• Welcome to Daffodil Foundation Forum.
 

News:

Daffodil Foundation is a non-profit organization in Bangladesh that aims to improve the quality of life for current and future generations.

Main Menu

শিশুশ্রম নিরসনে

Started by ashraful.diss, March 03, 2022, 09:36:51 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss


শিশুশ্রম  নিরসনে

বর্তমান ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শিশুশ্রম' একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক সমস্যা। সার্বিক বিশ্লেষণে শিশুশ্রম' বলতে, শিশুদের শ্রমের সময় প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন কাজে এবং পরােক্ষভাবে গার্হস্থ্য শ্রমে ব্যয় করাকে বােঝায়। দাসত্ব, বন্ধক, যৌননিপীড়ন, সশস্ত্র সংঘাত প্রভৃতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়ােজিত শিশুর সংখ্যাও প্রচুর। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিশুদের দিয়ে জোর করে নানা কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেমন—ইটভাঙা, ওয়ার্কশপ ও গ্যারেজে কাজ করা, অন্যের বাড়িতে কাজ করা, হােটেল ও চা-স্টলে কাজ করা, শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা, কুলিগিরি, অফিস-আদালতে খাবার পৌছানাে, বাস-টেম্পাের হেলপারি ইত্যাদি। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে।

১. শিশু অধিকার বাস্তবায়ন;
২. পরিচয় সংরক্ষণ;
৩, মত প্রকাশের স্বাধীনতা;
৪. সামাজিক নিরাপত্তা;
৫. শিশু স্বাস্থ্যের প্রাধান্য;
৬. বৈষম্যহীনতা;
৭. অবৈধ স্থানান্তর রােধ;
৮. অক্ষম ও উদ্বাস্তু শিশু;
৯. সামাজিক পর্যালােচনা;
১০. মাতাপিতার সঙ্গে অবস্থানের অধিকার ইত্যাদি।

সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কর্তব্য দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুরা যাতে এই শিশুশ্রম' নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় তার ব্যবস্থা করা।

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে"—অর্থাৎ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজ যারা শিশু আগামী দিনে তাদের উপরই ন্যস্ত হবে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। কিন্তু নানা কারণে শিশুরা আজ উপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।

জীবিকার প্রয়ােজনে তারা শ্রমদানে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে অনেক শিশুর সুন্দর শৈশব ও বিকশিত জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা এ শিশুশ্রম। শিশুশ্রমকে শিশুদের জীবনের একটি অমানবিক অধ্যায় বলা যায়। শিশুশ্রমের কারণে শিশুদের স্বাভাবিক মেধার কোনাে বিকাশ ঘটে না।

ফলে শিশুরা অন্ধকারে থেকে যায়। শিশুশ্রম শিশুদের শারীরিকভাবে দুর্বল করে দেয়। স্বাস্থ্য দুর্বল হলে তারা পুষ্টিহীনতায় ভােগে এবং রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা কমে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রমশক্তির শতকরা প্রায় ১২ ভাগই শিশু। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে শিশুদের এক বিরাট অংশ শ্রমদান করতে বাধ্য হয়। এ দেশের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এসব মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য তাদের সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ নানা কাজে নিয়ােজিত করে।

অভিভাবকদের নৃশংস আচরণ, মাতাপিতার পঙ্গুত্ব ইত্যাদি কারণে শিশুশ্রমের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুশ্রমের কারণে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও অর্ধেকের বেশি শিশু অকালে ঝরে পড়ে। অর্থাৎ শিশুশিক্ষার সাথে শিশুশ্রমের একটি বিপরীতমুখী সম্পর্ক রয়েছে। আবার শিশুরা কর্মক্ষেত্রে যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, তা তাদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে তারা যেমন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি জাতি ধীরে ধীরে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তাই শিশুশ্রম বন্ধের জন্য যথাযথ আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিশুবান্ধব সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। শিশুশ্রম ও অধিকার সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই শিক্ষিত ও সচেতন নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে, যারা দেশের বােঝা না হয়ে বরং সম্পদ হয়ে দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।

জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।