Recent Posts

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 10
51

নির্লজ্জ মহিলা কর্তৃক সাজ-সজ্জা গ্রহণ

বিউটি পার্লারে সাজানোর কাজে নিয়োজিত বিউটিশিয়ান মহিলারা সাধারণতঃ বে-নামাযী, পর্দাহীন ও উশৃংখল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তারা আল্লাহ তায়ালার বিধান ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথের পরিপন্থী। কোথাও এ কাজে নিয়োজিত বিউটিশিয়ানরা অমুসলিম হয়ে থাকে। সেখানে এমন সব বিউটিশিয়ান আছে যাদের উপর স্বামী সন্তুষ্ট নয়। এখন প্রশ্ন হলো, স্বামীর ভালোবাসা কুড়াতে ব্যার্থ বিউটিশিয়ান কর্তৃক রূপচর্চাকারী মহিলাগণ তদীয় স্বামীদের ভালোবাসা অর্জনে কতটুকু সুফল হবেন? তাই মুসলিম মা-বোনদের উচিত এ জাতীয় লজ্জা -শরমহীন অবাধ্য মহিলাদেরকে নিজ শরীর স্পর্শ করার সুযোগও না দেয়া। (তুমহারা খুসুছি মুয়ালিজ:২)

চলবে.........................................
52
Health / সৌন্দর্য ও ইসলাম
« Last post by ashraful.diss on May 24, 2024, 11:26:23 PM »

সৌন্দর্য ও ইসলাম

চাকচিক্য, সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা করা মহিলাদের প্রকৃতিগত অধিকার। মেকা'আপ করা, সাজ-গোজ করা রমণীদের স্বভাব বৈশিষ্টের অনুকূলে। প্রত্যেক মহিলাই  স্বভাবগত প্রবৃত্তির কারণে সুন্দরী ও রূপসী হতে চায়, চায় নিজেকে অনুপমা রুপবর্তী হিসেবে তুলে ধরতে।

ইসলাম মহিলাদের এই কাঙ্খিত বাসনা ও চাহিদার পরিপন্থী নয়। নিষেধ করেনা সেজে-গোজে পরিপাটি হতে। বরং উৎসাহিত করে। অনুপ্রানিত করে সুন্দর সুচারুরূপে সু-সজ্জিত হতে, পরিমার্জিত ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে। তবে তা শুধুমাত্র স্বামীর সম্মুখে। অন্য কারো জন্যে নয়। আকর্ষণীয় পোশাক-পরিচ্ছদে সজ্জিত হওয়া এবং সুগন্ধী মেখে সৌরভিত হওয়াতেও নিষেধ নেই। কিন্তু তাও হতে হবে একমাত্র স্বামীর উদ্দেশ্যে।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ "যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তার চলা-ফেরায় অন্যান্য লোকজন সুঘ্রাণ অনুভব করে। তাহলে সে মহিলা পাপচারিণী হিসেবে গণ্য হবে।" মুসনাদে আহমাদ ৪:৪১

মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করলে তার সু-ঘ্রাণ পুরুষদের সুপ্ত অনুভূতিকে সুক্ষ্ণভাবে জাগ্রত করে। ফলে সাধারণ চারিত্রিক নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। এজন্য ইসলাম কোন মুসলিম মহিলাকে সুগন্ধি ব্যবহার করে রাস্তায় বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিশেষ পুরুষদের সভা-সমাবেশের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার অনুমতি কখনো দেয়নি।

কেননা রুপ-লাবন্যতা লুকানো সম্ভব। কিন্তু আতর বা সুগন্ধিকে তো তার সুবাস ছড়ানো থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়। সু-ঘ্রাণ বাতাসে মিশে তার মিষ্টি সৌরভ চারদিক বিমোহিত করে তোলে। এ মিষ্টি সুবাসের আমেজে পুরুষের সুপ্ত অনুভূতিকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে ঘটে থাকে অনেক অবাঞ্চিত ঘটনা।

