Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - ashraful.diss

Pages: [1] 2 3 ... 19
1
🌍 এনজিও: সমাজের নীরব বিপ্লবীরা

🌍 এনজিও: সমাজের নীরব বিপ্লবীরা

একটি গ্রামে যখন শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না,
একটি শহরে যখন পথশিশু ক্ষুধার্ত ঘুমায়,
একটি পরিবার যখন চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারে না —
ঠিক তখনই একটি এনজিও এগিয়ে আসে

🏡 NGO মানে শুধু একটি সংস্থা নয়, NGO মানে একটি আশ্রয়

NGO (Non-Governmental Organization) কোনো সরকারি সংস্থা নয়, কিন্তু এই সংগঠনগুলো এমন সব কাজ করে যা অনেক সময় রাষ্ট্রও করতে পারে না।
তারা:
১। পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ায়
২। শিশুদের দেয় শিক্ষার আলো
৩। নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে
৪। দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে
৫। মানবিক দুর্যোগে সবার আগে পৌঁছে যায়

🌱 DISS: একটি উদাহরণ

DISS (Daffodil Institute of Social Sciences) একটি মানবিক NGO হিসেবে
বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে চলেছে প্রতিদিন।
এখানে শিশুদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়:

১। নিরাপদ আবাসন
২। প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় শিক্ষা
৩। পুষ্টিকর খাবার
৪। স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তা
৫। ভালোবাসা, শৃঙ্খলা ও আত্মসম্মান

DISS শিশুদের শুধু সাহায্যই করে না, তাদের ভবিষ্যতের নেতৃত্বে প্রস্তুত করে

🫶 NGO মানেই হৃদয়ের কাজ

যেখানে লাভ নয়, সেখানে দায়বদ্ধতা।
যেখানে বেতন নয়, সেখানে ভালোবাসা।
যেখানে নাম নয়, সেখানে নিবেদন।

NGO-র প্রতিটি সদস্য, প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক, প্রতিটি দাতা —
তাঁরা সমাজকে একটু ভালো করতে নিজেরটা উজাড় করে দেন।

📢 আসুন, NGO-র হাত শক্ত করি

🔹 যদি আপনি দান করতে পারেন — করুন
🔹 যদি আপনি সময় দিতে পারেন — দিন
🔹 যদি আপনি শুধু শেয়ার করতে পারেন — তাও অনেক বড় কাজ

কারণ, NGO একা কিছু নয় — এটা আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি

📍 #SupportNGOs #SupportDISS #HumanityFirst #NonProfitWorks #HopeInAction


2
দাতাগণ মানবতার আলোয় যাঁরা পথ দেখান

🤝 দাতাগণ: মানবতার আলোয় যাঁরা পথ দেখান

প্রতিটি পরিবর্তনের পেছনে থাকে কিছু নিঃস্বার্থ মানুষ—যাঁরা নিঃশব্দে কাজ করেন, অবিরত দেন, কিন্তু কিছুই চান না বিনিময়ে। তাঁরা হলেন আমাদের দাতাগণ (Donors) — মানবতার একেকজন নিরব নায়ক।

🌱 তাঁদের দান শুধু অর্থ নয়

একজন দাতা যখন একটি শিশুর পড়ালেখার দায়িত্ব নেন, সেটা শুধু একটি বই বা ইউনিফর্ম নয় —
⏳ সেটা একটুখানি সময়, 🧠 একটুখানি জ্ঞান, ❤️ একটুখানি ভালোবাসা,
আর একটি সম্পূর্ণ ভবিষ্যতের বীজ।

🏡 DISS ও দাতাগণের ভূমিকা

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) আজ যেখানে দাঁড়িয়ে, তার প্রতিটি ইট-পাথরের পেছনে দাতাগণের অবদান রয়েছে:

কেউ দিয়েছেন পোষাক, কেউ দিয়েছেন খাবার
কেউ বানিয়েছেন একটি ঘর, কেউ নিয়েছেন একটি শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব
কেউ পাঠিয়েছেন একমাসের খরচ, কেউ দিয়েছেন একটি হাসির কারণ

🔆 দানকারীরা যা দেন, তা কখনো ছোট নয়

🔹 ১০০ টাকার সাদকা বা
🔹 ১০০০ টাকার যাকাত কিংবা
🔹 এককালীন এক লক্ষ টাকার অনুদান —
সবই একটি ভবিষ্যত তৈরির প্রক্রিয়া

🌍 দাতারা শুধু অর্থ দেন না, তাঁরা স্বপ্ন দেন

তাঁদের দানে:

