায়।
শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটায় বেকারত্ব, দারিদ্র, ক্ষুধাও যেন কোভিড-১৯ এর উপসর্গ হয়ে উঠেছে।
ঢাকার শিশু হাসপাতালের ডেভেলপমেন্টাল পিডিয়াট্রিশিয়ান ডা. রিয়াজ মোবারক বলছেন, পরিবারে খাদ্য সংকট কারণে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগবে।
তিনি বলছেন, "অনেকেরই বেতন বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে, চাকরি চলে গেছে। এসব ঘরে তো খাবার ঠিকমতো আসছে না। শিশুর যে সুসম পুষ্টি সেটা কিন্তু হচ্ছে না। সে কারণে শিশুর লম্বায় বড় হওয়া, ওজন বাড়া এসব কমে যাবে।"তিনি বলছেন ঘরে বসে থেকে শিশু একাকীত্বে ভুগছে। শিশুর বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার ভাষায়, "দীর্ঘদিনের আবদ্ধ অবস্থা শিশুর সকল ধরনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। একটা শিশু যখন হাঁটতে শেখে, কথা বলতে, দৌড়াতে শেখে, ছবি আঁকে, নাচে এইসব জিনিস শিশুর বিকাশের একটা অংশ। শিশুর সকল ধরনের বিকাশ, বুদ্ধির বিকাশ এই পরিস্থিতিতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শিশুর সময় কাটানোর জন্য আরেকটা শিশুর দরকার হয়।"
ডা. মোবারক আরো বলছেন শিশুর পুষ্টির অভাব হলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকবে। আর অন্যদিকে আরেকটি শিশুর সংস্পর্শে আসার সুযোগ শিশুরা সবচেয়ে বেশি পায় স্কুলে, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের পরিবারে। সেই সুযোগ তার একেবারেই কমে গেছে।তিনি বলছেন ঘরে বসে থেকে শিশু একাকীত্বে ভুগছে। শিশুর বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তার ভাষায়, "দীর্ঘদিনের আবদ্ধ অবস্থা শিশুর সকল ধরনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। একটা শিশু যখন হাঁটতে শেখে, কথা বলতে, দৌড়াতে শেখে, ছবি আঁকে, নাচে এইসব জিনিস শিশুর বিকাশের একটা অংশ। শিশুর সকল ধরনের বিকাশ, বুদ্ধির বিকাশ এই পরিস্থিতিতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শিশুর সময় কাটানোর জন্য আরেকটা শিশুর দরকার হয়।"
ডা. মোবারক আরো বলছেন শিশুর পুষ্টির অভাব হলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকবে। আর অন্যদিকে আরেকটি শিশুর সংস্পর্শে আসার সুযোগ শিশুরা সবচেয়ে বেশি পায় স্কুলে, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের পরিবারে। সেই সুযোগ তার একেবারেই কমে গেছে। একটি জরীপে ৬৪ শতাংশ শিশু জানিয়েছে তাদের পরিবার খাদ্য সংকটে রয়েছে।
বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, পাচার
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা শাবনাজ জাহেরিন বলছেন, ক্ষুধা, অপুষ্টি ও একাকীত্ব ছাড়াও শিশুরা ঝুঁকির মুখে পড়বে আরো নানা ভাবে।
বিশেষজ্ঞরা এটিকে বলছেন 'সেকেন্ডারি এফেক্ট'। দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার কারণে মন্দা, বেকারত্ব ও দারিদ্রের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পরবে। শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, পাচারের শিকার হবে। শাবনাজ জাহেরিন বলছেন, "বাড়িতে খাবার নেই, তাই তারা পরিবারের সাথে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত হচ্ছে। আমরা মনে করছি ১০ থেকে ১৮ যে বয়সটা, কিশোর বয়সে যারা আছে তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
''কিশোর বয়সী মেয়েরা বিশেষ করে বাল্যবিয়ের শিকার হবে। যেহেতু স্কুলে যেতে পারছে না, তাই খুবই সম্ভাবনা পরিবার শিশুদেরকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত করবে। শিশুদের পাচারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।" শাবনাজ জাহেরিন যেমনটা বলছেন, ইদানীং রাস্তায় অনেক বেশি শিশুকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় যারা সবজি বিক্রি করতে আসেন তাদের অনেকেই কিশোর বয়সী। যে সময়ে স্কুলে থাকার কথা, তেমন অনেক শিশুকে দেখা যাচ্ছে রিকশাভ্যান ভর্তি সদাই নিয়ে বাবার সাথে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রমের হার কমেছিল ৯৪ শতাংশ কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এর প্রবণতা উল্টো পথে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ শিশু আবারো শিশুশ্রমে যুক্ত হতে বাধ্য হবে বলে সংস্থাটি আশংকা প্রকাশ করছে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধের প্রভাব থাকবে অনেকদিন। অন্যদিকে শাবনাজ জাহেরিন বলছেন, পরিবারের দারিদ্রের কারণে শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পরিসংখ্যান হয়ত পাওয়া যাবে বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে।
