Author Topic: "জীবিকা" চাঁদপুর: দেশ ও জাতির সেবায় নিবেদù  (Read 77 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

ashraful.diss

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 431
  • জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না
    • View Profile
    • Email
"জীবিকা" চাঁদপুর: দেশ ও জাতির সেবায় নিবেদিত এক আলোকবর্তিকা

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন পরিচালিত “জীবিকা” চাঁদপুর প্রকল্পটি কেবল চাঁদপুর জেলার গুটিকয়েক মানুষের জীবন পরিবর্তনের লক্ষ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর একটি সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য রয়েছে – দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখা। একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে এই প্রকল্পের প্রতিটি পদক্ষেপ নিবেদিত।

“জীবিকা” চাঁদপুর বিশ্বাস করে যে একটি দেশের প্রকৃত উন্নতি নিহিত থাকে তার জনগণের সক্ষমতায়। যখন একটি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ পিছিয়ে থাকে, তখন সামগ্রিকভাবে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। এই উপলব্ধি থেকেই প্রকল্পটি এমন কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

*দারিদ্র্য বিমোচন ও জাতীয় অর্থনীতি:*

“জীবিকা”র মাধ্যমে যখন একটি দরিদ্র পরিবার স্বাবলম্বী হয়, তখন কেবল তাদের ব্যক্তিগত অবস্থারই উন্নতি হয় না, জাতীয় অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তারা আর রাষ্ট্রের বোঝা থাকে না, বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বা তাদের অর্জিত দক্ষতা জাতীয় উৎপাদনে যোগ হয়। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারও চাঙ্গা হয়।

*দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি:*

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে “জীবিকা” বেকার যুবক ও নারীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই দক্ষ কর্মীরা কেবল নিজেদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগই পায় না, বিভিন্ন শিল্প ও সেবা খাতে তাদের অবদান জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা সমৃদ্ধ একটি জাতি দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।

*সুস্থ ও শিক্ষিত জাতি গঠন:*

“জীবিকা”র স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা সহায়তামূলক কার্যক্রম একটি সুস্থ ও শিক্ষিত জাতি গঠনে সহায়ক। যখন একটি জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শিক্ষার আলো তাদের মধ্যে জ্ঞানের উন্মোচন ঘটায়, তখন তারা আরও উৎপাদনশীল এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। একটি সুস্থ ও শিক্ষিত জাতি দেশের সম্পদ, যা জাতীয় অগ্রগতিকে তরান্বিত করে।

*সামাজিক স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন:*

দারিদ্র্য ও বৈষম্য সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। “জীবিকা”র মতো প্রকল্প যখন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতের সাথে যুক্ত করে, তখন সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনেও এই প্রকল্প পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।

*অনুপ্রেরণা ও অনুকরণ:*

“জীবিকা” চাঁদপুর প্রকল্পের সাফল্য অন্যান্য অঞ্চলে একই ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করতে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে। একটি সফল মডেল অন্যদের উৎসাহিত করে এবং জাতীয় পর্যায়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।

পরিশেষে বলা যায়, “জীবিকা” চাঁদপুর কেবল একটি স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প নয়, এটি দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে নিবেদিত একটি উদ্যোগ। দারিদ্র্য বিমোচন, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি, সুস্থ ও শিক্ষিত জাতি গঠন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রকল্পটি জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আসুন, আমরা সকলে এই মহৎ প্রচেষ্টার গুরুত্ব উপলব্ধি করি এবং এর সাফল্যের জন্য সহযোগিতা করি, যাতে “জীবিকা”র আলো ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে এবং একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়ক হয়।

জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের (নারী ও পুরুষ) উপর ফরজ । জ্ঞানের শহর হলেন হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আর সেই শহরের দরজা হলেন হজরত আলী (রাঃ) । জ্ঞান ব্যতীত কর্ম অর্থহীন আবার কর্ম ব্যতীত জ্ঞান অর্থহীন। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না, ইবাদত কর তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করোনা ।