একজন শিশু স্কুলে যায়
একজন কিশোর অপরাধ থেকে বাঁচে
একজন তরুণ নিজের পায়ে দাঁড়ায়
একজন মানুষ নিজের মানবিকতা আবিষ্কার করে

🫶 আমরা কৃতজ্ঞ

DISS-এর প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষক, প্রতিটি সেবাকর্মী কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সম্মানিত দাতাগণ
আপনারা আছেন বলেই আমরা বলার সাহস পাই —
👉 “আমরা কারো জন্য কিছু করতে পারি।”

📢 আসুন, আরো অনেকে এই আলোয় সামিল হই
আপনি, আপনার বন্ধু, আপনার প্রতিষ্ঠানের CSR —
সবাই হতে পারেন মানবতার এই যাত্রার অংশীদার।

🔗 যোগাযোগ:

📞 ০১৮১১৪৫৮৮৭০ / ০১৮৪৭১৪০১৮৬ / ০১৮৪৭৩৩৪৯৪৭

📍 #ThankYouDonors #SupportDISS #GiveHope #DaffodilFoundation #HumanityFirst


3
🟢
জাতীয়তা: গর্ব, দায়িত্ব ও আত্মপরিচয়ের শক্তি

জাতীয়তা শুধু একটি পরিচয় নয় — এটি একটি গর্বের অনুভব, একটি দায়িত্বের আহ্বান, এবং একটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। আমরা যে মাটি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের উত্তরসূরি, সেই উত্তরাধিকারকে সম্মান করাই হল প্রকৃত জাতীয়তাবোধ।

🏞️ জাতীয়তা কী?

জাতীয়তা মানে:

একটি দেশের জন্য ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা,
দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ,
দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যকে সযত্নে রক্ষা করা,
এবং দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয়তা:

বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধ গড়ে উঠেছে ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে — ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আমাদের আত্মপরিচয়কে দৃঢ় করেছে। এই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে জাগাতে হবে গর্ব, চেতনা ও করণীয়।

💡 জাতীয়তাবোধ কেন জরুরি?

🔹 সমাজে ঐক্য ও সৌহার্দ্য গড়ে তোলে
🔹 দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্য শেখায়
🔹 যুবসমাজকে দেশগড়ার কাজে উৎসাহিত করে
🔹 বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজ জাতির অবস্থানকে শক্ত করে

🧒 DISS ও জাতীয়তাবোধ:

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) জাতীয়তার প্রকৃত শিক্ষা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে:

জাতীয় দিবস উদযাপন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিক্ষা
পতাকা, জাতীয় সংগীত, ইতিহাস ও সংস্কৃতির চর্চা
সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও নেতৃত্বের অনুশীলন

DISS শিশুদের শেখাচ্ছে— "জাতীয়তা মানে শুধু জন্মভূমি নয়, এটা হলো দায়িত্বের ডাক, আর কর্মের বন্ধন।"

🤝 আমাদের দায়িত্ব:

জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলা যায় ঘরে, স্কুলে, সমাজে — শিশুদের মাঝে।
আসুন, সবাই মিলে একটি সচেতন, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরি করি।
তাহলেই আমরা জাতি হিসেবে সত্যিকার অর্থে উন্নত হব।

📌 #জাতীয়তা #দেশপ্রেম #বাংলাদেশ #DISS #ChildLeadership #DaffodilFoundation #আমার_দেশ_আমার_গর্ব


4
International / DISS A Local Initiative with a Global Vision
« on: Today at 12:09:01 AM »
🌍 DISS: A Local Initiative with a Global Vision

In a world where millions of children are still deprived of basic rights, Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) emerges as a powerful model of compassion, care, and community-driven development from Bangladesh.

Though rooted in the heart of Bangladesh, DISS represents a global value —
🌱 Every child deserves love, dignity, and opportunity.

🧒 What DISS Offers (Free of Cost):

✅ Safe residential shelter
✅ Institutional and moral education
✅ Nutritious food and healthcare
✅ Clothing and emotional care
✅ A structured and secure environment
✅ A sense of belonging — a true family

🌐 Why DISS Matters Internationally:

🔹 It reflects SDG Goals (Sustainable Development Goals), especially:

1. SDG 1: No Poverty
2. SDG 3: Good Health and Well-being
3. SDG 4: Quality Education
4. SDG 10: Reduced Inequalities

🔹 It promotes global citizenship through values of empathy, equality, and empowerment.
🔹 It invites individuals, donors, and organizations from around the world to be part of sustainable social transformation.

🤝 Be a Global Partner

Your small contribution, partnership, or technical support can make a lasting difference. Together, we can replicate this model across borders and cultures.

📢 Let’s make Bangladesh an example of how a nation cares for its future — its children.

