Recent Posts

Pages: [1] 2 3 ... 10
2
অন্ধকার রাতের ন্যায় একের পর এক ফিতনায় ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী………………।

অন্ধকার রাতের ন্যায় একের পর এক ফিতনায় ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবীর সাদাসিধে আপন মানুষগুলি। চোখ ধাঁধানো ফিতনার আক্রমণে আমরা হারিয়ে ফেলছি সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকরণ ক্ষমতা। কারা আল্লাহর বন্ধু (ভাল মানুষ) আর কারা শয়তানের বন্ধু (খারাপ মানুষ), তা চিহ্নিত করতে গিয়ে ধোঁকায় পতিত হচ্ছি আমরা। আমরা আজ শয়তানের দোসরদের আল্লাহর বন্ধু ভাল মানুষ ভেবে বসি, আর আল্লাহর বন্ধুদের অর্থাৎ ভাল মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হই। আজ থেকে শত শত বছর পূর্বে মহান আল্লাহ তায়ালা এই ফিতনার মোকাবিলায় একটি কালজয়ী গ্রন্থ আল-কুরান রচনা করে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাজিল করেছেন।

এই ‘আল-কুরকানে বাইনা আউলিয়া-উর-রহমান ওয়া আউলিয়া-উশ-শাইত্বান’ নামের সেই মানুষগুলোর ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা আলোচনা করেছেন কারা আল্লাহর বন্ধু আর কারা শয়তানের বন্ধু। ঠিক কোন কোন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলে একজন ব্যক্তি আল্লাহর বন্ধু ভাল মানুষ হয়ে ওঠে, আর কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে একজন ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু খারাপ মানুষ হয়ে যায়, কিন্তু আমরা বুঝবো কি করে! আমরাতো কুরআনের ব্যাখা বিশ্লেষণ জানিনা। তাহলে উপায় কি? ঘোর অমানিশার এই সময়ে আপনার উচিৎ আপনার জীবনকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একজন দ্বীনদার জ্ঞানী অভিভাবক নিযুক্ত করা। আপনার যে কোন ভাল-মন্দ উনার কাছে শেয়ার করবেন আর তিনি আপনাকে দুনিয়ার খারাপ মানুষের ফেতনা থেকে কিভাবে বাঁচা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিবেন। আল্লাহ যদি চান তাহলে এভাবে এক সময় আমরা আল্লাহর বন্ধু আর শয়তানের বন্ধু চিহ্নিত করার বেশ কিছু সূত্র জানতে পারব ইনশা আল্লাহ। অন্যথায় আপনি দুনিয়ার বহুরুপী খারাপ মানুষের পালায় পরে নিজে পথ ভ্রষ্ট হবেন এবং দুনিয়ার ভালো মানুষের সান্নিধ্য হারাবেন। দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জগতেই আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

তাই আমার পরামর্শ বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। সাহায্যকারী, হেল্পিহ্যান্ড, অন্তরঙ্গ বন্ধু বানাতে সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারণ আপনার সাথী হতে পারে আপনার দুনিয়া ও পরকালের পার হওয়ার কারণ। আবার হতে পারে জীবনের চরম অশান্তি, কষ্ট, ব্যর্থতা, জাহান্নামের কারণ। যেমন একটি নেশাখোর বন্ধু আপনাকে শুধু সিগারেট টানতে আর মদ খেতে ডাকবে। সে আপনাকে তার কাজে লিপ্ত করবে। আর একজন দ্বীনদার ভাল মানুষ আপনাকে ভাল পরামর্শ দিয়ে কুরআন শিক্ষায় উৎসাহিত করবে। আপনার হাশর, মিযান,পুলসিরাত সহজ করে দিবে।

একজন ভালো বন্ধু ভাল মানুষ একটা দুনিয়ার সমান। 🌺🌺🌺
3
Myths and Tribal / শানে নুযুলঃ
« Last post by ashraful.diss on November 21, 2024, 04:03:33 AM »
শানে নুযুলঃ

এই আয়াতটি একটি বিশেষ ঘটনায় অবতীর্ণ হয়, ঘটনাটি হল যে, দু’জন সাহাবীর মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়, মামলাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদালতে পেশ করা হয়, বাদীর কোন সাক্ষী ছিল না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাদীকে শরিয়াহ নিয়ম অনুযায়ী শপথ গ্রহণের নির্দেশ দেন, তিনি শপথ নিতে রাজি হন, এ সময় মহানবী (সা.) তাকে উপদেশ স্বরূপ এই আয়াতটি শুনালেন: اِنَّ الَّذِیۡنَ یَشۡتَرُوۡنَ بِعَهۡدِ اللّٰهِ وَ اَیۡمَانِهِمۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا যেখানে শপথ করে অন্যের সম্পদ অর্জনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সাহাবী যখন এই আয়াতটি শুনেন তখন শপথ করা ছেড়ে দেন এবং জমিটি দাবিদারের কাছে হস্তান্তর করলেন। (রুহুল-মাআনী)

চলবে.......................................

