« on: October 14, 2023, 02:32:59 AM »
গুনাহমুক্ত জীবন গড়ি
ফুর্তির জায়গা :
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন খেয়েদেয়ে ফুর্তি করার জন্য নয়। বরং কষ্ট করে কিছু কামাই করার জন্য। মনে রাখবেন, দুনিয়া কামাই করার জয়গা। আর জান্নাত হলো ফুর্তি করার জায়গা। দুনিয়া কষ্টক্লেশের নাম। আর আখেরাত সুখ-শান্তির নাম। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওই সত্তা, যাকে কেন্দ্র করে আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব দান করেন। তিনি খন্দক যুদ্ধে নিজে কোদাল হাতে পরিখা খননে ব্যস্ত অথচ যবান মোবারকে উচ্চারিত হচ্ছিল-
اللَّهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِيْنَ وَالأَنْصَارِ
হে আল্লাহ! আপনি আনসার ও মুহাজির সাহাবাদেরকে ক্ষমা করুন। আর পরিখা খননে তাদের কষ্টক্লেশ দেখে শুরুতেই শান্তনার বাণী শোনালেন যে, আমোদ-ফুর্তির জায়গা হলো আখেরাত, দুনিয়া নয়।
চাকরির চিন্তা :
ফুর্তির জায়গা কোনটি আর আয়-রুজির জায়গা কোনটি নির্ণয় করতে পারলে শরীয়ত মোতাবেক জীবন পরিচালনা করাও অতি সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
দেখুন, একজন দুষ্ট ছাত্রও কিন্তু একসময় রাত জেগে লেখাপড়া করে। কারণ পরের দিন তার পরীক্ষা। সে এ ব্যাপারে অবগত যে, এখন মেহনত করলে পরীক্ষায় পাস করব। পাস হলে চাকরি পাব। বোঝা গেল, রাতের ঘুম হারাম করার পেছনে চাকরির চিন্তাই মূল কারণ। একজন দুষ্ট ছাত্রও যদি বুঝতে পারে রাত জেগে মেহনত করলে সে কী পাবে, তাহলে আমাদের কেন আখেরাতের বুঝ আসে না। লোকেরা যদি বুঝতে পারে, মেহন করলে কিছু পাওয়া যাবে, আমাদের কেন এই বুঝ আসে না যে, মেহনত করলে আখেরাত পাব। আমাদের আয়ুর পরিধি অনেক কম। জীবন একবারই লাভ হয়, বারবার নয়। অতএব যত পারা যায় আখেরাতের জন্য মেহনত করতে হবে। কারণ আমাদের সম্পর্ক রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে। মনে রাখবেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমন কোনো বিশেষ অঞ্চলের জন্য নয়। বরং পুরো দুনিয়ার জন্য।
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا کَآفَّۃً لِّلنَّا
চলবে..................
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।