📩 For international collaboration, support or funding:

📍 Contact:
Mr. Md. Ashraful Islam
📞 +8801847334947
📧 diss@daffodil.foundation

Let us create a world where no child is left behind.

🔗 #DISSGlobal #ChildRights #SocialInnovation #BangladeshToTheWorld #SDG #DaffodilFoundation #SupportHope


5
🤝 চলুন, আমরা একসাথে বদলে দিই ভবিষ্যৎকে!

🟢 আমি অংশীদারিত্বে বিশ্বাস করি — কারণ একা নয়, একসাথে বদল আনা যায়।
Daffodil Institute of Social Sciences (DISS Child Home) শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়,
এটি একটি স্বপ্ন — সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্নেহ, শিক্ষা ও সম্মানের জীবনের স্বপ্ন।

তাদের জন্য দরকার:

🔹 নিরবিচারে সহানুভূতি
🔹 দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
🔹 সামাজিক বিনিয়োগ
🔹 নৈতিক ও মানবিক অংশীদার

🌟 আমি অংশীদার হতে চাই — আপনি কি আমার সাথে আছেন?
আমরা একসাথে কাজ করতে পারি:

✅ শিক্ষায় সহায়তা
✅ খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা
✅ প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান
✅ শিশুদের জীবন মানোন্নয়ন
✅ ফান্ডিং বা রিসোর্স শেয়ারিং
✅ মিডিয়া, আইটি, আইন বা মেন্টরিং সহযোগিতা

💬 অংশীদার হতে চাই কারণ...

🔸 আমি বিশ্বাস করি — সবারই মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের অধিকার আছে।
🔸 আমি চাই আমার শ্রম, অর্থ, সময়, বা দক্ষতা কারো মুখে হাসি ফেরাক।
🔸 আমি চাই DISS-এর মতো মহৎ উদ্যোগগুলো আরও এগিয়ে যাক।

📩 আপনি যদি চান আমাদের সাথে যুক্ত হতে — যোগাযোগ করুন:

📍 জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম
📞 ০১৮৪৭৩৩৪৯৪৭
📧 ashraful.diss@daffodilvarsity.edu.bd

🌍 "Partnering for Change — Because a better world is built together."
🟡 #DISS #PartnershipForChange #SupportChildren #HopeBeginsHere #SocialImpact #JoinUs

6
নগর বাংলাদেশ — গতি, সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের এক চিত্র

🏙️ নগর বাংলাদেশ — গতি, সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের এক চিত্র

নগর মানেই গতি।
নগর মানেই সম্ভাবনার বিস্তার।
আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে নগর এলাকা গুলোই এখন হয়ে উঠছে দেশের অর্থনৈতিক ইঞ্জিন।

বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ শহরভিত্তিক এলাকায় বসবাস করছে এবং প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যাটি। এর পেছনে রয়েছে শিক্ষার সুযোগ, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক নাগরিক সুবিধা।

🌟 নগর জীবনের বৈশিষ্ট্য:

🔹 উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা
🔹 শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিস্তৃত সুযোগ
🔹 আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা
🔹 সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
🔹 দ্রুত তথ্যপ্রবাহ ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটি

🏗️ নগর উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা:

নগর এলাকা শুধুমাত্র বসবাসের জায়গা নয় — এটি এখন উন্নয়নের হাব। তাই দরকার—

✅ পরিকল্পিত নগরায়ন
✅ বস্তি উন্নয়ন ও আবাসন সুবিধা
✅ নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা
✅ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন
✅ পরিবেশবান্ধব নগর গঠন (Green City)

💡 নগর যেন কেবল ধনিকের নয় — সবার জন্য হয়:

নগর উন্নয়ন তখনই সফল হবে, যখন সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য থাকবে—

🔸 আবাসন
🔸 শিক্ষা
🔸 স্বাস্থ্য
🔸 নিরাপত্তা
🔸 কর্মসংস্থান

যেমন DISS (Daffodil Institute of Social Sciences) নগরের মধ্যেও তৈরি করেছে এমন একটি আবাসন ও যত্নভিত্তিক পরিবারিক পরিবেশ যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পাচ্ছে সব রকম সহায়তা — সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এটি একটি মডেল হতে পারে অন্যান্য নগর উদ্যোগের জন্য।

🌇 নগর আমাদের ভবিষ্যত — তবে হোক মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক:

নগর যেন হয় শুধু ইট-পাথরের জঞ্জাল নয়, বরং মানুষের বসবাসের জন্য এক নিরাপদ, সুন্দর ও সুবিন্যস্ত জীবনভূমি।