Source: Own Bengali translation (from Mal-e-Haram Urdu Kitab)
4
Know The World / হাদীস নং ৩১
« Last post by ashraful.diss on November 20, 2024, 12:19:24 AM »
হাদীস নং ৩১

স্মার্ট মানুষ মাত্রই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। তা ছাড়া পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ

অর্থঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা হল ঈমানের অঙ্গ। (মুসলিম,২২৩;মুসনাদু আহমাদ,২২৯০২)

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও হাদিসে নির্দেশনা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা লানতকারী (অভিশাপে আক্রান্ত হতে হয় এমন) দুইটি কাজ থেকে বেঁচে থাকো। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল, লানতকারী কাজ দুইটি কী তিনি বলেন, যে মানুষের চলাচলের রাস্তায় কিংবা গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করে।’ (আবু দাউদ ২৫, মুসনাদ আহমদ ৮৮৫৩)

বন্ধুরা, তোমরাও সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। তা হলে তোমাদের শরীর-মন সবকিছুই ভালো থাকবে ইনশা আল্লাহ।
7
Know The World / হাদীস নং ৩০
« Last post by ashraful.diss on September 26, 2024, 02:21:26 AM »
হাদীস নং ৩০

ভালো কাজ করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন। এরকম একটি ভালো কাজ হলো, বেশি বেশি সালাম বিনিময় করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ

অর্থঃ তোমরা বেশি বেশি সালাম বিনিময় করো। (মুসলিম,৫৪;আবূ দাউদ,৫১৯৩)

মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো ‘সালাম’। বিনা কষ্টে, বিনা মূল্যে অত্যন্ত ফলদায়ক অভিবাদনটির নাম ‘আসসালামু আলাইকুম’। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং এটি একটি ম্যাগনেটিক পাওয়ারের নাম। এর মাধ্যমে অপর প্রান্তের ব্যক্তির হৃদয়ে ভালোবাসার বীজ বপন করা হয়। নবী (সা.) কে প্রশ্ন করা হলো উত্তম ইসলাম কোনটি? জবাবে তিনি বলেন, অন্যকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া। সুতরাং আপনারাও পরিচিত-অপরিচিত (মুসলিমদের) সবাইকে সালাম দেবেন। এতে আল্লাহ অনেক খুশি হবেন।

চলবে.........................................................
8
Know The World / হাদীস নং ২৯
« Last post by ashraful.diss on September 24, 2024, 11:05:35 PM »
হাদীস নং ২৯

আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে, যাদের মুখের ভাষা ভালো না। তারা মানুষকে গালি দেয়। অথচ মুসলিমকে গালি দেওয়া পাপকাজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

سِبابُ المسلم فسوق

অর্থঃ মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকি। (বুখারী,৪৮; মুসলিম,৬৪)

আজকাল গালিগালাজ অনেকের কাছে একটি ফ্যাশনও হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধীনস্ত বা নিম্ন আয়ের লোকজনের সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলার সময়ও সঙ্গে কিছু অশালীন গালি জুড়ে দেয়। অথচ এটি যে ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ সেটি আমরা মনে রাখি না। বন্ধুরা, আপনারা কখনোই কাউকে গালি দেবেন না। মুসলিমদের গালি দিলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

চলবে................................................
9
Health / ফ্যাশনের সীমারেখা
« Last post by ashraful.diss on September 24, 2024, 01:27:03 AM »

ফ্যাশনের সীমারেখা

সাজ-সজ্জা সম্পর্কে তিনটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে.....।

(১) যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এসকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবেনা।

হাদীসে সুস্পষ্ট আছে: অর্থাৎ: আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই।

(২) যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য।

এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল: "আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার জন্য নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে।"

অপর এক হাদীসে এসেছে: যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে লাল পাহাড়ের পাথর কালো পাহাড়ে এবং কালো পাহাড়ের পাথর লাল পাহাড়ে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় তাহলে তার তাই করা উচিত।"

সাজ-সজ্জা না করলে স্ত্রীকে শাসন করা

স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও যদি স্ত্রী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জা গ্রহণ না করে তাহলে স্বামী শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারে স্ত্রীকে শাসন করতে পারে। এ বিষয়ে হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) লিখেন: "স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অন্যতম কর্তব্য হলো স্ত্রী নিজেকে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ও উসকো-খুশকো অবস্থায় রাখবেনা। বরং সেজে-গোজে পরিপাটি হয়ে থাকবে। এমনকি স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও স্ত্রী যদি সেজে-গোজে না থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকার রাখে।"

সাজ-সজ্জায় নেকী

(৩) মহিলারা শরীয়তের পরীসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোন মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে সওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।

চলবে......................................................
10
Know The World / হাদীস নং ২৮
« Last post by ashraful.diss on September 23, 2024, 02:53:48 AM »
হাদীস নং ২৮

কিছু মানুষ সবসময় অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়। নবিজি এটা করতে নিষেধ করেছেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا

অর্থঃ তোমরা ছিদ্রান্বেষণ কোরো না ও পরস্পরের দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। (বুখারী,৬০৬৪; মুসলিম,২৫৬৩)

মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সবার দোষ-গুণ রয়েছে। ভুল মানুষই করে। ফেরেশতা কখনও ভুল করে না। তাই অন্যের দোষ খোঁজা ও প্রচার করা মুমিনের উচিত নয়। যে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে- মহান আল্লাহও তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখেন। সুতরাং তোমরা কখনো কারও দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না। মুসলিম বন্ধুদের বিরুদ্ধে কখনো গোয়েন্দাগিরি করবে না। বুঝেছ, বন্ধুরা?

চলবে...................................................
Pages: [1] 2 3 ... 10