• Welcome to Daffodil Foundation Forum.
 

ফ্যাশনের সীমারেখা

Started by ashraful.diss, September 24, 2024, 07:27:03 AM

Previous topic - Next topic

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss


ফ্যাশনের সীমারেখা

সাজ-সজ্জা সম্পর্কে তিনটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে.....।

(১) যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এসকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবেনা।

হাদীসে সুস্পষ্ট আছে: অর্থাৎ: আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই।

(২) যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য।

এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল: "আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার জন্য নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে।"

অপর এক হাদীসে এসেছে: যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে লাল পাহাড়ের পাথর কালো পাহাড়ে এবং কালো পাহাড়ের পাথর লাল পাহাড়ে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় তাহলে তার তাই করা উচিত।"

সাজ-সজ্জা না করলে স্ত্রীকে শাসন করা

স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও যদি স্ত্রী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জা গ্রহণ না করে তাহলে স্বামী শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারে স্ত্রীকে শাসন করতে পারে। এ বিষয়ে হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) লিখেন: "স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অন্যতম কর্তব্য হলো স্ত্রী নিজেকে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ও উসকো-খুশকো অবস্থায় রাখবেনা। বরং সেজে-গোজে পরিপাটি হয়ে থাকবে। এমনকি স্বামীর নির্দেশ স্বত্ত্বেও স্ত্রী যদি সেজে-গোজে না থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকার রাখে।"

সাজ-সজ্জায় নেকী

(৩) মহিলারা শরীয়তের পরীসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোন মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে সওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।

অহংকারী সাজ-সজ্জা

অহংকার ভাব প্রকাশ অথবা নামোহরাম পুরুষ বা অন্য মহিলাদের দেখানো এবং তাদের সাথে গর্ববোধ করার উদ্দেশ্যে পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা এবং সাজ-গোজ গ্রহণ করা নাজায়েয, এ জন্য গোনাহগার হতে হবে।

অধিক সাজ-গোজ নিন্দনীয়

মনে রাখবেন অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা ও রূপচর্চা শরীয়ত পছন্দ করেনা। মহিলারা সাজ-গোজ করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এটাকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে রুটিন বানিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজকে সাজানোর চিন্তায় মগ্ন থাকা, সর্বক্ষণ মন-মানসিকতাকে এ কাজে ব্যস্ত রাখা এটা আদর্শ মুসলিম মহিলাদের স্বভাব বিরোধী। যারা উত্তম আদর্শে ও সুন্দর চরিত্রে সজ্জিত হতে চায় তাদের আবার কৃত্রিম ও অপ্রয়োজনীয় সাজ-গোজের পিছনে সময় নষ্ট করার অবকাশ কোথায় (বেহেস্তী জেওর- ৩৩৮ পৃঃ)

এই তিনটি মৌলিক নীতিমালা বদ্ধমূল করার পর প্রচলিত ফ্যাশনের জায়েয-নাজায়েয পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে।


চলবে......................................................
জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।