কার্যত: এসকল মূল্যবান উপদেশ অবহেলা ও উপেক্ষা করে এড়িয়ে চলার কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মনে পরস্পর বিরোধী অহেতুক সন্দেহের বীজ অঙ্কুরিত হতে থাকে। পরস্পরের মাঝে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির কারণে শুরু হয়ে যায় অযথা বাক-বিতণ্ডা। এ পরিস্থিতিতে ক্রমশ: উভয়ের মাঝে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে সুখ শান্তির পরিবর্তে ঘর-সংসারে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া, দেখা যায় দাম্পত্য জীবনের হিংস্র ছোবল। এজন্য শরীয়ত পরিপন্থী সকল প্রচলিত ফ্যাশন ও রূপচর্চার মহামারী থেকে মহিলাদের বিরত থাকা আবশ্যক।

চলবে..................................
53

তাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও সতর্কতা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হলে নিজেও ঔষুধ সেবন করতেন এবং মানুষকে চিকিৎসার পরামর্শ দিতেন। তিনি বলতেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ! কি ঔষুধ দিতে হবে, কারণ আল্লাহ প্রত্যেক রোগের নিরাময় দিয়েছেন, একটি রোগ ছাড়া, লোকেরা জিজ্ঞাসা করল এটি কী? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, "খুব বার্ধক্য।" (তিরমিজি) (জাদুল-মাআদ)

হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ব্যক্তিকে একজন দক্ষ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসার নির্দেশ দিতেন এবং বিরত থাকার নির্দেশ দিতেন। (জাদুল-মাআদ)

তিনি হারাম জিনিসকে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন এবং তাকে উপদেশ দিতেন যে, আল্লাহ হারাম জিনিসে তোমাদের জন্য আরোগ্য রাখেননি (জাদুল-মাআদ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: অসুস্থ হওয়ার আগে স্বাস্থ্য থেকে কিছু উপকার নাও এবং মৃত্যুর আগে তোমার জীবনের ফল কাটাও।

উপকারিতা: এর অর্থ হ'ল আপনি আপনার স্বাস্থ্য ও জীবনকে ধন হিসাবে বিবেচনা করুন এবং ভাল কাজে বিনিয়োগ করুন, অন্যথায় অসুস্থতা এবং মৃত্যুতে কিছুই সম্ভব হবে না।

চলবে....................................


Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)
54

অসুস্থতা, চিকিৎসা ও সফর সংক্রান্ত হাদিস ও দোয়া

প্রতিটি রোগের ঔষুধ আছে

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রত্যেক রোগের ঔষুধ রয়েছে, আর ঔষুধ যখন রোগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া হয়, তখন আল্লাহর হুকুমে রোগী ভালো হয়ে যায়।’ (মুসলিম, মিশকাত)

সুনানে আবি দাউদে হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা রোগ ও ঔষুধ নাযিল করেছেন এবং প্রতিটি রোগের জন্য ঔষুধ তৈরি করেছেন, এই জন্য ঔষুধ, কিন্তু হারাম জিনিস দিয়ে ঔষুধ সেবন করো না।" (জাদুল-মাআদ)

চলবে.................................................
..

Source: Own Bengali translation (from Ahkam-E-Mayyyat Urdu Kitab)
55
Know The World / হাদীস নং ৬
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:28:31 AM »
হাদীস নং ৬

বন্ধুরা, তোমাদের যখন কোনোকিছুর প্রয়োজন হবে, তখন সবার আগে আল্লাহর কাছে চাইবে। তার কাছে দু’আ করবে। দু’আ করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন। তা ছাড়া দু’আ একটি ইবাদাত। আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

الدعاء هو العبادة

অর্থঃ দু’আ হলো ইবাদাত। (আবূ দাউদ,১৪৭৯;তিরমিযি, ২৯৬৯; ইবনু মাজাহ, ৩৮২৮)