7
গ্রামীণ বাংলাদেশ — সম্ভাবনার অপর নাম

🌾 গ্রামীণ বাংলাদেশ — সম্ভাবনার অপর নাম

গ্রামই বাংলাদেশের প্রাণ। এখানেই লুকিয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যতের অগাধ সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ এখনও গ্রামে বসবাস করে, যাদের জীবনযাত্রা, আচার-আচরণ ও উৎপাদন কাঠামো দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

🛖 গ্রামীণ জীবনের বৈশিষ্ট্য:

🔹 প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পরিবেশ
🔹 কৃষিনির্ভর জীবনযাত্রা
🔹 পারস্পরিক সহানুভূতি ও সামাজিক বন্ধন
🔹 সহজ-সরল জীবনধারা
🔹 আত্মনির্ভরতার চর্চা

🚜 গ্রামীণ উন্নয়নের গুরুত্ব:

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোনো জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দরকার—

✅ কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
✅ দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
✅ সড়ক, বিদ্যুৎ, পানি ও ডিজিটাল সংযোগ
✅ স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষা
✅ ক্ষুদ্রঋণ ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ

📈 গ্রামে বদল আনলেই বদলাবে বাংলাদেশ:

যদি আমরা গ্রামের মানুষের জীবনে উন্নয়ন আনতে পারি—

🔸 তারা শহরমুখী না হয়ে নিজ গ্রামে টিকে থাকবে
🔸 কর্মসংস্থান বাড়বে স্থানীয়ভাবে
🔸 নারীরা হবে স্বাবলম্বী
🔸 শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত হবে
🔸 দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমবে

🌱 উদাহরণ হতে পারে DISS-এর মতো প্রকল্প:

যেমন DISS শিশুদের শুধু শহরে নয়, গ্রামীণ এলাকাগুলো থেকেও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খুঁজে বের করে, সঠিক যত্ন, শিক্ষা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে। এই ধরনের গ্রামীণমুখী সামাজিক কার্যক্রম আমাদের ভবিষ্যতের জন্য এক বিশাল আশীর্বাদ।

শেষ কথা:

গ্রাম মানে পিছিয়ে থাকা নয়, গ্রাম মানেই এক ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।
তাই আসুন, গ্রামীণ উন্নয়নে এগিয়ে আসি — পরিবর্তন গড়ি তৃণমূল থেকে।

8
Private / "আলোর পথে ফারহান"
« on: July 17, 2025, 10:50:14 PM »
গল্পের নাম: "আলোর পথে ফারহান"

ফারহান তখন মাত্র ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে। বাবাকে কখনো সে চোখে দেখেনি। মা দিনমজুরের কাজ করে কোনোমতে দুবেলা খাবার জোগাড় করতেন। কখনো ভাত, কখনো শুধু লবণ-ভাতে দিন কাটত। স্কুলের কথা ভাবার সময় বা সুযোগ কোনোদিন আসে না ওর জীবনে। ঢাকার এক বস্তিতে গলির মধ্যে অন্য বাচ্চাদের স্কুল ড্রেস পরে যেতে দেখে ফারহান মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়াত, কিন্তু পরে আবার ফিরে যেত একটা ছেঁড়া বল বা পুরনো টিনে বানানো গাড়ির দিকে।

একদিন বৃষ্টির পরে ফারহান রাস্তায় খেলা করছিল। হঠাৎ একদল মানুষ এল ওদের এলাকায়। তারা কথা বলল স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে, কিছু শিশুর সঙ্গে খেলাও করল। এক মহিলা এসে ফারহানের মায়ের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁর চোখে ছিল মমতা, মুখে ছিল আশ্বাস—"আপনার ছেলে যদি চান, আমরা তাকে নিয়ে যাব এক আশ্রয়স্থলে। ওখানে থাকবে, খাবে, পড়বে, খেলবে, বড় হবে।"

ফারহান কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। তার মা অশ্রুভেজা চোখে ছেলের মাথায় হাত রেখে বললেন, "তুই আলোর পথ খুঁজে নিবি বাবা…"

এভাবেই ফারহানের যাত্রা শুরু হয় ডিআইএসএস—Daffodil Institute of Social Sciences-এর সাথে।
সেখানকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিয়মিত পড়ালেখা, নামাজ, খেলাধুলা আর বন্ধুত্বপূর্ণ কেয়ারগিভারদের ভালোবাসায় ফারহান যেন ধীরে ধীরে নতুন জীবন পায়। প্রথমদিকে খুব কেঁদে ফেলত, মা-মায়ের কথা মনে পড়ত, কিন্তু সহপাঠীদের হাসি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আদর ও গল্পে সে যেন নিজের নতুন পরিবার খুঁজে পেল।

