« on: August 27, 2022, 03:34:43 AM »
সালামের জবাব দিতেই হবে
তখন ছিল খলীফা উমরের শাসনকাল। সা’দ (রাঃ) খলীফার কাছে এসে বিচার দিলেন। তিনি বললেন, ‘উসমান আমার সালামের জবাব দেননি!’
উমর (রাঃ) বললেন, ‘উসমান, তোমার ভাইয়ের সালামের জবাব দিলে না কেন?’ উসমান বললেন, ‘আমি গভীর মনোযোগের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর একটি হাদীস নিয়ে ভাবছিলাম। তাই আশেপাশে কী ঘটেছে টের পাইনি।’ এই জবাব শুনে শান্ত হলেন সা’দ। দূর হলো তার দুঃখ। কারও সালামের জবাব না দিলে সে মনে দুঃখ পায়। তাই সালামের জবাব দিতে হবে স্পষ্ট আওয়াজে। যেন সালামদাতা সালামের জবাব শুনতে পায়।
যদি কেউ তোমার সালাম শুনতে না পায়, তাহলে তাকে তিনবার সালাম দেবে। তবে কেউ ঘুমিয়ে থাকলে এমনভাবে সালাম দেবে, যেন শুধু জেগে-থাকা লোকেরাই সালাম শুনতে পায়। আর ঘুমিয়ে-থাকা-লোকের ঘুম ভেঙে না যায়। যদি কেউ বলে, ‘অমুক তোমাকে সালাম জানিয়েছেন,’ তাহলে দুজনকেই সালামের জবাব দেবে। জবাবে বলবে, ‘আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম।’
সালাম দেওয়া সুন্নত। আর সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। জবাব না দিলে গুনাহ হবে। ইশারা-ইঙ্গিতে সালামের জবাব দেওয়া যাবে না। নবিজি বলেছেন, “তোমরা ইয়াহূদি-খ্রিষ্টানদের মতো সালাম দিয়ো না। তাদের সালাম হলো হাত দিয়ে ইশারা করা।”
আলোচনাটি মুসনাদে আহমাদ-এর ১৪৬২ এবং আল-জামিউস সগীর-এর ১৩৮৩ নং হাদীস।চলবে.................
« Last Edit: September 08, 2022, 03:05:23 AM by ashraful.diss »
Logged
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।