আল্লাহর ইবাদাত না করলে যেমন তিনি অসন্তুষ্ট হন, তেমনি তাঁর কাছে দু’আ না করলেও তিনি অসন্তুষ্ট হন। তাই তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দু’আ করবে।

চলবে..........................................
56
Know The World / হাদীস নং ৫
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:26:29 AM »
হাদীস নং ৫

ইসলাম সর্বদাই আমাদেরকে কল্যাণের আদেশ দেয়। অকল্যাণ থেকে বিরত থাকতে বলে। কেননা, ইসলাম একটি কল্যাণকামী দ্বীন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

الدِّينُ النَّصِيحةُ

অর্থঃ দ্বীন হলো কল্যাণ কামিতার নাম। (মুসলিম,৫৫)

তাই আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কল্যাণ কামনা করব। কারও ভুল দেখলে সুন্দরভাবে শোধরে দেব। মনে থাকবে তো, বন্ধুরা?

চলবে....................................
57
Know The World / হাদীস নং ৪
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:24:36 AM »
হাদীস নং ৪

বন্ধুরা মনে আছে তো আপনাদের? নবিজির কথামতো দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু কিভাবে নামাজ আদায় করবেন? যেভাবে মন চায় সেভাবে নামাজ পড়লেই কি হবে? না, বন্ধুরা! নামাজ পড়তে হবে নবিজির মতো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

صلوا كما رأيتموني أصلي

অর্থঃ তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় করো, যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখেছ। (বুখারী, ৬৩১)

তাই, নবিজি যেভাবে নামাজ আদায় করেছেন আপনারাও সেভাবে নামাজ আদায় করবেন। তা হলেই আল্লাহ নামাজ কবুল করবেন। আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন!

চলবে..........................................
58
Know The World / হাদীস নং ৩
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:22:32 AM »
হাদীস নং ৩

বন্ধুরা, আমরা সবাই মুসলিম। তাই আমরা সব সময় নবিজির কথা মেনে চলব। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য বলেছেন,

صَلُّوا خَمْسَكُمْ

অর্থঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো। (মুসনাদে আহমাদ,২১৬৫৭; তিরমিযি,৬১৬)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে বলেছেন। আপনারা নবিজির কথামতো প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। মনে থাকবে তো?

ফজর
যুহর
আসর
মাগরিব
ঈশা

চলবে....................................
59
Know The World / হাদীস নং ২
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:20:19 AM »
হাদীস নং ২

বন্ধুরা, মন দিয়ে শুনুন! শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। আমাদের প্রিয় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলেছেন জানেন? তিনি বলেছেন,

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالْخَوَاتِيمِ

অর্থঃ সকল কাজ সমাপ্তির ওপর নির্ভরশীল (বুখারী, ৬৬০৭)

এ হাদীস থেকে আমরা কী শিখলাম? আমরা শিখলাম, কোনো কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারলেই আমরা ভালো ফলাফল পাব। এখন থেকে আপনারা সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ করবেন। তা হলেই আল্লাহ আপনাদের ভালো কাজটা পছন্দ করবেন। মনে থাকবে তো, বন্ধুরা?

চলবে.................................
60
Know The World / হাদীস নং ১
« Last post by ashraful.diss on May 23, 2024, 04:17:13 AM »
হাদীস নং ১

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত বন্ধুরা! কেমন আছেন আপনারা? আজ থেকে এখানে আমরা সুন্দর সুন্দর হাদীস পড়ব। আজ পড়ব বুখারী শরীফের এক নম্বর হাদীস। চলুন এবার, হাদিসটা পড়ি-

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ

অর্থঃ নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারী, ১;মুসলিম, ১৯০৭)

এখন থেকে যে কোনো ভালো কাজ করার আগে সুন্দর নিয়ত করে নিবো। আল্লাহকে খুশি করার নিয়তে ভালো কাজ করলে অনেক অনেক সাওয়াব পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ!

চলবে...........................
Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 10