ডিআইএসএস-এ সে শুধু বই পড়েনি, শিখেছে কীভাবে মানুষের মতো মানুষ হতে হয়।

হাত ধোয়া শেখা থেকে শুরু করে, পবিত্রতা, ইসলামিক নৈতিকতা, বাংলা কবিতা, ইংরেজি গল্প, আইটি ক্লাস, সৃজনশীলতা, গার্ডেনিং এমনকি রান্নার কাজেও সে অংশ নিতে শুরু করে।

আর সবচেয়ে আনন্দের কথা? ডিআইএসএস তাকে শুধু সাহায্য করেনি, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছে।

বর্তমানে ফারহান ক্লাস সেভেনে পড়ে, দোয়া করে একদিন ডাক্তার হবে। নিজের মত আরেকজন শিশু যেন অভুক্ত না থাকে, যেন বস্তিতে নয়, তারা বেড়ে ওঠে ভালোবাসার আশ্রয়ে—ডিআইএসএস-এর মতো আশার আলোয়।

শেষ কথা

ডিআইএসএস কোনো সাধারণ প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি জীবনের গল্প গড়ার কারখানা।
যেখানে পথহারা শিশুদের থেকে তৈরি হয় পথ দেখানো মানুষ।
আর এমন একটি ফারহান—তোমার, আমার, আমাদের মধ্যেই হয়তো জন্ম নিচ্ছে।

9
🌟 একটি শিশুর মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে আপনি কি প্রস্তুত?

আসুন, সবাই মিলে এগিয়ে আসি — DISS-এর জন্য ফান্ডিং করি!

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS Child Home) একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়—

✅ নিরাপদ আবাসন
✅ পুষ্টিকর খাবার
✅ প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় শিক্ষা
✅ স্বাস্থ্যসেবা
✅ পোশাক
✅ স্নেহ, সহানুভূতি ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন

তারা পায় না শুধু একটা জায়গা — তারা পায় একটা “পরিবার”।

🎯 কেন ফান্ডিং করবেন DISS-এর জন্য?

🔹 একটি শিশুর জীবন বদলে যেতে পারে আপনার ছোট্ট সহায়তায়।
🔹 সমাজ বদলাতে হলে আমাদের শুরু করতে হবে দুর্বলদের হাত ধরে।
🔹 সাদকা, যাকাত ও দান শুধু পরকালের জন্য নয় — এই দুনিয়াকেও বদলায়।

🫶 আপনার ৫০০ টাকা বা ৫০০০ টাকাই হতে পারে কারো স্কুলব্যাগ, নতুন জামা, বা একটি বালিশ। একটি শিশুর চোখে ফিরে আসতে পারে আশা, সাহস আর স্বপ্ন।
📢 এটা শুধু ফান্ড নয়, এটা একটি ‘ভবিষ্যত বিনিয়োগ’— এমন ভবিষ্যত যেখানে সবাই মানুষ হিসেবে বড় হয়।
🤝 চলুন, সবাই মিলে DISS-এর পাশে দাঁড়াই— যেমন করে দাঁড়ায় একটি পরিবার, একটি জাতি।

🔗 ফান্ডিং করার যোগাযোগ:

১। জনাব জাহাংগীর হোসাইন — ০১৮১১৪৫৮৮৭০
২। জনাবা ফারহানা হক — ০১৮৪৭১৪০১৮৬
৩। জনাব আশরাফুল ইসলাম — ০১৮৪৭৩৩৪৯৪৭

📍 #SupportDISS #DonateForChildren #HopeBeginsHere #Bangladesh #DaffodilFoundation

10
🏛️ সরকারি নীতিমালার আলোকে ডিআইএসএস (DISS) – একটি সহমর্মিতাপূর্ণ প্রয়াস

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পর্যায়ে শিশু সুরক্ষা, মৌলিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেমন:

১। জাতীয় শিশু নীতি ২০১১
২। সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র ২০১৫
৩। SDG লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ (বিশেষত Goal 1, 3, 4, 10, 16)

এসব নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই DISS (Daffodil Institute of Social Sciences) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, মানবিক এবং পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

🎯 DISS কীভাবে সরকারি নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করছে?

