Author Topic: রাগান্বিত অবস্থায় শিশু পেটানো অনুচীত  (Read 3034 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 386
  • জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না
    • View Profile
    • Email

রাগান্বিত অবস্থায় শিশু পেটানো একদম অনুচিত


রাগান্বিত অবস্থায় কখনও শিশুকে প্রহার করবেন না। পিতা ও উস্তাদ উভয়ের জন্যই এই কথা।

রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তা-ভাবনা করে শাস্তি দেবেন। ছাত্রদের জন্য উত্তম শাস্তি হল ছুটি মওকুফ করে দেওয়া।শিশুর উপর এর খুব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।

শিক্ষক ছাত্র প্রহারে এজন্য বেপরওয়া হয়ে যান যে, তাকে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না। শিশুর তো প্রশ্ন করার যোগ্যতাই নেই আর অভিভাবক শিক্ষককে পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন এই বলে যে, ‘হাড্ডি আমাদের, আর চামড়া মিয়াজীর’!

মনে রাখবেন! যার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না তার সম্পর্কে প্রশ্নকারী স্বয়ং আল্লাহ।

শিশুদেরকে প্রহার করা খুবই ভয়াবহ। অন্যান্য গুনাহ তো তওবার মাধ্যমে মাফ হতে পারে, কিন্তু শিশুদের উপর জুলুম করা হলে এর ক্ষমা পাওয়া খুবই জটিল। কেননা, এটা হচ্ছে বান্দার হক। আর বান্দার হক শুধু তওবার দ্বারা মাফ হয় না, যে পর্যন্ত না যার হক নষ্ট করা হয়েছে সে মাফ করে। এদিকে যার উপর জুলুম করা হয়েছে সে হচ্ছে নাবালেগ। নাবালেগের ক্ষমা শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।

এমনকি শিশু যদি মুখে বলেও যে, আমি মাফ করলাম তবুও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য এই অপরাধের মাফ পাওয়া খুব জটিল। আর তাই শিশুদেরকে প্রহার করা এবং তাদের সঙ্গে মন্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত। স্কুল মাদরাসার শিক্ষক সাহেবরা এ অন্যায় করে ফেলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের রক্ষা করুন। আমীন!

এটা ঠিক যে, শিশুদেরকে পড়ানো খুবই কঠিন কাজ। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয় এবং কখনও কখনও প্রহারের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েই যায়। তো এমন পরিস্থিতিতে অন্য কোনো চিকিৎসা ফলপ্রসূ না হলে এ ক্ষেত্রেও রাগান্বিত অবস্থায় মারবে না। এ সময় চুপ থাকেন। যখন ক্রোধ দূর হয়ে যাবে তখন ভেবে চিন্তে শাস্তি দিবেন। এতে শাস্তির মাত্রা ঠিক থাকবে। যে পরিমাণ প্রয়োজন সে পরিমাণ শাস্তিই দেওয়া হবে। সীমালঙ্ঘন হবে না।

কিন্তু যদি রাগান্বিত অবস্থায় মারতে আরম্ভ করেন তাহলে এক থাপ্পড়ের জায়গায় দশ থাপ্পড় দিয়ে ফেলবেন। এর কারণে একে তো গুনাহ হল। কেননা, প্রয়োজনের অধিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত এতে শিশুর ক্ষতি হবে। কেননা সকল বিষয়ই মাত্রা অতিক্রম করলে ক্ষতিকর হয়ে যায়। তৃতীয়ত এর জন্য পরে অনুতাপ করতে হবে। এজন্য ক্রোধের অবস্থায় শাস্তি দিবেন না। ক্রোধ ঠান্ডা হওয়ার পর শাস্তি দিবে।

আল্লাহ আমাদের দরদী শিক্ষক হওয়ার তাওফীক দান করুন আমীন!

« Last Edit: March 06, 2022, 03:39:24 AM by ashraful.diss »
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।