Author Topic: স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় প্রবেশাধিকার: একট  (Read 65 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 431
  • জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না
    • View Profile
    • Email
স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় প্রবেশাধিকার: একটি টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি

একটি জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় সহজ ও ন্যায্য প্রবেশাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পানীয় জল, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, বাজার, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের মতো মৌলিক পরিষেবা ও সম্পদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা একটি সুস্থ ও উৎপাদনশীল সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত।

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন পরিচালিত “জীবিকা” চাঁদপুর প্রকল্প এই স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো চাঁদপুর জেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং তাদের স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করা। এই লক্ষ্যে “জীবিকা” স্থানীয় সম্পদ ও সেবার সুষ্ঠু ব্যবহার এবং সকলের জন্য এর সুবিধা নিশ্চিত করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে।

শিক্ষা:

শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার এবং উন্নয়নের মূল ভিত্তি। “জীবিকা” চাঁদপুর দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করে এবং তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে। শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ এবং ক্ষেত্রবিশেষে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। বয়স্কদের সাক্ষরতা কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়, যাতে জ্ঞানার্জনের সুযোগ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।

স্বাস্থ্যসেবা:

সুস্থ জীবনযাপন একটি অপরিহার্য চাহিদা। “জীবিকা” নিয়মিত স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়। স্বাস্থ্যবিধি ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর সাথে সমন্বয় করে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতেও সহায়তা করা হয়।

পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন:

নিরাপদ পানীয় জল ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “জীবিকা” প্রকল্প নিরাপদ জলের উৎস তৈরি এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে এই পরিষেবাগুলোর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।

বাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা:

স্থানীয় উৎপাদক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারের সুযোগ তৈরি করা এবং পণ্যাদি পরিবহনের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। “জীবিকা” স্থানীয় বাজারগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য advocacy কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর ফলে প্রান্তিক মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে সক্ষম হয়।

প্রাকৃতিক সম্পদ:

স্থানীয় প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং এর উপর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা “জীবিকা” প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। পরিবেশবান্ধব জীবিকা নির্বাহের পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হয়।

“জীবিকা”র প্রভাব:

“জীবিকা” চাঁদপুর প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারিত হয়েছে। নিরাপদ পানীয় জল ও উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়েছে।

স্থানীয় সম্পদ ও সেবায় সকলের সমান প্রবেশাধিকার একটি ন্যায়সঙ্গত ও উন্নত সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের “জীবিকা” চাঁদপুর প্রকল্প এই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এই ধরনের উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করা এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রদান করা প্রয়োজন, যাতে চাঁদপুর জেলার প্রতিটি মানুষ স্থানীয় সম্পদ ও সেবার সুবিধা ভোগ করে একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।

জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।