• Welcome to Daffodil Foundation Forum.
 

News:

Daffodil Foundation is a non-profit organization in Bangladesh that aims to improve the quality of life for current and future generations.

Main Menu

অজুহাত নয়, সচেতন হোন

Started by ashraful.diss, November 13, 2023, 07:36:01 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss


অজুহাত নয়, সচেতন হোন

আমাদের জযবা ও মেহনত অনুপাতেই আল্লাহ তা'আলা আমাদের সাহায্য করবেন। দুনিয়াতে আমাদের আগমন নেক কাজ করার জন্য। সুতরাং নেক কাজ করাই স্বভাবে পরিণত করতে হবে। এই শ্রমবাজারে বিভিন্ন অজুহাতে শ্রম থেকে বিরত থাকলে পারিশ্রমিক পকেটে আসবে না। দেখুন, একজন শ্রমিক কিন্তু জ্বর, সর্দি ও কাশির অজুহাত দিয়ে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে না। কারণ তার জানা আছে, শ্রম দিলেই কিছু আসবে, নয়তো রিক্তহস্তে কালাতিপাত করতে হবে। ফলে সে কাজের ব্যাপারে সচেতন থাকে। খুঁড়া কোনো অজুহাত খুঁজে না, অবহেলাও করে না। মনে রাখবেন, অজুহাত দুনিয়ার বেলায় চলতে পারে, আখেরাতের বেলায় নয়।

ইরশাদ হচ্ছে-

وَ اَنۡ لَّیۡسَ لِلۡاِنۡسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی

যা করেছ, তাই পাবে। গন্তব্যে গেলে তাই উসুল হবে। (আন নাজম ৩৯)

পাপমুক্ত থাকা সহজ :

আমরা মনে করি, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন কাজ। অথচ এটা অনেক সহজ। আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে কোনো কঠিন বিধান দান করেননি। যা তার সামর্থ্যরে মধ্যে, তা-ই দান করেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-

لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا

আল্লাহ সামর্থ্যরে বাইরে কাউকে বাধ্য করেন না। (বাকারা ২৮৬)

চেষ্টা বান্দার :

যখন অন্তরে আল্লাহর ভয় জমে যাবে তখনই গুনাহ থেকে বাঁচার পথ সুগম হবে। বান্দা হিসেবে চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। তবেই আল্লাহ বাঁচাবেন।চেষ্টা করে দেখুন আল্লাহ এমনভাবে বাঁচাবেন, যা কল্পনাও করতে পারবেন না। গুনাহ থেকে বাঁচার সত্যিকারের ইচ্ছা থাকলে আল্লাহ উপকরণ তৈরি করে দেবেন। আল্লাহ বান্দাকে মাহরুম করতে পারেন না। তিনি তো অতিশয় দয়ালু। মেহনতের পথ ও পন্থা ভুল হলে ভিন্ন কথা।

আয় অনুপাতে ব্যয় :

অনেকে বলেন, চাকরি করি পরিবার চলে না। কিন্তু কেন? আয় অনুপাতে ব্যয় করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। মনে রাখবেন, দুনিয়া কামানোর জায়গা, খাওয়ার জায়গা নয়। হারাম ছেড়ে হালাল অবলম্বন করুন। হারাম পোলাও-বিরিয়ানি ছেড়ে হালাল জাউ খান। হারাম কোরমা ছেড়ে হালাল ডাল খান দেখবেন খুব চলবে। আবার শান্তিও পাবেন। এটাও না পারলে রোযা রাখেন। তবুও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন, হারাম খাব না, গুনাহ আমাকে ছাড়তেই হবে। শুরুতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেও পারেন। কিন্তু অতি শীঘ্রই কেটে যাবে। এমনভাবে রিযিকের দুয়ার খুলে যাবে, যা কল্পনাতীত।

ইরশাদ করেন-

وَمَنْ يَتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য সব কিছু সহজ করে দেন।

টুকটাক সমস্যা আসতে পারে তবে পেরেশান হতে নেই। বরং আফিয়াতের দু'আ করুন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। ইরশাদ করেন-

فَاِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا ۙ اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا

"নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে, নিশ্চয়, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।"

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন-

أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ

দুনিয়াতে সর্বাধিক পরীক্ষার সম্মূখীন হল নবীগণ এরপর যারা তাঁদের যত বেশি অনুসরণকারী। (মুসনাদে বাযযার- হা.১১৫০)

দুনিয়া সমস্যার জায়গা :

গুনাহ থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু ঝড়ঝাপটা ও সমস্যা আসতে পারে। তবুও হিম্মত হারানো যাবে না। কারণ সমস্যাপূর্ণ জায়গার নামই হলো দুনিয়া। শেষ কথা হলো, অন্তর ও স্বভাব অপবিত্র হলে গুনাহের সুযোগ ও স্থান তালাশ করে। আর পবিত্র হলে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। অতএব, আসুন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি যতই ক্ষতি বা কষ্ট হোক না কেন, অবশ্যই গুনাহ থেকে বিরত থাকব। আল্লাহ তা'আলা আমাদের এবং আপনাদেরকে সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।