« on: May 24, 2024, 11:26:23 PM »
সৌন্দর্য ও ইসলাম
চাকচিক্য, সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা করা মহিলাদের প্রকৃতিগত অধিকার। মেকা'আপ করা, সাজ-গোজ করা রমণীদের স্বভাব বৈশিষ্টের অনুকূলে। প্রত্যেক মহিলাই স্বভাবগত প্রবৃত্তির কারণে সুন্দরী ও রূপসী হতে চায়, চায় নিজেকে অনুপমা রুপবর্তী হিসেবে তুলে ধরতে।
ইসলাম মহিলাদের এই কাঙ্খিত বাসনা ও চাহিদার পরিপন্থী নয়। নিষেধ করেনা সেজে-গোজে পরিপাটি হতে। বরং উৎসাহিত করে। অনুপ্রানিত করে সুন্দর সুচারুরূপে সু-সজ্জিত হতে, পরিমার্জিত ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে। তবে তা শুধুমাত্র স্বামীর সম্মুখে। অন্য কারো জন্যে নয়। আকর্ষণীয় পোশাক-পরিচ্ছদে সজ্জিত হওয়া এবং সুগন্ধী মেখে সৌরভিত হওয়াতেও নিষেধ নেই। কিন্তু তাও হতে হবে একমাত্র স্বামীর উদ্দেশ্যে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ "যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তার চলা-ফেরায় অন্যান্য লোকজন সুঘ্রাণ অনুভব করে। তাহলে সে মহিলা পাপচারিণী হিসেবে গণ্য হবে।" মুসনাদে আহমাদ ৪:৪১
মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করলে তার সু-ঘ্রাণ পুরুষদের সুপ্ত অনুভূতিকে সুক্ষ্ণভাবে জাগ্রত করে। ফলে সাধারণ চারিত্রিক নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। এজন্য ইসলাম কোন মুসলিম মহিলাকে সুগন্ধি ব্যবহার করে রাস্তায় বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিশেষ পুরুষদের সভা-সমাবেশের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার অনুমতি কখনো দেয়নি।
কেননা রুপ-লাবন্যতা লুকানো সম্ভব। কিন্তু আতর বা সুগন্ধিকে তো তার সুবাস ছড়ানো থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়। সু-ঘ্রাণ বাতাসে মিশে তার মিষ্টি সৌরভ চারদিক বিমোহিত করে তোলে। এ মিষ্টি সুবাসের আমেজে পুরুষের সুপ্ত অনুভূতিকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে ঘটে থাকে অনেক অবাঞ্চিত ঘটনা।
কার্যত: এসকল মূল্যবান উপদেশ অবহেলা ও উপেক্ষা করে এড়িয়ে চলার কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মনে পরস্পর বিরোধী অহেতুক সন্দেহের বীজ অঙ্কুরিত হতে থাকে। পরস্পরের মাঝে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির কারণে শুরু হয়ে যায় অযথা বাক-বিতণ্ডা। এ পরিস্থিতিতে ক্রমশ: উভয়ের মাঝে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে সুখ শান্তির পরিবর্তে ঘর-সংসারে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া, দেখা যায় দাম্পত্য জীবনের হিংস্র ছোবল। এজন্য শরীয়ত পরিপন্থী সকল প্রচলিত ফ্যাশন ও রূপচর্চার মহামারী থেকে মহিলাদের বিরত থাকা আবশ্যক।
চলবে..................................
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।