কিন্তু বাংলাদেশে স্কুলের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান এমনিতেই বন্ধ রয়েছে ছয় মাস হল। এপ্রিলের এক তারিখের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তা কবে হবে সেনিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। ইতিমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আগস্টের ৬ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পরিস্থিতি ভালো না হলে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকতে পারে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।
রংপুরের মিঠাপুকুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর সাইয়েদা নাজনীন বলছেন, তার শ্রেণীকক্ষে নতুন বইয়ের প্রথম চ্যাপ্টারের পড়া শুরু হয়েই থেমে গেছে। তিনি বলছেন, "ইংরেজিতে সিলেবাসটা মাত্র শুরু করেছিলাম। শুরুতেই ছিল ইংরেজিতে হাই, হেলো বা নাম দিয়ে একে অপরের সাথে পরিচয় পর্ব। সেই অংশটাতেই থেমে যেতে হয়েছে। "তিনি বলছেন, শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষায় যে ঘাটতি হচ্ছে আগামী বছরেও হয়ত সেটা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। "শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের কাছে যে ধরনের পড়াশোনা হয় সেটা বাসায় হয়না। ক্লাসে ৪৫ মিনিটে সে যা শিখবে ওই একই বিষয় সে বাসায় শিখতে সক্ষম হচ্ছে না। আমি দেখছি বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ চলে যাচ্ছে।" বড় শহরে কিছু স্কুল অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও গ্রামের শিশুরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি টেলিভিশনে পাঠদান অনুষ্ঠান হলেও অনেকে তা জানেনই না। নুর সাইয়েদা নাজনীন বলছেন, "এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় সেশন জট তৈরি হবে। স্কুল যখন শুরু হবে, যেসব পড়াশোনা হয়নি সেটা নিয়ে শিশুরা হিমশিম খেয়ে যাবে। তাদের উপর চাপ তৈরি হবে।"
শিশুর আচরণগত পরিবর্তন, বিষণ্ণতা, মানসিক ট্রমা
করোনাভাইরাস প্যান্ডেমিক শুরু হওয়ার পর থেকে শিশুরা এমনিতেই মানসিক চাপে ভুগছে। স্কুল নেই, বন্ধুদের সাথে দেখা নেই, খেলা নেই, ঘরের চার দেয়াল ছাড়া কোথাও বেড়াতে যাওয়ার উপায় নেই। আর অন্যদিকে সারাদিন বাবা-মায়ের ভাইরাস সংক্রমণ, আয় রোজগার আর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ। করোনাভাইরাসে শিশুরা খুব বেশি আক্রান্ত না হলেও এ থেকে মুক্তিরও যেন উপায় নেই। দিনভর সকল সম্প্রচার মাধ্যমে একই বিষয় নিয়ে আলোচনা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বিশ্বব্যাপী আশি লাখের বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়া, সাড়ে চার লাখের মতো মানুষের মৃত্যুর খবর নিয়ে চারপাশে বড়রাও সারাক্ষণ কথা বলছে। চারিদিকে শুধু শঙ্কার আবহ শিশুর মনোজগতের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট ডা. ইশরাত শারমিন রহমান। তার ভাষায়, "শিশুরা বুঝতে পারে না করোনাভাইরাস কি, এর ক্ষতিটা কি, কেন তাদের সারাক্ষণ ঘরেই থাকতে হচ্ছে। হঠাৎ করে তার স্বাভাবিক রুটিনটা এলোমেলো হয়ে গেছে। সে স্কুলে যেতে পারছে না, খেলতে যেতে পারছে না। তাদের আবেগ ও আচরণের মধ্যে একটা পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। হয়ত অকারণে জেদ করছে, কান্নাকাটি করছে।"
"বাড়িতে অনেক বেশি করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাবা-মা সংসার চলবে কি করে, টাকা পয়সা নেই, সামনে কি হবে, সেসব বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ কথাবার্তা বলছেন। বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তায় শিশুদেরও উদ্বেগ বাড়তে পারে।" তিনি বলছেন, কিশোর বয়সীরা হয়ত অনেক বেশি সময় ঘরে দরজা আটকে থাকছেন, অনলাইনে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। ডা. ইশরাত শারমিন রহমান আরও বলছেন, বাবা-মায়ের মানসিক চাপের কারণে শিশুদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যার ব্যাখ্যা হয়ত বুঝতে পারবে না শিশুর সরল মন। এতে বাবা-মায়ের উপরে তার ক্ষোভ তৈরি হতে পারে, তাদের সাথে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন বেড়ে যেতে পারে।
দরিদ্র পরিবারের শিশুরা নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সংস্পর্শে আসতে পারে। সবমিলিয়ে ক্ষুধা, অপুষ্টি, শিশু শ্রমের সাথে সাথে শিশুদের মনে নিশ্চিতভাবেই দীর্ঘমেয়াদি একটা ট্রমা রেখে যাবে করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারি।
« Last Edit: September 12, 2020, 02:29:04 AM by Farhana Haque »
Logged
কারো মত নয় আমরা হবো যার যার মত। প্রতিজন "আমি" হবো এক একটি আদর্শ। জীবন একটিই। সময় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। নিজেকে প্রমান করার এবং ভালো কাজ করার এখনই সময়।