🔹 শিশু অধিকার ও সুরক্ষা:
DISS শিশুদের বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাতীয় শিশু নীতির মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।

🔹 সামাজিক সুরক্ষা:
DISS সুবিধাবঞ্চিত, এতিম, বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা শিশুদের জন্য নিরাপদ পুনর্বাসনের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোকে সহায়তা করছে।

🔹 SDG বাস্তবায়ন:
DISS এর কার্যক্রম SDG লক্ষ্য ৪ (গুণগত শিক্ষা), লক্ষ্য ৩ (সুস্বাস্থ্য), লক্ষ্য ১০ (অসমতা হ্রাস), লক্ষ্য ১৬ (শান্তি ও সুবিচার) অর্জনে অবদান রাখছে।

DISS-এর মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা:

পথশিশু, এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য বিকল্প পারিবারিক যত্ন
শিশুদের ঝরে পড়া রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা
স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক যত্ন
সামাজিক সচেতনতা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা

উপসংহার:

DISS শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি নীতিনিষ্ঠ সামাজিক দৃষ্টান্ত। সরকারি নীতিমালার পরিপূরক হিসেবে এই প্রকল্প শিশুদের জন্য গড়ে তুলছে একটি সুরক্ষিত, শিক্ষাবান্ধব ও সম্মানজনক জীবন। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগের এমন সমন্বয়ই পারে একটি সুশৃঙ্খল, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।



11
ডিআইএসএস: একটি স্বপ্নের নাম, একটি মানবিক আশ্রয়স্থল

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS Child Home) — এটি কেবল একটি প্রকল্প নয়, এটি একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের ভিত্তি।

ডিআইএসএস প্রজেক্ট সম্পূর্ণরূপে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পরিচালিত একটি ফুল-ফ্রি রেসিডেনশিয়াল কেয়ার প্রজেক্ট, যেখানে একটি শিশুর জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এখানে শিশুদের যা যা দেওয়া হয়, সব কিছুই বিনামূল্যে:

📚 শিক্ষা ও দীক্ষা — নিয়মিত স্কুলিং, ইসলামিক স্টাডিজ, কুরআন শিক্ষা, মূল্যবোধ গঠন
🏠 নিরাপদ আবাসন — পরিচ্ছন্ন, সুসজ্জিত হাউজিং সুবিধা
👕 জামা-কাপড় ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী — পোষাক, জুতা, ব্যাগ, শিক্ষাসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু
🍚 পুষ্টিকর খাবার — প্রতিদিনের জন্য নির্ধারিত খাবার ব্যবস্থা (সকালে, দুপুরে, রাতে)
🏥 চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা — প্রাথমিক চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা
🎨 মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতা — খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, গজল, ইসলামিক গান ইত্যাদি
💖 ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও যত্ন — অভিভাবকহীন শিশুরাও এখানে পায় পরিবারের মতো ভালোবাসা

ডিআইএসএস-এর মূল বিশ্বাস:

"একটি শিশুকে বাঁচানো মানে একটি ভবিষ্যতকে বাঁচানো"
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু দয়া প্রদর্শন নয়, বরং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুস্থ, শিক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

আমাদের আহ্বান

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনির্মাতা।
ডিআইএসএস সেই পথ তৈরি করে দিচ্ছে, যেখানে প্রতিটি শিশুর আছে সমান অধিকার, সম্মান ও সুযোগ।
আপনার সামান্য সহযোগিতাও হতে পারে কারো জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

ডিআইএসএস—ভালোবাসা, দায়িত্ব ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

#DISS #ChildCare #HopeForTheFuture #SocialChange #FreeEducation #EmpoweringChildren #DaffodilFoundation

12
পরিবর্তনের পথে একটি আশার নাম: আয়বৃদ্ধির জন্য জীবিকা প্রকল্প

চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রান্তিক কোনো গ্রামে যখন দিনের পর দিন একটি পরিবার শুধুই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আটকে থাকে, তখন “স্বপ্ন” শব্দটি তাদের কাছে ধরা দেয় বিলাসিতা হিসেবে। এমন হাজারো পরিবারের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বেলেছে ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের জীবিকা প্রকল্প।

এই প্রকল্প আর্থিক সহায়তার বাইরেও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে একটি বড় কৌশল নিয়ে—আয়বৃদ্ধির টেকসই উপায় গড়ে তোলা। আর এই যাত্রার মূল শক্তি তিনটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে:

🔹 দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ

একজন নারী হয়তো জানতেন কীভাবে কাপড় সেলাই করতে হয়, কিন্তু কখনও আয় করতে পারেননি। প্রকল্পের কারিগরি প্রশিক্ষণে সেই মায়ের হাত এখন ব্যস্ত থাকে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করতে। যুবকেরা শিখেছে মাটি চষা, মাছ চাষ, সেলাই, গবাদিপশু পালন বা ক্ষুদ্র ব্যবসার কৌশল।

