• Welcome to Daffodil Foundation Forum.
 

News:

Daffodil Foundation is a non-profit organization in Bangladesh that aims to improve the quality of life for current and future generations.

Main Menu

জীবনের ভিত্তিমূল তিনটি গুণ

Started by ashraful.diss, May 25, 2023, 04:36:49 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss


জীবনের ভিত্তিমূল তিনটি গুণ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا كَانَ أُمَرَاؤُكُمْ خِيَارَكُمْ، وَأَغْنِيَاؤُكُمْ سُمَحَاءَكُمْ، وَأُمُورُكُمْ شُورَى بَيْنَكُمْ فَظَهْرُ الأَرْضِ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ بَطْنِهَا، وَإِذَا كَانَ أُمَرَاؤُكُمْ شِرَارَكُمْ وَأَغْنِيَاؤُكُمْ بُخَلاَءَكُمْ، وَأُمُورُكُمْ إِلَى نِسَائِكُمْ فَبَطْنُ الأَرْضِ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ ظَهْرِهَا.

লিডার বা শাসকশ্রেণি লোকেরা নেককার হওয়া, সম্পদশালীরা দানশীল হওয়া এবং পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করা—এই তিনটি গুণ যতদিন পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকবে ততদিন জমিনের পেটের তুলনায় পিঠই তোমাদের জন্য উত্তম। অথার্ৎ মৃত্যুর তুলনায় পৃথিবীতে বেঁচে থাকা ভালো। কারণ, জীবন তো আখেরাত বিনির্মাণের জন্যই। উল্লিখিত পরিস্থিতিতে আখেরাত বিনির্মাণ করা যায়। যখন পৃথিবীতে এ তিনটি দোষ দেখা দেবে যে, লিডার বা শাসকরা মন্দ ও দুষ্ট প্রকৃতির হবে, সম্পদশালীরা কৃপণ হয়ে যাবে এবং পুরুষরা নারীদের পরামর্শে কাজকর্ম করবে তখন তোমাদের জন্য জমিনের পিঠ অপেক্ষা পেটই উত্তম হবে। অর্থাৎ এ পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করাই ভালো। কারণ, সে জীবন জাহান্নামের দিকেই নিয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আখেরাত বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। তাই এ জীবন থেকে মৃত্যুই শ্রেয়।—জামে তিরমিযী  :২২৬৬

এখন হাদীসে উল্লিখিত গুণ ও দোষ সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা করছি।

প্রথম গুণ : লিডার বা শাসক নেককার হওয়া

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম গুণ বর্ণনা করেছেন, তোমাদের শাসকগণ নেককার হবে। যতদিন শাসকশ্রেণি ভালো ও নেককার হবে ততদিন জীবন ভালোভাবে কাটবে।


আজকাল এটা মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে যে, কোনো সমস্যা দেখলেই মিছিল, মিটিং, হইচই ও দল গঠন শুরু করে দেয়। একবারও এ কথা ভেবে দেখে না যে বিষয়টা কতটুকু সত্য, কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টতে কে আহলে হক ও বাতিল। এটা তো আমাদের আমল ও কৃতকর্মেরই বিষফল। আমল যেমন হবে ফলাফলোও তেমন হবে। সংশোধন করতে চাইলে, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। সম্ভব হবে একমাত্র ন্যায় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যোগ্যতা বুঝে প্রত্যেকের অধিকার আদায় করা। নিজেদের আমলের প্রতি দৃষ্টি আরোপ করা। নিজেরা ভালো মানুষে পরিণত হতে হবে। আল্লাহ তাআলার সকল নাফরমানী থেকে বিরত থাকবে অন্যদেরও বিরত রাখার চেষ্টা করবে। মোটকথা, পরিপূর্ণ দ্বীনদার হওয়ার বরকতে সুন্দর ও উত্তম শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।


দ্বিতীয় গুণ : সম্পদশালীদের দানশীল হওয়া

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় গুণ বর্ণনা করেছেন, তোমাদের সম্পদশালীরা দানশীল হবে। নিজেদের সম্পদ আল্লাহর রাহে ব্যয় করবে। সম্পদশালীরা যখন আল্লাহর রাহে খরচ করতে থাকবে তখন কাফের ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উপর মুসলমানদের কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকবে। দরিদ্র ও অসহায়ের সহযোগিতাও হবে। দ্বীনের অন্যান্য কাজও অব্যাহত থাকবে।


তৃতীয় গুণ : পরস্পর পরামর্শ করা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয় গুণ বর্ণনা করেছেন, তোমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে হবে। পুরুষরা পরস্পর পরামর্শ করবে এতে নারীদের কোনো কতৃর্ত্ব থাকবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

وأمركم شورى بينكم

بينكم শব্দে কয়েকটি বিষয় এসে গেছে।

এক. তোমাদের পরামর্শ হবে তোমাদের পরস্পরে। অর্থাৎ মুসলমান মুসলমানের সঙ্গে পরামর্শ করবে, কাফেরদের সঙ্গে নয়।

দুই. পরামর্শ করবে নেককারদের সঙ্গে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর সম্বোধন ছিল নেককারদের প্রতি। তোমরা নিজেরা পরামর্শ করবে, বে—দ্বীন থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবে না।

তিন. كم শব্দ থেকে বোঝা যায়, পুরুষরা পরস্পর পরামর্শ করবে। নারীদের সঙ্গে পরামর্শ করবে না। যতদিন এ আমল অব্যাহত থাকবে ততদিন জমিনের পেট অপেক্ষা পিঠই তোমাদের জন্য উত্তম। জমিনের পিঠে জীবিত থাকাই ভালো হবে মৃত্যুবরণ করার চেয়ে। এমন জীবন হবে বরকতময়। তোমাদের সকল কাজে বরকত হবে।

যখন এ তিনটি বিষয় উল্টে যাবে অর্থাৎ লিডার বা শাসকশ্রেণি বে—দ্বীন ও মন্দ প্রকৃতির হবে, সম্পদশালীরা কৃপণ হয়ে যাবে এবং নারীদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করা হবে তখন জমিনের পিঠ অপেক্ষা পেটই তোমাদের জন্যই উত্তম হবে। জীবনের চেয়ে মৃত্যুই তখন উত্তম হবে। এ পরিস্থিতিতে জমিনের উপর জীবিত থাকার চেয়ে জমিনের পেটে চলে যাওয়াই ভালো।

চলবে.......................................
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।