Author Topic: মৃত্যুর যন্ত্রণা  (Read 76 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 378
  • জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না
    • View Profile
    • Email
মৃত্যুর যন্ত্রণা
« on: July 05, 2024, 11:42:29 PM »

মৃত্যুর যন্ত্রণা

মাসআলাঃ যখন কারো উপর মৃত্যুর প্রভাব দেখা দেয়, তখন তাকে শুইয়ে দিন, এমনভাবে যে কিবলা তার ডান দিকে থাকে এবং মাথাকে সামান্য কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিন, অথবা তার পা কিবলার দিকে করে দিন এবং তার মাথার নিচে বালিশ ইত্যাদি রেখে সামান্য উঁচু করে দিন, এইভাবে কিবলা ফেরানো হবে। (মুসাফির আখিরাত)

কিন্তু যদি অসুস্থ ব্যক্তির কিবলামুখী হতে কষ্ট হয়, তাহলে তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিন, তারপর তার পাশে বসে কালিমায়ে শাহাদাতের উচ্চারণ এমনভাবে করেন যে কেউ তার পাশে উচ্চ স্বরে বলে: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ এবং তাকে কালিমাহ পড়ার আদেশ দিবেন না, কারণ সেই সময়টি খুব কঠিন, আপনি জানেন না তার মুখ থেকে কী বের হবে। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন সে একবার কালিমা পড়ে নিবে, তখন চুপ করে থাকবেন, এ চেষ্টা করবেন না যে সর্বদা কালিমা জারি থাকে এবং কালিমা পড়তে পড়তে দম বাহির হয়। কেননা এর অর্থ কেবলমাত্র এতটুকু যে তার মুখ থেকে শেষ কথাটি কালিমা বের হওয়া উচিত। এটা জরুরী নয় যে দম বাহির হওয়া পর্যন্ত কালিমা চালিয়ে যেতে হবে, হ্যাঁ! যদি কালিমা পড়ার পর আবার কেউ দুনিয়ার কথা বলে, তাহলে পুনরায় কালিমা পড়া শুরু করবেন, যখন সে পাঠ করবে তখন আবার  চুপ করে থাকবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ যখন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং দ্রুত আটকে আটকে চলতে থাকে এবং পা এমনভাবে শিথিল হয়ে যায় যে সে দাঁড়াতে পারে না এবং নাক বাঁকা হয়ে যায় এবং কানপট্টি বসে যায়, তখন মনে করবেন যে, তার মৃত্যুর সময় এসে গেছে, তখন জোরে জোরে কালিমা পড়তে শুরু করবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ এইরকম অবস্থায় নিকটে বসে কেউ সুরা-ইয়াসীন তেলাওয়াত করলে মৃত্যুর কষ্ট কম হয়। অতএব, এইরকম অবস্থায় সুরা-ইয়াসীন নিজে তেলাওয়াত করবেন বা অন্যের দ্বারা তেলাওয়াত করাবেন। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ ঐ সময় এমন কোন কথা বলবেন না, যাতে তার দিল দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায়, কেননা এখন দুনিয়া থেকে পৃথক হওয়ার এবং আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার সময়। এমন কাজ করবেন, এমন কথা বলবেন যাতে দুনিয়া থেকে দিল উঠে আল্লার দিকে ঝুঁকে যায়, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কল্যাণ ইহাতেই নিহত। এসময় ছেলেমেয়েকে সম্মুখে আনা কিংবা তার অন্য কোন মুহাব্বতের বস্তুকে কাছে আনা ও এমন কথা বলা যাতে তার মন এদিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং তার মুহাব্বত অন্তরে বসে যায়, ইহা বড়ই অন্যায় কথা যে দুনিয়ার মুহাব্বত নিয়ে বিদায় হলে (নাউযুবিল্লাহ) তার অপমৃত্যু হলো। (বেহেশতী জেওর)

মাসআলাঃ প্রাণ বাহির হওয়ার সময় যদি তার মুখ দিয়ে কুফরী বা খারাপ কথা বাহির হয়, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তা আলোচনাও করবেন না; বরং এটা মনে করবেন হয়ত বেহুঁশীর কারণে বলেছে। মৃত্যু যন্ত্রণার কারণে বেহুশ হয়েছে এবং জ্ঞানহারা অবস্থায় যা কিছু ঘটবে সব মাফ। আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকেন। (বেহেশতী জেওর)

চলবে………………………………………………………………


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।