🔹 পুঁজি সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা সহায়তা

দরিদ্র পরিবারগুলো কেবল কাজ শিখেই থেমে যায়নি—তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বপ্নের বাস্তব রূপ: ব্যবসা শুরু করার পুঁজি। কেউ পেয়েছে একটি সেলাই মেশিন, কেউ একটি ভ্যান, কেউ ছোট দোকানের মালামাল। শুধু পুঁজি নয়, কিভাবে তা ব্যবস্থাপনা করতে হয়, তাও শেখানো হয়েছে ধাপে ধাপে।

🔹 স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি

প্রকল্পটি এককালীন সহায়তায় থেমে নেই—এর লক্ষ্য একটিই: পরিবার যেন নিজের পায়ে দাঁড়ায়। তাই যারা প্রশিক্ষণ ও পুঁজি পেয়েছেন, তাদেরকে স্থানীয়ভাবে বাজারসংযোগ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, গোষ্ঠীভিত্তিক উৎপাদন ও বিক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। অনেকেই এখন অন্যকেও কাজ দিচ্ছেন—সৃষ্ট হচ্ছে কর্মসংস্থানের চেইন।

আজ সেই পরিবারগুলো—যারা একসময় তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতো—তারা এখন নিজেদের সন্তানদের স্কুলে পাঠায়, ঘরে নতুন চাল আনতে পারে, কিছু সঞ্চয় করতেও শিখেছে।

জীবিকা প্রকল্পের এই মডেল শুধু সহানুভূতির নয়, বরং একটি টেকসই উন্নয়ন দর্শন—যেখানে ‘সহায়তা’ মানে একবার কিছু দেওয়া নয়, বরং মানুষকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তারা আর সাহায্যপ্রার্থী না হয়ে নিজের আলোয় পথ খুঁজে নিতে পারে।

13
ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের জীবিকা প্রকল্প: চাঁদপুরের ২,৫০০ পরিবারকে স্বাবলম্বিতার পথে

২০১৫ সাল থেকে ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় শুরু করে একটি স্বপ্নযাত্রা—জীবিকা প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের অপেক্ষাকৃত দুর্বল, হতদরিদ্র, ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে আর্থিক, সামাজিক ও আত্মিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। এই যাত্রায় ২৫০০ এরও বেশি পরিবারকে চারটি টেকসই প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্গঠিত ও আত্মনির্ভরশীল করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

জীবিকা প্রকল্পের মূল সহযোগিতা ও কার্যক্রম:

১. স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি:

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য টিউবওয়েল বসানো, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন সরবরাহ।
মা ও শিশুর পুষ্টি, প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির আয়োজন।

২. শিশু শিক্ষা ও শিক্ষা সহায়তা:

সুবিধাবঞ্চিত শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
বই, পোশাক, স্কুলব্যাগ এবং উপবৃত্তি প্রদান।
শিশু ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কমিউনিটি সভা।

৩. দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান:

নারী ও যুবদের জন্য সেলাই, কৃষিকাজ, গবাদিপশু পালন, হস্তশিল্প, বুটিক, কারিগরি ট্রেনিং।
প্রশিক্ষণ-পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষুদ্র পুঁজি সহায়তা ও ব্যবসায়িক পরামর্শ।

৪. সুদের বিকল্প: হালাল অর্থব্যবস্থা ও কার্জে হাসানা:

যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবারের মাঝে সুদমুক্ত পুঁজি বিতরণ।
পরিবারগুলোকে আত্মকর্মসংস্থানের পথে সহায়তা দিয়ে ধীরে ধীরে দানগ্রহীতা থেকে দানদাতা হিসেবে গড়ে তোলা।

সাফল্যের চিত্র:

বহু পরিবার এখন নিজেদের আয় দিয়ে জীবন চালাতে সক্ষম।
নারীরা ঘরে বসেই আয় করছেন; শিশুরা স্কুলে ফিরেছে।
সুদের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারগুলো সম্মানজনক জীবনে ফিরে এসেছে।
স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে—পরিবারগুলো এখন সহায়তা চাহিদাকারী নয়, বরং সহায়তাদাতা।

উপসংহার

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের জীবিকা প্রকল্প কেবল একটি সহায়তা কর্মসূচি নয়—এটি একটি মানবিক বিপ্লব। এটি প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা, আন্তরিকতা ও মূল্যভিত্তিক উদ্যোগ থাকলে সমাজের প্রান্তিক মানুষও নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। চাঁদপুরের মাটি থেকে উঠে আসা এই পরিবর্তন হতে পারে সারা দেশের জন্য একটি রোল মডেল।

14
সুদের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথে: একটি নৈতিক ও অর্থনৈতিক জাগরণ

