• Welcome to Daffodil Foundation Forum.
 

যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্

Started by ashraful.diss, June 28, 2025, 09:34:11 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্বল ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাবলম্বিতা

সমাজে এমন একটি বড় অংশ রয়েছে, যারা শারীরিক, মানসিক, আর্থিক বা সামাজিক কারণে স্বাভাবিক কর্মজীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী—যাদের মধ্যে রয়েছেন বিধবা নারী, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ, কর্মহীন ও দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দারা। এই জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু দান বা খয়রাত নয়, বরং সম্মানজনক ও টেকসই সহায়তা প্রয়োজন।

যারা কাজ করতে পারে না, তাদের জন্য সহায়তা কেন জরুরি?

তারা জীবিকা নির্বাহে সম্পূর্ণরূপে অন্যের উপর নির্ভরশীল।
প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাবে জীবনধারণে চরম কষ্ট ও সামাজিক অবহেলার শিকার হন।
অভাব, অনাহার, ঋণের দায়, শিশুশ্রম ও মানব পাচারের মতো ঝুঁকিতে পড়েন।

যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা: একটি কার্যকর সমাধান

ইসলাম সমাজের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে যাকাতকে একটি বাধ্যতামূলক ও দায়িত্বশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজকে দারিদ্র্যমুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পথে এগিয়ে নিতে যাকাত একটি সুসংগঠিত ও আল্লাহভীতিপূর্ণ পদ্ধতি।

এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কীভাবে টেকসই কর্মসংস্থান তৈরি হয়?

প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসা, গবাদিপশু পালন, সেলাই-কাটিং, কৃষি কিংবা হস্তশিল্পে সহায়তা প্রদান করে।
সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের স্বনির্ভর হতে উৎসাহিত করা হয়।
আয়বর্ধক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে তারা ধীরে ধীরে আত্মিক ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।

ফলাফল ও ইতিবাচক পরিবর্তন

দানগ্রহীতা থেকে দানদাতা হয়ে ওঠেন অনেকে।
পরিবারে স্থিতিশীলতা আসে; শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পায়।
সামাজিক মর্যাদা ও আত্মমর্যাদাবোধ পুনরুদ্ধার হয়।
সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য হ্রাস পায় এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠে।

উপসংহার

সমাজে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার প্রয়োগ কেবল অস্থায়ী সহায়তা নয়, বরং এটি একটি টেকসই ও সম্মানজনক পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। এই ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, কেউ নিজেকে অবহেলিত ভাববে না, বরং সকলে একে অপরের সহায়তায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে থাকবে।

জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।