সুদ (riba) — এটি কেবল একটি আর্থিক লেনদেনের পদ্ধতি নয়, বরং সমাজে দারিদ্র্য, বৈষম্য, শোষণ এবং নৈতিক অবক্ষয়ের একটি প্রধান উৎস। ইসলাম ধর্মে সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং কুরআন-হাদীসে এটি একটি ভয়াবহ সামাজিক অভিশাপ হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমান সময়েও সুদের বেড়াজালে পড়ে বহু মানুষ চরম দুর্দশায় পড়ছে—ব্যক্তিগত ঋণগ্রস্ততা, কৃষকের জমি হারানো, আত্মহত্যা কিংবা দারিদ্র্যের চক্রে আটকে পড়া তার বাস্তব উদাহরণ।

সুদের বাস্তব ক্ষতিকর প্রভাব

গরিব আরো গরিব হয়, ধনী আরো ধনী হয়—অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়।
পরিবারে মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব এবং অবনতির সূচনা হয়।
সমাজে মুনাফাখোর শ্রেণির উত্থান ঘটে, উৎপাদন ও পরিশ্রমের ন্যায্যতা লঙ্ঘিত হয়।
আত্মিক অশান্তি, আল্লাহর অসন্তুষ্টি এবং দোয়ার অগ্রাহ্যতার কারণ হয়।

কীভাবে সহায়তা করা হচ্ছে?

অনেক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আজ সুদের বিকল্প পথ—ইসলামি অর্থব্যবস্থা ও যাকাত-সদকা-কার্জে হাসানা (সুদবিহীন ঋণ)—চর্চার মাধ্যমে মানুষকে মুক্তির পথে সহযোগিতা করছে।

সুদবিহীন ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি বা আত্মকর্মসংস্থানে।
ফান্ড গঠন করে ঘুর্ণায়মান অর্থভাণ্ডার (revolving fund) পরিচালনার মাধ্যমে বহু পরিবারকে দাননির্ভরতা থেকে মুক্ত করা হচ্ছে।
হালাল রুজির গুরুত্ব ও সুদের ক্ষতির বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও দাওয়াহ কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোকে যাকাত ও সদকার মাধ্যমে অর্থ, প্রশিক্ষণ ও পুঁজি সহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।

উপসংহার

সুদ শুধু একটি অর্থনৈতিক অবিচার নয়—এটি এক গভীর আত্মিক ক্ষয়। সুদের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ হলো হালাল উপার্জনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং একে অপরকে সহায়তার মাধ্যমে একটি ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করা। ইসলামী অর্থনৈতিক নীতির মাধ্যমে সেই মুক্তির পথ উন্মুক্ত করা সম্ভব—যেখানে মানবতা, ন্যায়বিচার ও আল্লাহর সন্তুষ্টি একসূত্রে মিলে যায়।

15
দক্ষতা প্রশিক্ষণ: স্বনির্ভরতার সেতুবন্ধন

বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেবল সাধারণ শিক্ষা নয়, দক্ষতা অর্জনই হচ্ছে টিকে থাকার ও এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি। বিশেষ করে দরিদ্র, বেকার, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ একটি কার্যকর ও টেকসই সমাধান। এটি কেবল কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়ায় না, বরং মানুষকে আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়তা করে।

দক্ষতা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

শুধু সার্টিফিকেট নয়, কাজ শেখা ও বাস্তবজ্ঞান অর্জন এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষিত বেকারত্ব রোধে পেশাভিত্তিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ অত্যন্ত কার্যকর।
নারী, প্রতিবন্ধী, যুবক-যুবতী এবং হতদরিদ্র শ্রেণিকে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করা সম্ভব হয় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে।

প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রসমূহ

কারিগরি ও প্রযুক্তি: ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসিং
হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ: সেলাই, কাঁথা সেলাই, বুটিক, মোমবাতি/বিউটি কেয়ার
আইসিটি প্রশিক্ষণ: বেসিক কম্পিউটার, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং
কৃষি ও প্রাণিসম্পদ: সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষ
ফ্রিল্যান্সিং ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন: ঘরে বসে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি

দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুফল

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজে আয় করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারে।
আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
দাননির্ভরতা কমে; দানগ্রহীতা থেকে দানদাতা হওয়ার পথ সুগম হয়।
যুব সমাজ অপরাধ, মাদক বা ভ্রান্ত পথে না গিয়ে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত হয়।

উপসংহার

দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি রূপান্তরমূলক প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখে, সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করে এবং সম্মানজনক জীবনের পথে অগ্রসর হয়। টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক কর্মসূচির প্রসার অপরিহার্য।


Pages: [1] 2 3 ... 19